দেশ বিদেশ
বৃটিশ কাউন্সিলে জলবায়ু বিষয়ক চার প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২৮ মে ২০২৩, রবিবার
ঢাকা ডকল্যাব ও বৃটিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক জলবায়ুু বিষয়ক ৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টা থেকে বৃটিশ কাউন্সিলের ফুলার রোডস্থ মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয়েছে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক ৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ‘বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ডকল্যাব ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে এবং বৃটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় সম্প্রতি এ প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসরত তৃণমূল জনগোষ্ঠী এবং নদীর পাশে বসবাসরত অঞ্চলের মানুষের জীবন ও অভিজ্ঞতাই প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মূল উপজীব্য। প্রামাণ্যচিত্রগুলো হলো- বাংলাদেশ থেকে আসমা বীথি পরিচালিত দপ্রুঝিরি ও শামসুল ইসলাম স্বপন পরিচালিত লতিকা এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলস থেকে ম্যারেড রিস পরিচালিত আওয়ার হোম: দ্য সি এবং লিলি টাইগার টোনকিন পরিচালিত সি সেলস্ শেলফিশ। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে ৪ চলচ্চিত্র নির্মাতা ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছেন।
সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রগুলোয় নারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত জলবায়ু পরিবর্তনের গল্প তুলে করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, আমাদের দেশ জলবায়ু দূষণে তেমন কিছু করে না। আমরা শিল্পের ক্ষেত্রে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়ে গেছি। আমরা খুব বেশি ধোঁয়া বা ধুলো কোনোটাই বেশি ছড়াই না। তবে ধোঁয়া-ধুলোর কোনো সীমানা নেই। ভারতে ও নেপালের ধোঁয়া-ধুলো আমাদের দেশে আসে। আমাদেরটা তাদের কাছে যায়। দুনিয়াজুড়ে এটা ঘটছে। তাদের কোনো পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন হয় না। এই দূষণের ক্ষেত্রে সকলে মিলে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অতীতে জলবায়ু বিষয়ক নানা সম্মেলন হয়েছে। যেসব দেশের সম্পদ অনেক বেশি, নানাভাবে তারা সঞ্চয় করেছে। কীভাবে সঞ্চয় করেছে এখানে বলার প্রসঙ্গ নয়।
তারা সেসব সম্মেলনে কথা দিয়েছিল আমাদের মতো দেশগুলোকে কিছু অর্থ দেবে। সেটা ধার হিসেবে নয়, দায় হিসেবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়ে উঠেনি। সেটা তাদেরকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। কারণ, জলবায়ু দূষণের জন্য তারাই প্রধানত দায়ী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়াও অতিথি এবং দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, গবেষণা ক্ষেত্র, শিক্ষা ক্ষেত্র, পরিবেশ ও জলবায়ু প্রভৃতি নিয়ে সক্রিয়ভাবে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে ৪টি প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক, প্রযোজক ও প্রামাণ্যচিত্রের কলাকুশলীদের পরিচয় পর্ব এবং একটি অংশগ্রহণমূলক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।