ঢাকা, ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

ডিভাইস হাঁটালো প্যারালাইজড মানুষকে

মানবজমিন ডেস্ক:
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
mzamin

১২ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় প্যারালাইজড হয়ে পড়েন গার্ট-জ্যান ওসকাম (৪০)। এরপর ইলেকট্রিক ডিভাইসের সাহায্যে আবার হাঁটার ক্ষমতা অর্জন করলেন তিনি। এই ডিভাইস তার ব্রেন এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুরজ্জুর সঙ্গে কানেক্ট করা। ফলে তিনি হাঁটার কথা চিন্তা করলেই মসৃণভাবে হাঁটতে সক্ষম হন, তার ওই ডিভাইস তাকে হাঁটার সক্ষমতা এনে দেয়। ২০১১ সালে সাইকেল দুর্ঘটনায় দুই পা বিকল হয়ে যায় তার। দুই বাহু আংশিক প্যারালাইজড হয়। কাঁধের কাছে তার স্নায়ুরজ্জু বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে তিনি চলাচলের শক্তি হারান। কিন্তু আবার তিনি হাঁটতে সক্ষম হয়েছেন। তার ব্রেন এবং ক্ষত স্থানে স্নায়ুরজ্জুর সংযোগ ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘ডিজিটাল ব্রিজ’। তা ব্যবহার করে তিনি ক্র্যাচে ভর দিয়েও হাঁটতে পারেন। ওসকাম বলেন, আমার কোমরদেশকে ৫ থেকে ১০ মিনিট নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। 

যখনই তিনি হাঁটার কথা ভাবেন তখনই তার ব্রেনের ইলেকট্রোড বার্তা পাঠায় কেন্দ্রীয় স্নায়ুরজ্জুতে স্থাপিত ইলেকট্রোডে, যা স্নায়ুকে উজ্জীবিত করে। ফলে ওসকাম বলেন, এখন আমি যা চাই, তাই করতে পারি। যদি আমি হাঁটার কথা চিন্তা করি, সঙ্গে সঙ্গে আমার ভেতর উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এই সিস্টেম। এই সন্তুষ্টি আমার জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। 

২০১৮ সালে এই প্রযুক্তির ওপর পরীক্ষামূলকভাবে অংশ নিয়েছিলেন ওসকাম। তাকে তীব্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। প্রযুক্তি কীভাবে স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করতে পারে, তা মানুষকে আবার হাঁটতে সক্ষম করে, সেই পরীক্ষা চালানো হয়। এর তিন বছর পর তার অবস্থার বেশ উন্নতি হয়। তার মাথার খুলির ভেতর দুটি ডিস্ক আকৃতির বস্তু বসানো হয়, যাতে সেখান থেকে দুটি ৬৪-ইলেকট্রোড গ্রিড ব্রেনের মেমব্রেনের বিপরীতে অবস্থান নিতে পারে। এখন ওসকাম যখন হাঁটার কথা চিন্তা করেন, তখন মাথার খুলি থেকে কর্টেক্সে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাকটিভিটি সক্রিয় করে। 

কর্টেক্স হলো ব্রেনের শেষ প্রান্তের স্তর। হাঁটার জন্য ব্রেনকে কমান্ড পাঠাতে হয় কেন্দ্রীয় স্নায়ুরজ্জুকে, যা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কেন্দ্রীয় স্নায়ুরজ্জুতে যদি ক্ষত থাকে, তাহলে যোগাযোগ বা সংকেত পাঠানো বিঘিœত হয় বলে জানিয়েছেন সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির স্নায়ুবিজ্ঞানী প্রফেসর গ্রেগোরি কোর্টিন। তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা হলো এক্ষেত্রে একটি ডিজিটাল ব্রিজ তৈরি করে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের। এর মাধ্যমে মেরুরজ্জুর যে অংশ অক্ষত আছে, তার সঙ্গে সংযোগ ঘটানো হয়, যাতে সে পায়ের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ওয়্যারলেস ব্যবস্থায় সিগন্যাল স্থানান্তরিত হয় একটি কম্পিউটার দ্বারা।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status