অনলাইন
‘ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙতেই মার্কিন ভিসা নীতি’
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ মাস আগে) ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, ৬:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩০ অপরাহ্ন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে আর কেউ নির্বাচনে যাবে না। শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ওয়াদা করেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। কিন্তু সেবার দিনেও ভোট চুরি হয়েছে, রাতেও চুরি হয়েছে। আবারও একই সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা গোপনে কাজ সারতে পারদর্শী। অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে হাসিঠাট্টা করছে। কিন্তু এটা খুবই লজ্জার। যারা হাসিঠাট্টা করছে তাদের দুই কান কাটা গেছে। যে সমস্ত দেশে নির্বাচন নিয়ে ভিসা নীতি দেয়া, সেগুলো নির্বাচনের পরে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনের ৭ মাস আগেই এসেছে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণ অধিকার পরিষদের আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ও বাংলাদেশের সংকট’–শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, দেশের বিরোধী দলগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইলেও সরকার তা চায় না। এ কারণেই বিরোধীদের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়েছে। দেশ সংকটে পড়লে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের এখন নাইজেরিয়া, নিকারাগুয়ার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
সভায় সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে আজ দেশের সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। ভিসা নীতিতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এ দেশে কী ধরনের নির্বাচন হয়।
সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের লবিস্ট বা কনসালট্যান্টরা চেষ্টা করছেন, এই যে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা থেকে ঘুরে আসলেন সেখানে হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা কংগ্রেসে দেখা করা যায়। গত ৫২ বছর আমরা স্বাধীন হয়েছি, এরশাদের মতো নেতাও আমেরিকা গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা না করে ফেরেননি। এই প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সভায় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া পলাশের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
যারা একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন এবং বলেছিলেন এদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সবসময় থাকবে কিন্তু এরাই এটা বিলুপ্ত করে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য দিনের ভোট রাতে হয়ে যায়।নির্বাচন হওয়ার আগে ১৫৩ আসন নির্ধারিত হয়ে যায়। এদেশের মানুষকে আর কত ধোঁকা দিবেন?
কত মহাজনের কত থিওরি। এরাই দেশ কে ডুবায়। দয়া করে বলবেন ভোট চুরি কে করেন নি? অন্তত হ্যা - না ভোটের কথা তো মনে আছে?
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে
এমপি বাহারের আবেদনে সাড়া মেলেনি/ ঘরের বউকে ঘরে তুলতে বললেন আদালত
এনডিটিভি'তে সাগরিকা সিনহা/ শেখ হাসিনার ধারণা, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]