রাজনীতি
নিরপেক্ষ সরকারের শর্তে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়: কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ মাস আগে) ৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪১ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপের কথা শুনে বিএনপির নেতাদের আবারো জিহ্বায় পানি এসেছে। গতবারের নির্বাচনের আগের কথা আমাদের মনে আছে, একবার নয়, দুইবার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী? কোনো লাভ হয়নি। নিরপেক্ষ সরকারের শর্ত নিয়ে দলটির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মান্নাফির সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
কাদের বলেন, ফখরুল সাহেবের জিহ্বায় পানি আসছে। মনে করছে আওয়ামী লীগ তাদেরকে সংলাপে ডাকবে। এই সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। নিরপেক্ষ কে? আপনার নেত্রী বলেছে শিশু এবং পাগল। শিশু এবং পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। তারা নিজেরাই ‘ফাঁন্দে পড়ে কান্দে’। এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে পেয়েছে ভিসা নীতি। এই ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, এটা সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেবো, কাকে দেবো না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নমিনেশন লন্ডন থেকে দেয়, ঢাকা থেকে দেয়, নয়াপল্টন থেকে দেয়, গুলশান থেকে দেয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে নমিনেশন বিক্রি করে। এটাই হচ্ছে বিএনপি।
মনে আছে ওই নমিনেশন বাণিজ্য, অনেকের পকেট খালি করেছে। একেক জায়গায় ৩ জন ৪ জন করে নমিনেশন পেয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপি। সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছিল না। খালেদা জিয়ার ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন ছিল আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন। সেটা আর হবে না। সেইদিন চলে গেছে। আমাদের নেত্রী পার্লামেন্টে আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আপনাদের চিৎকার করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আজকে বিদেশি বন্ধুরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তারা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের নেত্রী দেশি বিদেশিদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন করবো। বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক। বিএনপি চায় শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এটা মামা বাড়ির আবদার। এ সময় নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিয়মের মধ্যে থাকুন। আপনারা আমাদের শপথে থাকুন।আমাদের আবারো ৬ই জুন, ৭ই মার্চের শপথ নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা গিলে খেয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এরা যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, বিএনপি নামের বিষধর সাপ গোটা দেশ গিলে খাবে। এ সময় বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জনগণকে বলেছি, আপনারা সময় দিন। ১০-১৫টা দিন সময় দিন। সব ঠিক হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর ভরসা রাখুন।
এদিকে আলোচনা সভা শুরুর আগে দলটির নেতাকর্মীরা কয়েক দফায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এতে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামে একজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি কেরানীগঞ্জ থানার ৫৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সমাবেশের চেয়ারে বসা নিয়ে নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। মঞ্চ থেকে মাইকে বার বার বলার পরও শান্ত না হয়ে বেশ কয়েক দফায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটান তারা। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য নেতাকর্মীদের মাঝে। তারা যে যার মতো ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
পাঠকের মতামত
দেশের জন্য ভালো কিছু আপনি করতে পারবেন না এটা আমরা জনগন ভালোই জানি। কিন্তু দয়া করে নোংরা খিসতি বন্ধ করুন।
জনগণের কথা চিন্তা করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করা উচিত আমরা মনে করি। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে হলে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া দেশের ইতিহাসে আরো কোন বিকল্প নেই।
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিভিন্নভাবে বিএনপিকে ফাঁদে ফেলার অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। হাসুবুকে ক্ষমতায় রেখে বিরধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে, সেটা হবে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে মহা বিপদ। খালেদাজিয়া, তারেকজিয়া সহ বিরোধী দলকে মিথ্যা মালয় ফাঁসানো হয়েছে, তা দেশ বিদেশের সবাই বুঝতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই নিরপেক্ষ নির্বাচীনকালীন সরকার ব্যতিরিকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ হবে জাতির জন্যে কলঙ্ক।
স্যার আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগে
আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করার সময় যত সম্পদ ও প্রাণহানী ঘটিয়েছে ১৯৯৬ সালে তার বিচার অবশ্যই বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তার বিচার শুরু করবে। কারণ দেশের সম্পদ ও প্রাণহানি ঘটিয়ে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার বাতিল করেছে। এরা এ জাতির শত্রু। তাদের বিচার করতেই হবে।
অনির্বাচিত, অবৈধ মিডনাইট সরকারের সাথে বিএনপিও কোন আলোচনায় যাবে না..আগে তত্বাবধায়ক সরকার..পরে পদত্যাগ..তারপর সংলাপ।
দেশের জন্য ভালো কিছু আপনি করতে পারবেন না এটা আমরা জনগন ভালোই জানি। কিন্তু দয়া করে নোংরা খিসতি বন্ধ করুন।
নিজের পড়নে লুঙ্গি নাই আরেক জনকে বলে তোমার লুঙ্গিতে একটা ফুটো দেখা যাচ্ছে!
বিএনপির জন্ম না হলে আওয়ামীলীগ রাজনীতি করতো কি দিয়ে? সকালে ঘুম থেকে উঠে খিস্তি শুরু হয় আর রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে তাদের মুখ খ্যান্ত হয়! অথচ বর্তমান সাংবিধানিক বিরোধী দল জাতীয় পার্টি!
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আপনাদের ছিল। আপনারা এই দাবির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে দেশের বহু সম্পদ হানি করেছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচিত হয়ে এখন বোল পাল্টালে চলবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতেই হবে। এটা এ দেশের জনগণের প্রাণের দাবি। বাড়াবাড়ি না করে আপনারা সংসদে আইন সংশোধন করে বিল পাস করুন।