প্রথম পাতা
যে সড়কে বিদ্যুৎ যায় না কখনো
আল-আমিন
৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবারঢাকাসহ সারা দেশে চলছে তীব্র লোডশেডিং। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে ত্রাহি অবস্থা। এই অবস্থার ব্যতিক্রম বনানীর ১৮ নম্বর সড়ক এলাকা। এই সড়কের পাশের বাসিন্দারা ভাগ্যবানও বটে। লোডশেডিংয়ের ভোগান্তির ছিটেফোঁটাও নেই এখানে। ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে। এজন্য এ সড়কে অবস্থিত বাড়িগুলোর জেনারেটরও চালাতে হয় না। ইউপিএস-আইপিএসে’র প্রয়োজনও পড়ছে না কারও। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ায় এই সড়ক এলাকার বাসিন্দারাও খুশি। কিন্তু কেন এই সড়কটি ব্যতিক্রম তা জানতে সরজমিন এলাকায় গিয়ে জানা যায় এই সড়কে অবস্থিত একটি ভবনের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী।
গতকাল দুপুরে সরজমিন ১৮ নম্বর ওই রোডে গিয়ে দেখা যায়, বনানী বিদ্যানিকেতন পার হয়ে চৌরাস্তার হাতের বামে ওই সড়ক। যানজট ও কোলাহলমুক্ত ওই রোডে মানুষের চলাচলও কম। ১৮ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী মার্শেল অগাস্টিন মানবজমিনকে জানান, ওই বাসাতে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি থাকেন। তৃতীয় তলায় তারা বসবাস করলেও বাকি তলা পারিবারিক নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। তিনি আরও জানান, এই রোডে বিদ্যুৎ যায় না। তাদের বাসাটি সেন্ট্রাল এসির আওতায়। বিদ্যুতেই চলে। জেনারেটর চালানোর প্রয়োজন পড়ে না।
তিনি আরও জানান, এই এলাকায় কালেভদ্রে বিদ্যুৎ যায়। গেলে ১ থেকে ২ মিনিটের মধ্যে চলে আসে। তা আবার অনেক দিন পর পর। তিনি বলেন, সামনের বাসায় একজন ভিআইপি থাকেন। তার কারণে আমরা সুবিধা পাচ্ছি মনে হয়। একই সড়কের ৩২ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার ইমাম হোসেন জানান, ‘তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ যায় না। দিনে একবারও যায় না। তাদের জেনারেটর থাকলেও সেটি ব্যবহার হয় না।’
৩৬ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার সুমন জানান, এই ১৮ নম্বর রোডে কয়েকজন ভিআইপি লোকের বসবাস। এতে লোডশেডিং নেই বললেই চলে।
৭৬ নম্বর বাড়ির একজন বাসিন্দা জানান, তাদের এলাকায় লোডশেডিং নেই। ডেসকো’র কর্মকর্তারা মাঝে মাঝে এসে লাইন ঠিক করে দিয়ে যান। ১ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুতের লাইন মেরামত করলে সেটিও আগের দিন মাইকিং করে এসে বলে যায়।
একটি বাড়ির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের বাসায় কোনো আইপিএস নেই। গত বছর একটি আইপিএস কেনা হয়েছিল। শীত আসার পর সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর আর কেনা হয়নি। কেন আইপিএস নেই প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বিদ্যুৎ গেলেই তো আইপিএসের প্রয়োজন হয়। যেখানে বিদ্যুৎ যায় না সেখানে আইপিএসের প্রয়োজন কিসের।
এ বিষয়ে ডেসকো’র গুলশান সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল মানবজমিনকে জানান, বনানী আমাদের অধীন এলাকা। ১৮ নম্বর রোডে কেন বিদ্যুৎ যায় না তা তিনি অবগত নন। তার অধীনে কর্মকর্তারা কীভাবে পরিকল্পনা করেছেন তিনি তা জানেন না বলে জানান।
পাঠকের মতামত
এটা সম্পূর্ণরূপে বেমানান এবং অনভীপ্রেত, যা দেশকে বহি:বিশ্বের কাছে ছোট করছে। তিনি তেল মারতে খুবই উস্তাদ, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের এসডিও ছিলেন, ক্যামনে ক্যামনে যেন বীরবিক্রম উপাধী পেয়ে গেলেন। অথচ আমাদের এলাকার বহু বীরমুক্তিযোদ্ধা রনাঙ্গনে শহীদ হয়েছেন, আবার বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে শুধুমাত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা খেতাব নিয়েই বেঁচে আছেন। অথচ এই ভদ্রলোকের বিষয়ে বঙ্গবীর জনাব কাদের সিদ্দিকীর উক্তীই সর্বৌব গ্রহনযোগ্য বলে ধরে নেওয়া যায়, সূযোগ-সন্ধানীরা সব সময়ই ভালো অবস্থানে থাকেন!
আহা! দেশের সকল মানুষ যদি এমন এলাকায় বসবাস করতে পারতো ....... শুধু যার জন্য এমন আয়োজন তাঁকে এই এলাকা থেকে বের করে দিয়ে।
পৃথিবীর মাজে এইধরনের দুর্লব মাল গুলা এদেশেই বিদ্ধমান ...
বিদ্যুৎ বেটা তার মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার উপদেশ শুনবে নাকি অবাধ্য হয়ে লোড শেডিং করবে?
আমরা বিদ্যুৎ বিল আগে পরিশোধ করে বিদ্যুৎ পাই না। আর ওরা আমাদের টাকা চুরি করে বিলাসী জীবন যাপন করে। হারাম খোরেরা হারাম খায় এবং খাওয়ায়।
বঙ্গবন্ধু এই রকম ভেদাভেদ দেশ চান নাই।
তেলা মাথায় তেল ঢালা। গরিব এলাকায় অন্য চিত্র।
দেশের জনগণকে হাতে হারিকেন ধরিয়ে তৌফিক ই এলাহীরা ভিআইপি সাজে! এই অবৈধ জনবিচ্ছিন্ন নিশিরাতের জনগণের ভোট ডাকাত সরকার দে-শ পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ ব্যর্থ। জনসেবা মূলক সকল সেক্টরে দলীয় আমলাতান্ত্রিক লোকদের বসিয়ে দুর্নীতি মধ্যে দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনারা সাংবাদিক ভাই'রা খোঁজ করে দেখেন এমন আরো তৌফিক ই এলাহীরা এমন জীবন যাপন করছে।
মানুষের বদদোয়া ছাড়া আর কিছুই পাবে না এদের মতো মানুষদের
দেশবাসীকে আকাশ ভরা তারা দেখিয়ে উনারা বেশ আরাম আয়েশেই আছেন। শ্রীলংকার শাসকরাও কিন্তু এরকমটাই করেছিলো, পরিণতিও বিশ্ববাসী দেখেছে। আরকিছু বললামনা বাক স্বাধীনতা নেই বলে।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এরা ভাবে নিজের জন্য,যদি মানুষের কথা ভাবতো তাহলে বিদ্যুতের এই বেহাল অবস্থা হত না!বিশ্বমানের মোনাফিক তারপরও ঘুষ কমিশন লুফে নেয়।
উনি তো জনপ্রতিনিধি নন! উপদেষ্টা ! জনগন বাঁচল কি মরল সে দায় উনার নেই । এই সরকারের পতন হলে উনি দেশ ছেড়ে পালাবেন তা নিশ্চিত।
আমিও আমার বাড়ির সামনের সড়কটি এমন দেখতে চাই।
ঘরের দরজা ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে এই ভদ্রলোক কে এক দুই ঘন্টা ঘরে আটকে রাখা উচিত।
shob shorer bati solar kore dilei tho hoi. shob graame light post gula solar kore dilei tho hoi.
আমাদের গ্রামে গড়ে দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে...
The successful designer and implementer of half the trillion Taka peoples' money as capacity charge payments without any power deserves the courtesy from power people.
বেটা আহাম্মক, জনগণের পয়সায় মজা নিয়ে, সেই জনগণকে কষ্ট দেওয়া??বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার বিদ্যুতের লাইন আজকেই কেটে দেওয়া হউক, একই দেশে কেউ আরামে ঘুমাবে, আর অন্যজন ঘরমে কষ্ট পাবে সেটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়। তৌফিক এলাহী ব্যাপারে সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা উচিৎ,এদের জন্য আমাদের আজ এ অবস্থা
সেই সড়কের বিদ্যুৎ বন্ধ করে সার্বক্ষণিক লোডশেডিং এর আওতায় আনা উচিৎ যতক্ষন না দেশের অন্যান্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি না করা হয়। সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় উপদেষ্টা হয়ে নিজ এলাকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রাখবেন আর সেইসব ট্যাক্স প্রদানকারী জনগণকে বিদ্যুৎ বিহীন গরম / অন্ধকারে জীবনযাপন করতে বাধ্য করবেন - এটা কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা।
যদি খবরটি সত্য হয়, তাহলে বলব ডিসক্রিমিনেশন Discrimination চলছে। আল্লাহর কাছে থা মহাপাপ বলে গণ্য।
এলাহী কান্ড একেই বলে হয়তোবা
আলহামদুলিল্লাহ্। "তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান" এটা জানবেন কি ভাবে , আসলে এইটা তো আসমান থেকে নাজিল হয়। এইটা তো ওনার জানার বিষয় না। উনি অন্য কাজে ব্যাস্ত। এই রোডে বাস করেন অতি শিক্ষিত জান্নাতের পাখি। তাই বিদ্যুৎ যায় না। আর মানব জমিনের কোন কাজ নাই তাই এই সব খবর ছাপায়। দেশে উন্নয়নের এত খবর তা দেয় না। আরে ভাই এইসব খবর ছাপানোর আগে আলহামদুলিল্লাহ্ আর শেষে মাশাল্লাহ বলে শেষ করবেন। আর দয়া করে খবর নিবেন বিপু সাহেবের রাস্তায় যায় কি না।
১৮ নঃ রোড মনে হয় সিংগাপুর ছিল ভুল করে বাংলাদেশ চলে এসেছে।
এটা বাংলাদেশ আইন সবার জন্য এক না।
এদের জন্য আমাদের আজ এ অবস্থা
এই যখন বাস্তবতা তখন তারা কিভাবে জনগণের দুঃখ দুর্দশা উপলব্ধি করবে ❗ দুর্ভাগা জাতি কোন দিনই সুখের মুখ দেখবে না।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার বিদ্যুতের লাইন আজকেই কেটে দেওয়া হউক, কত বিল বাকি আছে আল্লাহ জানেন ?? এই ক্ষমতা শিলরা ক্ষমতার অপব্যাবহার করে নিজেদের আরামে রেখে সাধারণ জনগণের পয়সা খেয়ে সে জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে........অনতি বিলম্বে বিদ্যুতের লোকজনদের এই বেপারে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। একই দেশে কেউ আরামে ঘুমাবে, আর অন্যজন ঘরমে কষ্ট পাবে সেটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়। তৌফিক এলাহী ব্যাপারে সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা উচিৎ, না হলে জুতাপেটা করা উচিৎ........বেটা আহাম্মক, জনগণের পয়সায় মজা নিয়ে, সেই জনগণকে কষ্ট দেওয়া??