দেশ বিদেশ
কেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে নেতা বেশি
মো. আল আমিন, গাজীপুর থেকে
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
শেষ হলো গাজীপুর সিটি করপোশেন নির্বাচন। গতকাল সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছিল। ভোট গ্রাহনের শুরুতে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভোটার উপস্থিতি। তবে কেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলন মনির হোসেন। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট দিয়েছি। অনেক সুন্দর ভোট হচ্ছে। তবে মানুষ কম এসেছে। ধীরে ধীরে বাড়বে। খোকন ইসলাম বলেন, আমার আঙুলের ছাপে সমস্যা হয়েছিল।
৮ ঘন্টায় ভোট পড়েছে ২৩ শতাংশ
গাজীপুর সিটির নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কৌতুহল থাকলেও অনেকেই ভোট দিতে যাননি। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। গাজীপুরের কাশিমপুরের মোহাম্মাদিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার চিত্রও ছিল একই রকম। ভোট শুরু হওয়ার ৮ ঘণ্টা পার হলেও এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে মাত্র ২৩ শতাংশ। ১৮০৩ জন ভোটারের মধ্যে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ভোট ভোট দেয় মাত্র ৪২৪ জন। কেন্দ্রটি ঘুরে দুই-তিন জনকে স্কুলের আশেপাশে ঘুরতে দেখা যায়। তাদের গলায় নৌকার মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা খানের ব্যাচ ছিল। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর সমর্থক আশাদুল ইসলাম বলেন, সকালে কিছু মানুষ ভোট দিতে এসেছিল। পরে আর তেমন কেউ আসেনি। এখানকার অধিকাংশ ভোটার অস্থায়ী। বিভিন্ন কলকারখানাতে কাজ করে। এজন্য তারা ভোট দিতে আসেনি। দেয়ালঘড়ি মার্কার সমর্থক কাশেম শিকদার বলেন, এই ভোটের প্রতি মানুষের তেমন আগ্রহ নেই। ইভিএমে ভোট দিলে সবাই মনে করে ভোট সুষ্ঠু হবে না। এছাড়া অনেকে ভয়ে ভোট দিতে আসে নাই। তিনি আরও বলেন, এই এলাকাতে বেশিরভাগ মানুষ শ্রমিকের কাজ করে। এক বেলা পরিশ্রম না করলে তাদের ভাত হয় না। এজন্য অনেকে ভোট দিতে আসেনি।
এদিকে ভোট কক্ষের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তার রুমে চুপচাপ বসে আছেন। অন্য বুথগুলোতে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করছেন। আর পোলিং এজেন্টরাও নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় সময় কাটাচ্ছেন।
পাঠকের মতামত
দেশের যেখানেই তাকাবেন দেখবেন আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতা, নেতার কোন অভাব নাই তবুও গাজীপুরে প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীকেই পরাজিত হতে হলো এখন প্রশ্ন হলো এত এত নেতা প্রধানমন্ত্রীর কি উপকারে আসল? নাকি এই লক্ষ নেতা র্কীট হয়ে আওয়ামী লীগকেই ধংস করছে . সামনে মনে হইতেছে নেতাদের ভারে আওয়ামী বৃক্ষটাই না ভেঙ্গে পড়ে.