রকমারি
উল্টো দিকে ঘুরছে পৃথিবী, চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ সপ্তাহ আগে) ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৫:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন, বিশেষ করে সবচেয়ে ভেতরের গোলাকার কেন্দ্র, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাড়িয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩,০০০ মাইলেরও বেশি নিচে অবস্থিত। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের ওপর এর ভূমিকা বিশাল। নেচার জিওসায়েন্স-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ২০১০ সালের দিকে শুরু হওয়া পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রের ঘূর্ণনের গতি ধীর হয়েছে। গ্রহের পৃষ্ঠের সাপেক্ষে এটি বিপরীতমুখে ঘুরছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই আবিষ্কার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রহের অভ্যন্তর কীভাবে আচরণ করে তা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভূ-পদার্থবিজ্ঞানীরা প্রায় প্রতিটি মহাদেশ থেকে আসা ভূমিকম্প সংকেত ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রটি অনুসন্ধান করেছেন, যা তরল ধাতুর ঘূর্ণায়মান স্তর দ্বারা বেষ্টিত। অনুসন্ধানগুলো ভূ-গোলকের কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে যা নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
ইউএসসি ডর্নসাইফ কলেজ অব লেটারস, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের অধ্যাপক জন ভিডেল, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ওয়েই ওয়াংয়ের সঙ্গে এই প্রকল্পে কাজ করেছেন। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগকে কয়েকটি স্তরে ভাগ করা যেতে পারে-ভূত্বক, আবরণ, তরল বহিঃকোষ এবং কেন্দ্রে অবস্থিত কঠিন অভ্যন্তর ভাগ। অনেক বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন যে, অভ্যন্তরীণ কোর কীভাবে আবরণ এবং ভূত্বকের সাপেক্ষে চলাচল করে।কেউ কেউ প্রমাণ পেয়েছেন যে কেন্দ্রটি একসময় পৃথিবীর অন্যান্য অংশের চেয়ে দ্রুত ঘূর্ণন করত।
অন্যরা লক্ষ্য করেছেন যে, এর গতি সম্ভবত শিথিল হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ তুলে ধরে যে, ২০১০ সাল থেকে পৃথিবীর পৃষ্ঠের অভ্যন্তরের গতি বদলাতে শুরু করেছে। ভিডেল ব্যাখ্যা করেছেন যে, যখন আমি প্রথম সিসমোগ্রামগুলো দেখেছিলাম যা এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তখন আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমরা একই প্যাটার্নের আরও দুই ডজন সিসমোগ্রাম পর্যবেক্ষণ করলাম, তখন ফলাফল অনিবার্য ছিল। প্রথমবারের মতো পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রটি ধীর হয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একই রকম এবং ভিন্ন মডেলের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, কিন্তু আমাদের সর্বশেষ গবেষণাটি সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রদান করে। তাদের বিশ্লেষণের জন্য, গবেষক দলটি ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের কাছে সংঘটিত ১২১টি ভূমিকম্পের রিডিং সংগ্রহ করেছে। তারা ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে পরিচালিত সোভিয়েত পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য, সেইসাথে ফ্রান্স ও আমেরিকার পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্যও সংগ্রহ করেছিল।
ভিডেল গতি পরিবর্তনের জন্য দায়ী করেছেন, তরল লোহার বাইরের কেন্দ্রের মন্থন যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, সেইসাথে পাথুরে আবরণের ঘন অঞ্চল যা মহাকর্ষীয় টান তৈরি করে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এই শক্তিগুলো দিনের দৈর্ঘ্যকে সামান্য হলেও প্রভাবিত করতে পারে। পূর্ববর্তী কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল যে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রটি হয়তো উল্টে পথে ঘুরছে। নতুন ফলাফলগুলো সেই সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে তুলেছে, কারণ এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পৃথিবীর বাইরের স্তরের তুলনায় কেন্দ্রের ঘূর্ণন ধীর হয়ে গেছে এবং এমনকি দিক পরিবর্তনও শুরু করেছে।
সূত্র: earth.com
পাঠকের মতামত
ফিলিস্তিনে নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞের প্রভাব।।
You are better physicist I think.So give us hope this universe is everlasting.Thnx.
দ্রব্য মুল্যের কারনে কারোই মাথা ঠিক নাই ,সবারই মাথা উল্টা ঘুরছে পৃথিবীর আর দোষ কী ।
আল্লাহ ভালো জানেন, এমন হলে তো এটকেও কেয়ামতের বহু আলামতের মধ্যে আরো একটি চাক্ষুষ আলামত ধরা যায়। এ যেন সে কথাই সত্য হতে যাচ্ছে যে কেয়ামতের দিন সূর্য পশ্চিম দিকে থেকে উদিত হবে। দূনিয়াতে বে বিচারী পাপিষ্ঠের দল এতোটাই ভারী হচ্ছে যে নারীত নারীত পুরুষে পুরুষে জেনা বৈধতা পাচ্ছে।
আরও অনেক বেশি গবেষণা করা দরকার।
সব আন্দাজে কথা-বার্তা। আসলে বিজ্ঞানীদের মাথা ঘুরছে উল্টা দিকে তাই তাদের এমনটা মনে হচ্ছে।