বাংলারজমিন
কালাইয়ে দরিদ্র প্রতিবন্ধীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই বাজার এলাকায় লুৎফর রহমান নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবন্ধী লুৎফর রহমান অভিযোগে জানান, তিনি কর্মহীন, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র হওয়ায় এলাকার প্রভাবশালীরা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ওই জমি দখলের জন্য হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযুক্তরা হলেন- মাত্রাই বাজারের পার্শ্ববর্তী শাইলগুন গ্রামের মৃত নূরুজ্জামানের ছেলে এনামুল হক ও মৃত আশরাফ আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম, মাত্রাই বাজার এলাকার মঞ্জু তালুকদার ও লুৎফরের নিকটত্মীয় আকলিমা বেগম। লুৎফর অভিযোগ করে জানান, সে তার সাব-কবলাকৃত সম্পত্তিতে বাড়িঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ প্রায় ২ যুগ ধরে বসবাস করছেন। প্রভাবশালীরা তার পরিবারকে তার বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে ওই সম্পত্তি জবর দখলের জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন । সরজমিন গিয়ে জানা যায়, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই বাজার ওই সময় প্রত্যন্ত মফস্বল ছিল।
তাই সে সময় কম মূল্যে জমিটি ক্রয় করেছিল। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য হাটবাজার, যোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠার কারণে এই বাজার এলাকার জমির মূল্যমান অনেক বেড়েছে। ১৯৯০ সালের দিকে একই এলাকার আহম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে লুৎফর ও তার স্ত্রী সাহেরা বেগম কবলা দলিলমূলে ৩৫ শতক জমি কিনেন। ওই সময়ে সেখানে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ এবং বাঁশঝাড় স্থাপন করে গাছ-গাছালী লাগিয়ে বসবাস করা অবস্থায় লুৎফর পক্ষাঘাতগস্ত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন। বর্তমান মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মূল্যবান সম্পত্তির লোভে আকলিমা বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগসাজশে বাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্তদের মধ্যে এনামুল হক ও রাশেদুল ইসলামকে পাওয়া না গেলে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। মঞ্জু তালুকদার জানান, সম্পত্তিতে তার বৈধতা রয়েছে। আর আকলিমা বেগমের সঙ্গে দেখা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি এই জমিতে দানপত্রমূলে অংশীদার দাবি করেন। কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন জানান, ‘বিচার বহির্ভূতভাবে অসহায় প্রতিবন্ধী লুৎফরের পরিবারকে কেউ যাতে জবর দখল বা উচ্ছেদ করতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’