ঢাকা, ১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

বাংলারজমিন

মধুমতির ৯ ট্রাক এখনো চলছে আয়ের টাকা যাচ্ছে কারাগারে

চাঁপাই নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার

এনজিও খুলে গ্রাহকদের শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল হিসেবে অবৈধ অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে ধরা দেন ‘মধুমতি’- গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ রানা। গেল বছরের নভেম্বর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। পরে প্রতারণার অভিযোগে চাঁপাই নবাবগঞ্জ আদালতে অন্তত ৩০ টি মামলা হয়েছে। গ্রাহকদের দায়ের করা প্রতারণায় মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রতারক সিন্ডিকেটের আরও চার সদস্যকে। গত  মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন প্রতারক সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ফারুক হোসেন। তিন ভাইসহ প্রতারক সিন্ডিকেটের ৬ জন এখনো কারাগারে। জানা গেছে, প্রতারক সিন্ডিকেটের প্রধান মাসুদ রানা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধ। তবে গ্রাহকদের টাকায় কেনা ৯ টি ট্রাক এখনও চলছে। ট্রাক থেকে আয়ের টাকা যাচ্ছে কারাগারে। সেই টাকায় কারাগারে বিলাসী জীবন-যাপন করছে প্রতারকরা। 

ট্রাকগুলোর ম্যানেজমেন্টর দায়িত্বে থাকা শরীফুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, মধুমতির ১০টি ট্রাক চলছিল।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু ৪ লাখ টাকা তেলের মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় শহরের একটি পেট্রোল পাম্প একটি ট্রাক আটকে রেখেছেন। বাকি ৯টি ট্রাক চলছে। প্রতি মাসে ট্রাক থেকে আয় হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ট্রাকের মূল্য বাবাদ কিস্তি দিতে হয়। বাকি টাকা কারাগারে থাকা মধুমতির এমডি মাসুদ রানার কাছে পাঠানো হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি লাখে ১২০০ টাকা লাভ দেয়ার প্রলোভনে ৩৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মধুমতি গ্রুপ ।

 ভুক্তভোগীরা বলছেন এই টাকার পরিমাণ ১০০ কোটি টাকারও বেশি। ‘মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত একটি এনজিও বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে এনজিও’র টাকা দিয়ে গড়ে তোলেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নামকরণ করা হয় ‘মধুমতি গ্রুপ’। এই প্রতারক চক্রের সবাই একই পরিবারের সদস্য। মধুমতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ রানা, তার স্ত্রী মোসা. মাহমুদা খাতুন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও মাসুদ রানার আপন ভাই মো. ফারুক হোসেন পরিচালক পদে ছিলেন। 

মাসুদ রানার আরও দুই ভাই আব্দুর রাকিব ও সানোয়ার হোসেনও এ প্রতিষ্ঠানে জড়িত। গত ৬ মাস আগে গোমস্তাপুর থানা পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানটির এমডি মাসুদ রানা। তারপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, মধুমতির প্রতারণার বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু প্রতারণার, তাছাড়া আদালতে মামলা চলছে। এনিয়ে পুলিশের তেমন কিছু করার নেই। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত বলেন, ওই এনজিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ রানা একটি অস্ত্র মামলায় কারাগারে। কিছুদিন আগে আমি পরিচালক মাসুদ রানার ভাই ফারুক হোসেনের সঙ্গে কথা বলি। তিনি মধুমতির সঙ্গে জড়িত নন বলে জানান। তখন ভুক্তভোগীদের আদালতের আশ্রয় নিতে বলা হয়।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

ফিলিং স্টেশনের পরিচালক-ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা/ ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status