শরীর ও মন
বিশ্ব ব্লাড ক্যান্সার দিবস-২০২৩
ব্লাড ক্যান্সারের কারণ ও লক্ষণ
ডা. মাহমুদুল হাসান সরদার
৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
ব্লাড ক্যান্সার
ব্লাড ক্যান্সার হলো রক্তকোষের ক্যান্সার। লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা ও মায়োলোমাÑ প্রধানত এই তিনটি ক্যান্সারই হলো ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তরোগ ক্যান্সার।
শরীরের রক্তকোষ তৈরি হয় বোন ম্যারো বা অস্থিমজ্জায়। তৈরির পর কয়েকটি ধাপে কোষগুলো পরিণত হয়ে তারপর রক্তপ্রবাহে আসে। যদি কোনো কারণে এই কোষগুলো অতিমাত্রায় বিভাজিত হয় এবং ঠিকভাবে পরিপক্ক না হয়ে রক্তপ্রবাহে চলে আসে তখন এরা শরীরের কোনো কাজে তো আসেই না উল্টো নানা ধরনের উপসর্গ তৈরি করে। সাধারণত নানা ধরনের শ্বেত রক্তকণিকাই এতে আক্রান্ত হয় বেশি।
ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার কারণসমূহ
নির্দিষ্ট কারণ করে বলা কঠিন। তবে দীর্ঘদিন দীর্ঘসময় ধরে উচ্চমাত্রার রেডিয়েশনের সংস্পর্শে এলে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। কেমিক্যাল বর্জ্য, রঙের কারখানা, ধূমপান, কীটনাশক ইত্যাদি কারণ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ এক ধরনের ভাইরাসের কারণেও হতে পারে।
সাধারণত এসবের প্রভাবে শরীরের কোষাভ্যন্তরে যে জিন থাকে সেগুলোর মিউটেশন হয়, ক্রমোজমের বাহুগুলোতে কিছুটা এদিক-সেদিক হয়। তখন কোষ বিভাজনে কিছু উল্টাপাল্টা সিগন্যাল কাজ করে। ফলে রক্তের কোষ ব্যাপক হারে উৎপাদিত হয় এবং সেগুলো পরিণত না হয়েই রক্তপ্রবাহে চলে আসে।
কতিপয় লক্ষণ
জ্বর, রক্তশূন্যতা, ত্বকে র্যাশ, হাড়ে ব্যথা, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত যাওয়াÑএসব লক্ষণগুলো একসঙ্গে দেখা দিলে সাবধান হয়ে যাবেন। সন্দেহ করতে পারেন যে আপনার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে।
শনাক্তে পরীক্ষা
রক্তের ফিল্ম পরীক্ষা করলেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগ বোঝা যায়। তবে আরও নিশ্চিত হতে হলে বোন ম্যারো পরীক্ষা করতে হবে। ফ্লো সাইটোমেট্রি বা ইমিউনোফেনোটাইপ সরকারি হাসপাতালে করা যায়। এগুলো হলো নিশ্চিতকরণ পরীক্ষা। সাইটোজেনেটিক্স করা হয় রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের জন্য। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেয়া যায় ।
কেন সচেতনতা প্রয়োজন
যেহেতু এর কিছু কারণ দেখা যায় তাই যেসব কারণে হয় তা থেকে সাবধান ও সচেতন হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে এই ক্যান্সারের প্রকোপ বেড়েই চলছে তাই আমাদের সবারই এই ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
লেখক: সরদার হোমিও ক্যান্সার চিকিৎসক, সরদার হোমিও হল ৬১/সি, আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সেল: ০১৭৩৭৩৭৯৫৩৪