প্রথম পাতা
ড. ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার
১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবারআয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আনা ৩টি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৩ প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি টাকা দান করেছিলেন। তিনি বলেছেন এর বিপরীতে কর দিতে হবে না। এ কারণে এনবিআর তাকে নোটিশ দিয়েছিল। পরে তিনি হাইকোর্টে ৩টি রেফারেন্স মামলা করেছিলেন। গতকাল হাইকোর্ট আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছে। এনবিআর ১৫ কোটি টাকার অধিক দাবি করেছিল। এরইমধ্যে তিনি ৩ কোটি টাকার মতো দিয়েছেন। আরো ১২ কোটি টাকার অধিক কর পরিশোধ করতে হবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।
মামলায় বলা হয়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআর’র এইসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইনানুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না। এরপর ২০১৪ সালের ২০শে নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করেন। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে ৩টি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন। ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।