ঢাকা, ১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি জনগণের দাবির সুস্পষ্ট প্রতিফলন: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার

(৫ দিন আগে) ২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৯ অপরাহ্ন

mzamin

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটাই জানান মির্জা ফখরুল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েব সাইটে ‘পরিবর্তিত ভিসা নীতি’ প্রকাশের ২৪ ঘন্টা পর তিনি এই বিবৃতি দেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করার সকল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এবং একই সাথে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ন সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৩শে মে থেকে স্কয়ার হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে দলের সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরে এই বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

সুষ্ঠু নির্বাচনই চলমান সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে এবং বিদেশে তার প্রত্যাখাত অবস্থাকে অনুধাবন করে অবিলম্বে পদত্যাগ করবে এবং ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ বাতিল ঘোষণা করবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সকল মহলের দাবি ও প্রত্যাশা। চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক তথা জাতীয় সংকট থেকে মুক্তিলাভের এটাই একমাত্র পথ।

পাঠকের মতামত

সব ব্যাপারে একতরফাভাবে পরনির্ভর মনেবৃত্তির সরকারের কাছ থেকে ঘাটতি মোকাবেলার ব্যাপারে জনগণের খুব একটি বিশ^াস জন্মাবার কথা নয়। কারণ কোন ব্যাপারেই সরকার কোন দক্ষতার দাগ দেখাতে পারে নাই। দেউলিয়া অর্থনীতির বোঝা কাঁধে নিয়ে পোশাক শিল্পকে খাদের কিনারায় নিয়ে দাঁড় করাতে সরকারের গাফিলতিও অস্বীকার করার উপায় নেই। যখন সরকারের অর্থমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে বুক ফুলিয়ে সরকারের সুরে একই লাগামছাড়া মন্তব্য ছুড়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রচার করেন, “আমি বিশে^র এক নম্বর অর্থমন্ত্রী”(৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০, আমাদের সময়)। শেয়ার বাজারের সীমাহীন ধ্বসের উপর দাঁড়িয়ে এ হুংকার যেন ‘সিংহ আমি বনের রাজা’র মতই অহংকারী ভারসন। অর্থমন্ত্রী এতই সুবোধ বালক যে, ব্যাংকের মালিক ডিরেক্টররা ঋণ নিয়ে বসে থাকলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়ার দরকার বোধ করেন না। মনে হয় উনার লজ্জা লাগে। ঠিক যেভাবে ভারতীয়রা মালামাল বিনা ট্রানজিটে পার হয়, শুনেছি বাংলাদেশ সরকার চাইতে লজ্জা পায়! দেশ থেকে কোটি কোটি হাজার কোটি টাকা পাচার হলেও অর্থমন্ত্রী কোন ব্যবস্থা নেন না। কি কারণে তার এমন নিরবতা, সেটি তিনি ভালো জানেন। তবে নিজের কাজেকর্মে স্বচ্ছতা না থাকলে অপরকেও সুবিধা দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। শক্তির নীতিতে তারা দক্ষ, উল্টে পাল্টে দে মা, লুটেপুটে খাই! যখন চারপাশে এমন সংকট তখন একজন বড়ভাই যখন সব আপদে বিপদে দাঁড়ায়, বিলিয়ন বিলিয়ন সহায়তা দেয়, তার থেকে কি মারমুখি দাদারাই সুহৃদ বেশী? যারা গোটা দেশ থেকে লুটে তো নেয়ই, বর্ডারে প্রতিসপ্তাহে ফেলানী নিধনের পর থেকে তার বাকী ভাইদের নিধন করে। সুস্থ চিন্তার বিকাশ ঘটিয়ে সুস্থ ভাবে বাঁচার রাস্তা খুঁজে নিক, খুঁজে পাক দেশবাসী।

Nazma Mustafa
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার, ৬:৩০ অপরাহ্ন

আমেরিকার এই বারতা বিএনপির জন্য কতটুকু পজিটিভ এখনো বুঝতে পারছি না এটা কি আওয়ামিলীগের অধিনেই আবার একটি নূতন চালাকির নির্বাচনে টেনে নেওয়ার পরিকল্পনার অংশ ? যে বিএনপি বর্তমান সরকারের অধিনে তত্বাবধায়ক ছাড়া কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না এবং নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছে সেখানে আওয়ামিলীগ যদি বহিঃবিশ্বে সংবিধানের বাধ্যবাদকথার দোহাই দিয়ে নির্বচনের সুনদর ছলাকলা পূরনের খেলা খেলে আবার নূতন কায়দায় নির্বাচন করে তবে বিএনপি কোন পলিসি দিয়ে তা প্রতিহত করবে ? তা এখনই জনগনকে সচেতন করে আন্দোলনের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে ঝাপিয়ে পড়ে দাবি আদায় করতে হবে শেষ সময় এর জন্য অপেক্ষা করলে আওয়ামিলীগ সময় পাবে বিশ্বকে দেখাবার যে বিএনপি নির্বাচনকে বাধাগরসত করছে।আমাদের দাবি গনতন্ত্র পুনঃপরতিষটা আইনের শাসন এবং তত্বাবধায়ক ব্যাবসতার পুনর্বহালসহ সুষ্ট নির্বচনের ব্যাবসতা খালেদা জিয়া সহ সমস্ত রাজবন্দির মুক্তি এবং প্রতি হিংসামূলক লাখ লাখ মামলা প্রত্যাহার গুম খুনের বিচার এ সমস্ত কিছু বিদেশিরা এসে করে দিয়ে যাবে না বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চাইলে অনতিবিলম্বে সমস্ত বিরোধি দলকে এক কাতারে সামিল হয়ে জনগনকে নিয়ে এক্ষুনি বাংলাদেশ রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়তে হবে না হলে আমেরিকার বকতব্য আমলে নিয়ে চুপ করে হাসিনার পাতানো নির্বচনে গেলে হিতে বিপরিত হওয়ার সুযোগ আছে কারন আওয়ামিলীগের লোকজন বা প্রশাসনের কর্তাব্যকতিদের এত টাকা পয়সা আছে যে তাদের জিবনে আমেরিকায় না গেলেও কিছু যায় আসে না তারা দেশকেই আমেরিকা ইউরোপ বানিয়ে বসবাস করছে আর এখন সবাই জানে আমেরিকা এখন আর সরগোরাজ্য নয় যে এখানে আসলেই রাজা মহারাজার মতে দিন কাটাবে ,এখানে টিকে থাকতে হলে প্রচন্ড পরিশ্রম এবং মেধার পরয়জন অথচ বাংলাদেশে অনায়াসে ব্যাংকের লোন নিয়ে ঋন খেলাপি হয়ে মরে গেলেও সে জনপ্রিয় নায়ক হয় (পরায়ত ফারুক তার প্রমান )এত সহজে দুনিয়ার কোথাও কেউ ধনি হয় না কাজেই সত্যি বলছি গত চৌদ্দ বৎসরে এরা যা কামিয়েছে তা ঠিক সেই ১৯৭২-১৯৭৫ এর একশত গুন বেশি তা দিয়ে আরো তিরিশ বৎসর পারটি এবং নিজেরা চলতে পারবে ১৯৭৫ থেকে একুশ বৎসর আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় না থেকেও পঁচাত্তরে পূর্বের কামাই করা অর্থ দিয়ে চলেছে কাজেই আবারো তারা চলতে পারবে এসব আমেরিকায় না গেলেও ওদের চলবে।বিএনপিকে রাস্তায় আন্দোলন মোকাবেলা করেই তার দাবী নিজেদের আদায় করতে হবে তার কোন বিকল্প নেই মনে রাখতে হবে আমেরিকা মিশরের জেনারেল সিসি থেকে শুরু করে ফিলিপাইনের প্রাক্তন সৈর শাসক মার্কোস মধ্যপ্রারচ্যের একনায়ক শাসকদের নিরবিচছিনন্যভাবে সহযোগিতা দিয়ে গেছে তখন গনতন্ত্রের এনটিবায়োটিক ট্যাবলেট কোথায় থাকে ? সারথের টান পড়লেই তাদের টনক নড়ে এর আগে না।কই তারাতো সুষ্ট নির্বাচনে বিরোধি দলের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীর পক্ষে পরোক্ষ চাপ বর্তমান সরকারকে দিতে পারতো আমেরিকানরা চাইলে সব পারে তাদের সিআইএ এর রিপোর্ট নির্ভুল হয়।

Musa Amin
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৪০ অপরাহ্ন

Tulip আওয়ামিলীগের পক্ষে আপনার একচোখা কমেন্ট পড়তে পড়তে ক্লান্ত। তবে আজ দেখছি আঁতেল বুদ্ধিজীবির মতো বিএনপিকে পরামর্শ দিচ্ছেন জলন্ত তাওয়া থেকে আগুনে ঝাপ না দিতে।আরে ভাই বিএনপিত গত দেড় যুগ ধরে ভয়ংকর স্বৈরাচারের নির্মম নিপীড়নের অগ্নিকুন্ডের বিরুদ্ধেইত লড়াই করছে।

মাকসুদ
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:০৫ অপরাহ্ন

মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের অনেক দোষ আছে সত‍্য কথা কিন্তু ভালো কাজের অনেক উদাহরণ আছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী অস্থায়ী বাসিন্দা।

মো হেদায়েত উল্লাহ
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৫ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার কথা বলেছে, সাংবিধানিক নয়। বর্তমান সংবিধান, রাতের ভোটের অসভ্য সংবিধান। এ পার্থক্য স্বৈর সাশকদের অনুধাবন করা প্রয়োজন।

মতিউর রহমান
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:২৭ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র দুরবল রাস্ট্রগুলোতে প্রভাবক নয় অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। আমাদের মত দেশকে ক্যামোফ্লাজ করে তাদের স্বার্থ হাসিল করে। সুতরাং তাদের এইসব কীর্তি -কলাপ নিয়ে আলোচনা করা, সিদ্ধান্ত নেওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর স অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আলগা মাতব্বরি থেকে বের হয়ে এসেছে, আমরা বাংলাদেশিরাও ইনশাআল্লাহ এর থেকে বের হয়ে আসতে পারব। বিএনপির প্রতি আমার মত একজন ক্ষুদ্র মানুষের একটাই পরামর্শ ঃ নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে, ঘুম, খাওয়া, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া যেমন অন্য কাওকে দিয়েহয় না ঠিক তেমনি। আমেরিকা কখনো বিনা স্বার্থে কিছু করে না। গরম তাওয়া থেকে আগুনে ঝাপ না দেওয়াই ভালো।

Tulip
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:১১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের জনগণের গনতান্ত্রিক ভোটের অধিকার নিশ্চিতে মার্কিন ভিসা নীতি একটি কড়া বার্তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, সরকারি, বেসরকারি আমলা, বিচার বিভাগের লোকজন এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য। যারাই জনগণের গনতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকারে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের জন্য মার্কিন ভিসা নীতি কড়া সতর্কবার্তা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। "'বাংলাদেশে ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে’ যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, এটাকে ‘কঠোর সতর্কবার্তা’ হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকার বা দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসেনি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—দুই দলই এটিকে একে অন্যের জন্য সতর্কবার্তা বলে প্রচার করছে। এ ছাড়া বিএনপি ও জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।" (কূটনৈতিক প্রতিবেদক, প্রথম আলো ২৬ মে ২০২৩) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য হচ্ছে, "যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নয়। আমাদেরও এটা কথা, এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তাদের অবশ্যই প্রতিহত করা হবে। এই সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায়। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা কথা বারবার বলে আসছি। আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, অবাধ সুষ্ঠুভাবে করব। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্পষ্ট করে আমরা এটা বলতে চাই, যারা আন্দোলনের নামে নির্বাচনকে সামনে রেখে বাসে আগুন দেয়, বাস ভাঙচুর করে, তারা পলিটিক্যাল ভায়োলেন্সে (রাজনৈতিক সহিংসতা) আছে। কাজেই তাদের খবর আছে।’" (বাসস, প্রথম আলো ২৫ মে ২০২৩) আওয়ামী লীগের অধীনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি সহ সব বিরোধী দল অংশ গ্রহণ করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ কার্যত ভোট দিতে পারেনি। রাতের বেলায় ভোট করে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তাই তাদের কথায় এখন কেউ বিশ্বাস করতে পারছেনা। বিশ্বাস করার কারণও নেই। কারণ, আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। এরপর থেকে আর সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সুতরাং আওয়ামী লীগের হম্বিতম্বি কথায় মানুষের বিশ্বাস নেই। নির্বাচন কালীন নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং এটাই একমাত্র সমাধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আওতা মুক্ত থাকার। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করার সকল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এবং একই সাথে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ন সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি।" (মানবজমিন ২৬ মে ২০২৩) জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই ভিসা নীতি ৩ মে সরকারকে অবহিত করে। এরপরও সভাসমাবেশে বাধাদান ও হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং চিরাচরিত নিয়মে হামলার পরে মামলা দিয়ে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষকে দমন-পীড়ন করা অব্যাহত আছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সভাসমাবেশের স্বাধীনতা সীমিতকরণ চালু রয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটের গনতান্ত্রিক অধিকার হরণ করাও অব্যাহত থাকবে ধরে নেয়া যায়। যদি সেটাই হয়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণের জীবন যাপন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়বে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গভীর খাদে পড়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই। তাই সময় থাকতে সরকারের বোধদয় হওয়া উচিত। চীন ও রাশিয়া বলয় বাংলাদেশকে রক্ষা করার সক্ষমতা নেই। ভারত শুধু কেবল নিতে জানে, দিতে জানেনা।

আবুল কাসেম
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:৫৯ অপরাহ্ন

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status