ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

শরীর ও মন

পুরুষের গনোরিয়া হলে বুঝার উপায়

ডা. দিদারুল আহসান
২০ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবারmzamin

গনোরিয়া রোগ নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। গনোরিয়া যৌনবাহিত রোগ। পুরুষের ক্ষেত্রে এই রোগে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া ও মূত্রনালি দিয়ে পুঁজ বের হয়। 
সাধারণত নারীদের চেয়ে পুরুষরাই এই যৌনরোগে বেশি আক্রান্ত হয়। শুধু নারী ও পুরুষের মেলামেশার কারণেই এ রোগ ছড়ায়।
গনোরিয়া রোগটি ‘নাইসেরিয়া গনোরিয়া’ নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশার ২-১০ দিন পরই এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। 

গনোরিয়ার জীবাণু ‘নাইসেরিয়া গনোরিয়া’ দীর্ঘদিন শরীরের বাইরে টিকে থাকতে পারে না। এরা বেঁচে থাকে কেবল নিবিড় যৌন মিলনের মাধ্যমে একদেহ থেকে অন্যদেহে স্থানান্তরিত হয়ে।
পুরুষের যৌনাঙ্গ দিয়ে পুঁজ বের হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এ রোগের উপসর্গ। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত জীবাণুবাহিত রোগ। এটা পুরুষাঙ্গ, সারভিক্স বা জরায়ুর ছিদ্র, রেকটাম মলাশয় বা পায়ু, গলা ও চোখকে আক্রান্ত করতে পারে। এই ইনফেকশনজনিত কারণে বন্ধ্যত্বও দেখা দিতে পারে।

যেভাবে ছড়ায় 
পুরুষ-মহিলার অবাধ মেলামেশার মাধ্যমে ছড়ায়।  জীবাণুযুক্ত তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করলেও গনোরিয়া হতে পারে।

গর্ভাবস্থায়
গনোরিয়ার জীবাণু গর্ভবতী নারীদের জননতন্ত্রের মধ্যে বিচরণ করে ডিম্ববাহী নালিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে নারীর বন্ধ্যত্ব ঘটতে পারে বা জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় নারীরা গনোরিয়ায় আক্রান্ত হলে শিশু জন্মের সময়ে মায়ের যোনি থেকে তার চোখে সংক্রমণ হতে পারে। শিশুকে চিকিৎসা না করলে তার চোখে প্রদাহ হবে এবং সে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

নবজাতকের গনোরিয়া
প্রসবকালে যদি গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয় তবে নবজাতকের চোখ আক্রান্ত হয়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও পরে ঘন পুঁজ ঝরতে থাকে।

উপসর্গ 
গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলারা সাদাস্রাব নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে গনোরিয়া শনাক্ত করা যায়। এ ছাড়া মহিলারা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, বার বার প্রস্রাব হওয়া, মিলনের পর রক্ত বের হওয়া সমস্যায় ভোগে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তলপেটে ব্যথা বা প্রদাহ। পুরুষদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা কুট করে কামড় দেয়ার মতো অনুভূতি হয়। প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বিজল ও ঘন পুঁজ বের হতে পারে।

চিকিৎসা 
চিকিৎসকের পরামর্শে মুখে খাওয়ার বড়ি বা ইনজেকশনের পাশাপাশি আক্রান্ত স্থানে মলম লাগানোর প্রয়োজন হয়। পরিষ্কার ভেজা তুলা দিয়ে পুঁজ পরিষ্কার করতে হবে ও স্যালাইন পানি দিয়ে ধুতে হবে। খুব সাবধানতার সঙ্গে এ কাজ করতে হবে নতুবা পরিচর্যাকারীও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

লেখক: চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ, কনসালট্যান্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আল-রাজী হাসপাতাল, ঢাকা। 
সেল-০১৭১৫-৬১৬২০০

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status