বিবিধ
ফাইসাল আহমেদ যাকে ‘MR GOOO’ নামে চিনে সবাই
স্টাফ রিপোর্টর
(১ বছর আগে) ২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ৪:০৮ অপরাহ্ন
পৃথিবীতে কত ধরনের পাগলামি আছে তা বলা মুশকিল। কিন্তু ভ্রমণের পাগলামিতে কেউ পড়াশোনা, চাকরি তুচ্ছ করে দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন এমন পাগল হয়তো কষ্ট করে খুঁজে বের করতে হবে। ভ্রমণেই যিনি খুঁজে ফেরেন রঙিন দুনিয়ার রঙের মানুষ। ভ্রমণই তার জীবনে আনন্দের খোরাক।
হ্যাঁ, এই ভ্রমণ পাগল মানুষটির নাম ফাইসাল আহমেদ যাকে ‘MR GOOO’ নামে চেনেন অনেকেই। জন্ম তার পুরাণ ঢাকায় হলেও শৈশব কেটেছে রাজ্যের প্রাচীর নারায়ণগঞ্জ শহরে। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান ভালোবাসার রাজধানী প্যারিসে।
তারপর University of Paris স্নাতক ও University of Bordeaxu স্নাতকোত্তর সম্মাননা অর্জন করে। বর্তমানে University of Bordeaxu থেকে পিএচডি সম্মাননা করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। কাজ করেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সান্নিধ্যে।
ফাইসালের ব্যাংকার বাবা চেয়েছিল ছেলে একজন ক্রিকেটার হবে। তবে যাকে জল, জেলে, পাহাড়, সমুদ্র, গ্রাম, নদীনালা টানে তাকে কে আর ঘরে আটকে রাখে।
ভ্রমণ পিপাসু হলে তিনি তার MR GOOO ফেসবুক পেজে নিয়মিত লেখলেখি করছে। ইউরোপ আগত ছাত্রছাত্রী এবং কাজের উদ্দেশ্যে যারা ইউরোপের দেশগুলোতে আসতে চাচ্ছেন তাদের প্রতিনিয়ত গাইড করে যাচ্ছেন। তার দেখানো পথে আজ অনেকেই তাদের স্বপ্ন পুরণ করতে পেরেছে।
মনে দাগ কেটে যাওয়া এমন কিছু স্মৃতি বা অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আসলে শুধু ভ্রমণই নয়, জীবনের প্রতিটি দিনই নতুন কিছু শিখিয়ে যায়। নতুন অভিজ্ঞতা হয়। পৃথিবীর পথে পথে কত যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না।
এছাড়া ফাইসাল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশেও অনেক দেখার মত জায়গা আছে। আপনি যদি দেখতে চান, জানতে চান তাহলে অবশ্যই খুঁজে পাবেন। শত হলে ‘হাজার দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।’
ভ্রমণ প্রিপাসু হলে জীবনে উচ্চশিক্ষা ও ব্যাস্ততম কর্মজীবন অতিবাহিত করার পাশাপাশি নিজের বাকিটুকু সময় তিনি ব্যয় করেন বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ডে। তিনি ফ্রান্সের দুইটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা খব ইধধস এবং খধ গরভ এর সঙ্গে একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়া বাংলাদেশে ‘MR GOOO'S FOUNDATION’ নামে তার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে। যেখান থেকে তিনি প্রতিনিয়ত দুস্থ মানুষের পাশে এগিয়ে আসছে।
ফাইসাল আহমেদের জীবনের দীর্ঘ সময় কেটেছে দেশের বাইরে। নানা দেশের নানা জাতির কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য, পরিবেশ-পরিচিতি তাকে পরিণত করেছে এক ভিন্ন ফাইসাল আহমেদে। এই দীর্ঘ যাত্রার অনেক অভিজ্ঞতা, বলা না বলা কথা কত কথাই মনের ডায়েরিতে লেখা হয়েছে তার। সঙ্গে লিখে ফেলেছেন দুইটি বই। হয়তো কোনো এক সময় সেগুলো সম্পর্কেও আমরা জানতে পারবো।