ঢাকা, ১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

প্রথম পাতা

মার্কিন দূতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বিএনপি, জাপা নেতাদের বৈঠক

ভিসা নীতিতে বিএনপি-জাপা’র সমর্থন

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবারmzamin

বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িতদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা। গতকাল রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই বৈঠক হয়।  বৈঠকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ জানিয়েছে এই বিষয়ে তাদের কোনো অসুবিধা নেই। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এক বার্তায় বলেন, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এই নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।

গতকাল বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে বৈঠক শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন
তিন দলের দুই জন করে বৈঠকে অংশ নেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দলটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত, বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির পর দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ভাবনা জানতে ও ‘পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক্স’ বিষয়ে বৈঠকের আয়োজন করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি একত্রে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক চলাকালীন সময়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করেন। 
সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন তারা। বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যা সব দলের অংশগ্রহণ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলো ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায় আমেরিকা। 

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় বৈঠকে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ গতকাল মানবজমিনকে বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে তাকে বলেছি যে, নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে বন্ধুত্ব তা অটুট থাকবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি তা আমরা নাকচ করছি না। 

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিমালার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বিএনপি’র। বিএনপি’র দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ভিত্তি ছিল নির্বাচন। যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমেই নির্বাচন করবে তারা। এখন মার্কিন ভিসা নীতিমালায় তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো সমর্থন নেই। দ্বিতীয়ত মার্কিনরা চায় অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, যারা সেখানে বাধাগ্রস্ত করবে তাদেরকে ভিসা সংক্রান্ত সতর্কবার্তা দিয়েছে। এটা স্যাংশন নয়। তিনি আরও বলেন, বিএনপি এতদিন ধরে বলে আসছে শেখ হাসিনার অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। যেকোনো মূল্যে তারা নির্বাচন প্রতিহত করবে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি অনুযায়ী নির্বাচন প্রতিহত করলেও তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রেস্টিকসন আসবে। এ ছাড়া বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দেশে-বিদেশে বলে আসছে যে তারা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা মার্কিন নতুন নীতিমালায় কোনো কিছ্ ুউল্লেখ নেই। এর ফলে বিএনপি’র আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে। 

ওদিকে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমীর খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ক্ষমতাসীনদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে বড় ধরনের ‘সিগন্যাল’। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভোট রিগিং হচ্ছে, ভোটের দিন ছাড়াও প্রতিদিন ভোট রিগিং হয় বাংলাদেশে। এটা বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। 

তিনি বলেন, ভিসা নীতিতে একেবারে সরাসরি যাদের কথা বলেছে এবং তাদেরকে যে ম্যানশন করেছে- এটা একটা বড় পদক্ষেপ। এটা তাদের (ক্ষমতাসীন দল) জন্য বড় মেসেজ। এই মেসেজ না নিয়ে আবারো যদি বাংলাদেশের ভোটচুরির প্রক্রিয়ায় অব্যাহত থাকে তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা দরকার। মার্কিনদের ভিসা নীতিকে স্বাগত জানানোর কারণও ব্যাখ্যা করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা এটাকে ওয়েলকাম করছি এই কারণে যে, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এই ধরনের একটি পদক্ষেপ আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।

বিএনপি’র পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক আমীর খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির মাধ্যমে যেসব কিছু হবে তা নয়। এটা একটি সিগন্যাল। বাংলাদেশের মানুষ যে ভোট দিতে পারছে না, বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে, জীবনের নিরাপত্তা শঙ্কার মধ্যে আছে এটা একটা মেসেজ। প্রতিনিয়ত এই যাদের কথা (ভিসা নীতিতে) উল্লেখ করেছে এই লোকগুলো, এই সংস্থাগুলো বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এবং যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

আমীর খসরু বলেন, এই স্টেটমেন্টটা কিন্তু কান্ট্রি স্পেসিফিক-বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশের সংগঠনগুলোকে স্পেসিফিক বলেছে, এটা বাংলাদেশের ব্যক্তিগুলোকে স্পেসিফিক বলেছে। এটা একেবারে কম্প্রিহেনসিভলি যারা যারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে দখল করার জন্য, ভোট চুরির মাধ্যমে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যত ধরনের সংগঠন-ব্যক্তিসহ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সরাসরি অ্যাড্রেস করেছে। তিনি আরও বলেন, এরমধ্যে তারা বিচার বিভাগের কথা বলেছে, সাংবাদিকদের কথা বলেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা বলেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের কথা বলেছে। যারাই ভোট চুরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবে সবার প্রতি এটা যুক্তরাষ্ট্র অ্যাপ্লাই করবে।

এর আগে গত বুধবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের স্বার্থেই তাদের এই পদক্ষেপ বলে জানায় দেশটি। র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার দেড় বছর পর ভিসা নিয়ে ওয়াশিংটনের নতুন নীতির ঘোষণা এলো। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি বিএনপি’র জন্য সফলতা কিনা- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, এটা সফলতার বিষয় না। সফলতা হবে বাংলাদেশের মানুষ যেদিন ভোট প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে তাদের সরকার নির্বাচিত করতে পারবে সেদিন। তিনি আরও বলেন, সেই উদ্দেশ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপের মধ্যে এটা (যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নীতি) হয়তো ভালো পদক্ষেপ। দেশবাসী এটা সাদরে গ্রহণ করেছে। এটার মাধ্যমে তারা আশা করছে যারা ভোট চুরির সঙ্গে জড়িত হয়ে গেছে সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হোক, সেটা গণমাধ্যম হোক, সেটা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে হোক সকলের প্রতি এটা একটা পরিষ্কার বার্তা। এই ভিসা নীতির ঘোষণায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশকে অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না, বাংলাদেশে মানবাধিকার, বাংলাদেশে আইনের শাসন, জনগণের নিরাপত্তা ইত্যাদি সব। এই যে মুক্তির সংগ্রামের পথে এটা একটা পদক্ষেপ।

 অনেকগুলো পদক্ষেপ এখানে নিতে হবে যেন তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) আবারো ভোট চুরি করে দেশের ক্ষমতা দখল করতে না পারে। আমীর খসরু বলেন, অলরেডি ভোট চুরি চলছে। এই যে বিএনপি’র ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা- এটা কি ভোট চুরি না, মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে- এটা কি ভোট চুরি না, এই যে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের গুলি করছে, গ্রেপ্তার করছে- এটা কি ভোট চুরি না। ভোট চুরি চলছে, গণহত্যা চলছে। মানুষকে প্রতিদিন অত্যাচার করা হচ্ছে। এটাকে মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকারি দল যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন নয়, বিএনপি কি উদ্বিগ্ন- এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সরকার উদ্বিগ্ন না হলে ভালো কথা। তাহলে তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা এগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না দিলে তাদেরকে উদ্বিগ্ন হতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দিয়ে আবার যদি মানুষের ভোট কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে তাহলে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকবে।

বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন সরকার বাংলাদেশের জন্য যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। প্রতিটি দলই তাদের মতামত দিয়েছে। নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একদল আরেক দলের সম্পর্কে বলেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসা নীতির উদ্দেশ্য বোঝা গেছে, তারা একটা ফেয়ার ইলেকশন চায় এবং নির্বাচনটা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। এই ব্যাপারে আমাদের দলও একমত। আমরা বলেছি, মার্কিন সরকার যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যারা এ ধরনের কাজ করবে, ইলেকশন আনফেয়ার করার জন্য জোর-জবরদস্তি করবে, সে যেই হোক মার্কিন সরকার যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় ভিসার বিষয়ে সেটা সেই গভর্নমেন্টের বিষয়।

পাঠকের মতামত

একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি এতদিন আওয়ামী লীগ বিএনপি'র সাথে কোন জায়গায় বসতে চাইত না নানা ভুয়া অভিযোগ তুলত এখন যখন ঠেলা লাগছে সুরসুরিয়ে বাবাজিকে নিয়ে বিএনপির সাথে বৈঠক করছে

মুহাম্মদ আবুল কালাম
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:০১ অপরাহ্ন

বৃটিশ আমলে শোষণের শিকার দাদা-নানারা, পাকিস্থানের আমলে শোষণের শিকার বাপ-চাচারা, বাংলাদেশ আমলে শোষণের শিকার আমরা। এই ভাবে কি কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে? বাংলাদেশি জাতির পাপ-কর্ম কি অনেক বড়? নাকি এই জাতি অচিরেই শেষ হয়ে যাবে? স্বৈরশাসকদের কারাগার থেকে,দুঃশাসন থেকে কখনই মুক্তি পাবনা? হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত, লোভ লালসা হীন, সততা-মানবতা-উদারতার বাংলাদেশ কখনও প্রতিষ্ঠিত হবেনা? হে সৃস্টিকর্তা আপনিতো মহান দয়ালু, মহান ক্ষমাশীল, আপনি আমাদের মুক্ত করুন।আমীন।

মোঃ শহীদুল ইসলাম
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:৩০ অপরাহ্ন

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ১৪/১৮ সালের মত ঘটনা নিশ্চিত ঘটবে তাই যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই অংশগ্রহনমুলক এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে হলে দলীয় সরকারমুক্ত, দলীয়ভাবে সাঁজানো প্রশাসনমুক্ত নির্দলীয় সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন করার বিকল্প কিছুই নাই।

শাজিদ
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

গাজীপুরে মিশ্র মডেলের ভোট/ জাহাঙ্গীরের ছায়ার কাছেই হেরে গেলেন আজমত

নির্বাচিত হলে জাতীয় সরকার, ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার, শিগগিরই ঘোষণা/ বিএনপি ও সমমনাদের যৌথ রূপরেখা চূড়ান্ত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status