রকমারি
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ অন্বেষণ করার সময় জ্ঞান হারান গিনেসজয়ী সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ২৬ জুন ২০২৩, সোমবার, ১:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকারী সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন সেবাস্টিয়ান হ্যারিস। ২০০৫ সালে সেই ঐতিহাসিক যাত্রার সময় সেবাস্টিয়ান নাকি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। 'ওশানগেট' বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে সেই বিপজ্জনক যাত্রার কথা মনে পড়লে আজও শিউরে ওঠেন সেবাস্টিয়ান।
টাইটানিক অভিযানের নেতা জি. মাইকেল হ্যারিসের ছেলে সেবাস্টিয়ান হ্যারিস মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবার সাথে সমুদ্রের গভীরে গিয়েছিলেন।
হ্যারিস দ্য সানকে জানিয়েছেন -''পানিতে ডুব দেওয়ার সময়, আমাদের নিরাপত্তা সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। হঠাৎ আমাদের অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে এবং ডাইভিং করার সময় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত আমার বাবা এবং আমাদের পাইলট একই সমস্যা অনুভব করেননি, অন্যথায় পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারতো। কিন্তু এই ধরণের ছোট সমস্যাগুলি নিয়মিত ঘটতে পারে এবং এক্ষেত্রে যানবাহনের সার্টিফিকেশন এবং নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'' টাইটানিক সাইটে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় সাবমার্সিবল বিপর্যস্ত হয়ে ওশানগেটের সিইও স্টকটন রাশসহ পাঁচজন নিহত হন। হ্যারিস বলছেন এই ধরণের অভিযান অনেকসময়ই ট্র্যাজেডিতে পরিণত হতে পারে। হ্যারিস তার বাবার সাথে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ অন্বেষণ করতে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পৃষ্ঠের ১২,৮৫০ ফুট নীচে নেমেছিলেন। ট্রিপটি ১২ ঘন্টার ছিলো, অল্প বয়সের কারণে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করেছিলেন সেবাস্টিয়ান।
তিনি তার জাহাজ 'মিরে' প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন যেমন: ডগ হ্যাচ এবং ট্র্যাকিং ডিভাইস, যা ওশানগেট অভিযানের সময় অনুপস্থিত ছিল। এই ডগ হ্যাচের মাধ্যমে সাবমেরিনের ওপরের পৃষ্ঠটি খুলে যায়, যাতে সাবমেরিনে কোনো বিপর্যয় ঘটলে দু থেকে তিনজন বেরিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু টাইটানে এধরণের কোনো প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা ছিলো না। তাই উদ্ধারকার্য আরো চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছিলো। সাবমেরিনের নির্মাণ কার্যেও অনেক ত্রুটি ছিলো বলে মনে করেন সেবাস্টিয়ান। পাশাপাশি 'মির' সাবমেরিন নিয়ে যাত্রা করার আগে সেটিকে অন্তত ১০০ বার পানিতে নামিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিলো। ওশানগেট সেরকম কোনো কিছুরই ব্যবস্থা করেনি। সেবাস্টিয়ান মনে করেন ওশানগেট ট্র্যাজেডিটিকে একটি শিক্ষা হিসাবে নেয়া উচিত এবং যাত্রীদের এক্ষেত্রে দোষ দেওয়া উচিত নয়। তবে একটি বিষয় তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এধরণের অভিযানের ক্ষেত্রে যাত্রীদেরই নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হয়। শুধু তাই নয়, ভালো করে অধ্যয়ন করে তবেই এই ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় সামিল হওয়া উচিত।
সূত্র : nypost.com