দেশ বিদেশ
প্রক্সিকাণ্ডে এবার বিসিএস কর্মকর্তা ও রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আটক
রাবি প্রতিনিধি
১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবাররাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৮তম বিসিএস এ নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও রাবি ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে এ পর্যন্ত ৭টি মামলা দায়ের করেছেন। এরমধ্যে ৬টি মতিহার এবং একটি চন্দ্রিমা থানায়। আমরা এ পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছি। এরমধ্যে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়। তিনি ৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা।
বর্তমানে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এদিকে আটককৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম সাকিবুল ইসলাম শান্ত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। তিনি নাটোর জেলা সদরের কালিকাপুর এলাকার আলি আহম্মদের ছেলে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় রাজশাহী পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, প্রক্সিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও অনেকেই অজ্ঞাত রয়েছে। ১৬ জনের মধ্যে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ কমিশনার প্রক্সিকাণ্ডে জড়িতদের ৪ স্তরের এক তথ্য চিত্রে প্রদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, প্রক্সিকাণ্ডে আটক করা হয়েছে ৭ জনকে। মিডওয়ে কালেক্টর ৩ জন। দ্বিতীয় সারিতে ২ জন ও মূলহোতা ১ জন রয়েছে এ চক্রে। তাদের মধ্যে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের তথ্য মতে দ্বিতীয় সারিতে রয়েছে রাবি ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল ইসলাম শান্ত।
তাকে কাটাখালি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাসিবুল ইসলাম শান্ত প্রক্সিদাতাদের সঙ্গে ৫০-৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়ার চুক্তি করেন। মঙ্গলবার আটক প্রক্সিদাতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এ তথ্য জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অন্যের হয়ে প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সকালে ছাত্রলীগ নেতা শান্তসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে মামলাগুলো দায়ের করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম। তাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি যে শান্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।