ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

কেসিসি নির্বাচন

জনরায় মেনে নেবেন খালেক, সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় মধু

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৮ মে ২০২৩, রবিবার

আগামী ১২ই জুন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নেমেছেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণায় নেমেছেন খুলনায় ৪ মেয়র প্রার্থী। থেমে নেই ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী। ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।  এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের রায় মেনে নেয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। গাজীপুরে জনগণ যে রায় দিয়েছে, তা আমরা মেনে নিয়েছি। এর আগেও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আমি পরাজিত হয়েছিলাম, তা মেনে নিয়েই এ অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছি। তিনি বলেন, খুলনা শহরে উন্নয়ন হয়েছে, তবে তা দৃশ্যমান হতে আরও প্রায় ৬ মাস সময় লাগবে। 

১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হলে খুলনা হবে তিলোত্তমা নগরী।

বিজ্ঞাপন
 তবে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু। তিনি বলেন, আমার মনে হয় নির্বাচনের পরিবেশ ভালো হবে না। কেননা, নির্বাচন কমিশন এতটা শক্তিশালী নয়। যদি আওয়ামী লীগ সরকার চায়, তাহলেই শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আর যদি তারা সেটা না চায়, তাহলে হবে না। জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে। জনগণ তো ভয়ে কেন্দ্রে যাবে না। প্রতিটা ক্ষেত্রে জনগণ মার খেয়েছে। এই সরকারের প্রতি কোনো আস্থা নেই। তিনি বলেন, পেছনের দিকে আমরা যদি তাকাই, তাহলে দেখা যাবে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদসহ যত নির্বাচন হয়েছে তাতে নাগরিকদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।

 এটা নাগরিকদের আবার ফেরত দিতে হবে। আমি ভোটকেন্দ্রে গেলে ভোট দিতে পারবো না-জনগণের মধ্যে যে এমন ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে সেটাও দূর করতে হবে। ইভিএম বিষয়ে তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ মিনিটে একটা কেন্দ্রের ফলাফল দিতে পারে না। ফলাফলে এত সময় লাগবে কেন? নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়টি দেখা উচিত।  এসব বিষয়ে খুলনা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রত্যেককে ৩ থেকে ৪টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে আমাদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে ট্যাগ করানো আছে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্সও থাকবে। প্রার্থীদের আচরণবিধিতে যেসব বিষয় উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো কেউ লঙ্ঘন করছে কিনা, যদি কেউ করে থাকে প্রাথমিকভাবে তাদের ডেকে আমরা সতর্ক করছি। প্রার্থী, তাদের এজেন্ট ও দায়িত্বশীল যারা রয়েছেন, তাদের আমরা সতর্ক করছি। পরবর্তীতে যদি কেউ নির্দেশ অমান্য করে, সেক্ষেত্রে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। 

কেসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে আচরণবিধি মেনে চলা। প্রার্থীরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন, তাহলে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব প্রার্থী যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা করেন, সেই আহ্বান জানাচ্ছি। যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

মোবাইল হ্যান্ডসেট/ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ এখন সংকটে

মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টির সম্মেলন সম্পন্ন / ‘আমরা আওয়ামী লীগে নেই, বিএনপিতেও নেই

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status