প্রথম পাতা
যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশে ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নজিরবিহীন এক ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘোষণায় নির্বাচনে বাধা প্রদানকারীদের মার্কিন ভিসা বন্ধের হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীনে কেবলমাত্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতিটি জারি করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করে গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত কারী ব্যক্তি, পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসায় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে। বুধবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিংকেন ভিসা কড়াকড়ি সংক্রান্ত ওই ঘোষণা দেন। যাকে ‘ভিন্নরকম নিষেধাজ্ঞা’ হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। ব্লিংকেনের টুইট বার্তা, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ বিষয়ক নতুন ওই ভিসা নীতি বা ঘোষণাটি একযোগে প্রচারিত হয়। তাছাড়া তাৎক্ষণিক চ্যানেল আই’র তৃতীয় মাত্রার অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ভিসা কড়াকড়ি বিষয়ক নতুন নীতি নিয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ব্লিংকেনের ঘোষণায় খোলাসা করেই বলা হয়, বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে কেবলমাত্র বাংলাদেশের জন্য ওই ভিসা নীতি প্রণয়ণ করা হয়েছে। এই নীতির অধীনে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল বা বাধা প্রদানের জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্য তথা জীবনসঙ্গী, ছেলে বা মেয়ের ভিসার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপিত হবে।
এই নীতির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোন বাংলাদেশির ভিসা প্রদান সীমিত করবে। নতুন ভিসা নীতির আওতায় বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পড়বেন। বাংলাদেশ সরকারকে নতুন ভিসা নীতি বিষয়ক ওয়াশিংটনের ওই সিদ্ধান্তের কথা ৩রা মে জানানো হয়েছে বলে মার্কিন বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভোট জালিয়াতি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, জনগণকে স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত হওয়ার অধিকার থেকে বিরত রাখতে বল-প্রয়োগ বা সহিংসতা। এছাড়া আছে রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ এবং মিডিয়ার স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা বা প্রতিবন্ধকতা তৈরির যে কোনো পদক্ষেপ! বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, নাগরিক সমাজ এবং মিডিয়া- প্রত্যেকেরই দায়িত্ব রয়েছে। ব্লিংকেন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে যারা এগিয়ে নিতে চান, তাদেরকে সমর্থন দিতে ওই নীতি প্রণয়ণ করা হয়েছে। এদিকে রাতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণকে সমর্থন দিতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ব্রিফিংয়ের শুরুতে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের বিবৃতি পড়ে শোনান। এরপর একজন সাংবাদিক জানতে চান, এটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কি-না? জবাবে মিলার বলেন, এটা নিষেধাজ্ঞা নয়, তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসায় বিধি-নিষেধ দেয়া হবে। তাদের সুনির্দিষ্ট নাম গোপনীয়? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- হ্যাঁ, এটা গোপনেই করা হবে। নির্বাচনে বাধা সৃষ্টিকারী যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। অন্য একজন সাংবাদিক জানতে চান, এটা কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সতর্কতা অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার জন্য কিনা? জবাবে মিলার বলেন- না, এটা আমাদের পক্ষ থেকে একটি সিগন্যাল। যাতে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। এ জন্য দায়ী যেকোনো ব্যক্তিকে জবাবদিহিতায় নেয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে। এটা সব বাহিনী, বিচারবিভাগ সহ সবার জন্য একটি সতর্কতা। যদি নির্বাচনে কোনো অনিয়ম দেখতে পাই তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
নতুন ভিসা নীত নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রশ্ন এবং দূতবাসের জবাব: ওদিকে বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক যে সব প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে তার জবাব দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। রাতে দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রশ্নোত্তর আকারে তা প্রকাশিত হয়। প্রশ্নোত্তরগুলো পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: মার্কিন ভিসার ওই বিধি-নিষেধ (সীমাবদ্ধতা) কার কার জন্য প্রযোজ্য হবে?
উত্তর: নতুন ভিসা নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে বর্তমান বা প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী দলের সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন: এই ভিসা নীতিটি কবে কার্যকর হবে অর্থাৎ এখনই কি বিধি-নিষেধ আরোপিত হবে?
উত্তর: না, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি জে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্ত করা অঙ্গীকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়।
প্রশ্ন: ভিসার ওপর ওই বিধি-নিষেধ কি সরকার বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে?
উত্তর: না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এই নতুন নীতির অধীনে নিষেধাজ্ঞাগুলো এমন আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের টার্গেট করে, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এটা দলমত নির্বিশেষে।
প্রশ্ন: আপনি কি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অবহিত করবেন যে তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে?
উত্তর: যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের জানানো একটি সাধারণ অভ্যাস।
প্রশ্ন: উচ্চ স্তরের আদেশ অনুসরণ করার পরে যারা অপরাধ করে তাদের জন্য ভিসা বিধি-নিষেধ কীভাবে প্রযোজ্য হবে? উচ্চ স্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সঙ্গে যারা আদেশ পালন করছেন তাদের সাথে লিঙ্ক করা কঠিন হলে কী হবে?
উত্তর: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী (অর্থাৎ নির্দেশদাতা এবং বাস্তবায়নকারী) উভয়ের জন্য নীতিটি প্রযোজ্য হবে।
প্রশ্ন: রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা (এসকর্ট) কমানো সংক্রান্ত বাংলাদেশ সরকারের ১৪ মে সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ হিসেবে কি এটি করা হলো?
উত্তর: না, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩রা মে এই নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা সরকাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সিদ্ধান্তটি এসকর্ট প্রত্যাহারের আগেই নেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন এত মাথা ঘামায়?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে অঙ্গীকারবদ্ধ। নতুন ভিসা নীতিটি সেই প্রচেষ্টা এবং বাংলাদেশী জনগণকে সমর্থন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে তারা তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচন করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার ‘বিচলিত নয়’: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী: এদিকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার ‘বিচলিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বুধবার রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। এতে সরকার বিচলিত নয়, যেহেতু আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা বিএনপির জন্যই দুশ্চিন্তার দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপিকে দুশ্চিন্তা করা উচিত, কেননা নির্বাচনের আগে বা পরে সংঘাত রয়েছে ভিসা বিধিনিষেধের আরেকটি মানদণ্ড হিসাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধি-নিষেধের বিস্তারিত জেনে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে বলেও জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত
Why U.S.A. is too much concern about Bangladesh? They still do not support our independence.We know how to handle our country.We do not need you.
এই ভীসানিতি নির্বাচনের উপর কতটুকু প্রভাব ফেলবে বলা মুশকিল। কারন এরা সব কিছু ছাড়তে রাজি শুধু খমতা বাদে। যে কোন প্রকারেই এদের খমতায় থাকতেই হবে। কারন খমতা হারালে কি হবে তা তারা খুব ভালো ভাবে অবহিত আছে। কাজেই গনআনদেলনের কোন বিকল্প নাই। ধন্যবাদ।
এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক।
নির্বাচনের পর কিছু করে কি হবে? নির্বাচন হয়ে গেল। দেখা গেল আওয়ামী লীগ ২০১৪, ২০১৮ এর মত জিতে গেল। তাতে কি লাভ কি হবে এই ঘোষণা দিয়ে ? আমেরিকায় যাবার ভিসা পাবেনা? আবার খমতায় আসতে পারলে তো ওদের আমেরিকা যাবার কোন দরকার ই নাই। দেশেই নারী, বাড়ি, জমিজমা , সব কিছু লুটপাট করে খেতে পারবে।
বাংলাদেশের উচিত আমেরিকার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া। একা না পারলে ভারতের দাদা-বাবুদের সঙ্গে নিয়ে হলে ও আমেরিকার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার এখন ই মোক্ষম সময়।
আমেরিকা ইউরোপ সহ অন্যান্য অমুসলিম রাষ্ট্রগুলো নিজেরা আইন প্রণয়ন করে জনগণের জন্য এবং সে আইনের সুফল যাতে জনগণ পায় সেটা ও তারা নিশ্চিত করে। যদি ও তারা অমুসলিম। আর আমরা মুসলিম হয়ে ও জনগণের অধিকার না দিয়ে উল্টো হরণ করি। অথচ আমরা জন-প্রতিনিধি হয়ে শপথ নি জনগণকে তাদের অধিকার দেওয়ার। এখন আমরা তাদেরকে সমর্থন দিবো না কেন? যেহেতু তারা জনগণের অধিকারের কথা বলছে। আর এ জন্যই তারা এতো উন্নত। লজ্জা লাগে আমরা মুসলিম হয়ে ও জনগণের উপর জুলুম করি, অত্যাচার করি, অধিকার দেই না, জনগণের টাকা মেরে ধনী হই, বিদেশে পাচার করি, বিলাসী জীবন যাপন করি, ভোটের অধিকার দেই না, সরকারি সার্ভিস পেতে ভোগান্তি, আর চরম দুর্ভোগ, ইত্যাদি। যার জন্য তাদের দেশের জনপ্রতিনিধিদেরকে জনগণ মন থেকে ভালোবাসে। আর আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধিদেরকে কাছে পেলে জুতা পেটা করবে। এই হলো পার্থক্য আমাদের সরকার আর তাদের সরকারের মধ্যে।
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেবসহ অন্য হুংকার দানকারী নেতাদের বলছি, “ কেবল তো পারেন অসহায় নিরিহ মানুষদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার করে তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে। তছনছ করে দিতে পারেন গোটা বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরকে। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আরম্ভ করে এমনকি কোন সেক্টর আছে যেটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে পৌঁছান নাই ? কই দেখি এখন সকল প্রকার চেলাচামুন্ডাদের হুকুম দিন আমেরিকার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসতে ! সাহস থাকলে আপনাদের সকল ঘৃণা বিষোদগার উগরে দিন আমেরিকার সরকারের বিরুদ্ধে ! দেখিয়ে দিন না তাদের বিরুদ্ধে কত কঠোর আপনি এবং আপনার সরকার বাহাদুর ?” দুঃখ কেবল একটাই আর তা হলো কোন স্বৈরশাসকই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। মনে রাখবেন পাপের বোঝা এত ভারী করে ফেলছেন যে ‘আপনাদের ধ্বংস অনিবার্য। আল্লাহ কখনই অন্যায় অত্যাচারীকে ক্ষমা করেন না’।
এখন আওয়ামী সাধারণ সম্পাদকের উচিত আমেরিকার ভিসা হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে মিছিল বের করা। ৩ মে এই ভিসা নীতি বাংলাদেশকে জানানো হলেও তা সরকার প্রকাশ করেননি। সরকার প্রধান যখন প্রকাশ্যে বললেন যে যারা স্যাঙ্কসন দেয় তাদের কাছে থেকে জিনিস কিনবেন না। তখনই বুঝেছিলাম ডাল মে কুচ কালা হ্যায়! আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন কেমন হবে তা ২০১৪ ও ২০১৮ সাল তার মাইলফলক। সেটা দেখেই বোঝা যায় তারা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে যে কোনোভাবে বিজয় অর্জন করতে চায়। তাই প্রকারন্তে মার্কিনিরা এটাই বলতে চায় যে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন ৯৯ ভাগ স্বচ্ছ ও রিগিংলেস হবে। সরাসরি এটা বলা কূটনৈতিক ভাষা নয়, তাই ঝির ওপর দিয়ে গেলো মাকে বোঝানোর এই বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত এই ভিসা নীতি।
মানুষের নগদ প্রাপ্তি ও শেষ পরিণাম --------------------------------------------------------- ওমর খৈয়াম নগদ প্রাপ্তিতে তৃপ্ত ছিলেন। তাই তো বলেন, "নগদ যা পাও হাত পেতে নাও/ বাকির খাতা শূন্য থাক/ দূরের বাদ্য লাভ কি শুনে/ মাঝখানে যে বেজায় ফাঁক।" 'দূরের বাদ্য' বলতে যদি পরকাল বুঝানো হয়- তাহলে তার আগে বুঝতে হবে মানুষের জীবনকাল ইহকাল ও পরকাল দুই কালে বিভক্ত। ইহকাল ক্ষণস্থায়ী এবং পরকাল চিরস্থায়ী। অবিশ্বাসী বা নাস্তিকরা এটা মানতে নারাজ। তাদের মতে পরকাল বা অদৃশ্য বস্তু বলতে কিছু নেই। যা চাক্ষুষ দেখা যায় তা-ই সত্য। এটা কিন্তু তাদের বাস্তব জ্ঞান নয়, কল্পনাপ্রসূত বা ধারণা মাত্র। আকাশ ও জমিন এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং এসব কিছুর রক্ষণাবেক্ষণ যিনি করছেন এককভাবে- তিনি দৃশ্য অদৃশ্য সকল জ্ঞানের উৎস। তাঁর বিশাল জ্ঞানভাণ্ডার থেকে যেটুকু তিনি মানুষকে দিয়েছেন তার বাইরে মানুষ কিছুই জানেনা, কল্পনাও করতে পারেনা। কুরআনুল কারিমে মাত্র একটি বাক্যে সংক্ষিপ্ত কথায় মহান আল্লাহ তা'য়ালার বিশাল পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে- যা অতুলনীয়। -"আল্লাহ এমন এক চিরঞ্জীব ও চিরন্তন সত্তা যিনি সমগ্র বিশ্ব-জাহানের দায়িত্বভার বহন করছেন, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। তিনি ঘুমান না এবং তন্দ্রাও তাঁকে স্পর্শ করে না। পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? যা কিছু মানুষের সামনে আছে তা তিনি জানেন এবং যা কিছু তাদের অগোচরে আছে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত। তিনি নিজে যে জিনিসের জ্ঞান মানুষকে দিতে চান সেটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ব করতে পারে না। তাঁর কর্তৃত্ব আকাশ ও পৃথিবী ব্যাপী। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষন তাঁকে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত করে না। মূলত তিনিই এক মহান ও শ্রেষ্ঠ সত্তা।" সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত:২৫৫। আল্লাহর এ পরিচয় থেকে বুঝা যাচ্ছে, মহান আল্লাহর বিশালত্ব অনুযায়ী আমরা কতো ক্ষুদ্র এবং অসহায়। মানুষের প্রকৃত ও আসল ঠিকানা মূলত পরকালই। কর্মের দিক থেকে কে কতো শ্রেষ্ঠ, কে কতো উন্নত কর্ম সম্পাদন করে এবং নৈতিক চরিত্রবলে কে কতো বলীয়ান তা পরীক্ষা করার অভিপ্রায়ে মানুষকে দুনিয়ায় আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছে। -"কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীলও।" সূরা আল-মুলক, আয়াত:২। যা-কিছু দৃশ্যমান তা তো দিবালোকের মতোই দেখা যায়। তাই দৃশ্যমান বস্তু বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের গুরুত্ব নেই। কিন্তু, আমাদের চোখের আড়ালে যা আছে অর্থাৎ যা অদৃশ্য তা বিশ্বাস করার গুরুত্ব এতোটাই অপরিসীম যে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের ভিত্তি পর্যন্ত এর ওপর নির্ভরশীল। আর যিনি সৃষ্টিকর্তা এবং প্রতিপালনকারী তাঁকে না দেখে বিশ্বাস করার ওপর নির্ভর করছে পরকালের সাফল্য। -"যারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে নিশ্চয়ই তারা লাভ করবে ক্ষমা এবং বিরাট পুরস্কার। সূরা আল-মুলক্, আয়াত:১২। ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় এটিই হলো নৈতিকতার মূলকথা। কেউ যদি খারাপ কাজ থেকে শুধু এজন্য বিরত থাকে যে, তার নিজের বিবেক-বুদ্ধির বিচারে কাজটি খারাপ কিংবা সব মানুষ সেটিকে খারাপ মনে করে কিংবা তা করলে পার্থিব জীবনে কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে কিংবা এজন্য কোন পার্থিব শক্তির তাকে পাকড়াও করার ভয় আছে তাহলে সেটি হবে নৈতিকতার একটি স্থায়ী ভিত্তি। মানুষের ব্যক্তিগত বিচার বিবেচনা ভুলও হতে পারে। বিশেষ কোন মানসিক প্রবণতার কারণে সে একটি ভাল জিনিসকে মন্দ এবং একটি মন্দ জিনিসকে ভাল মনে করতে পারে। ভাল ও মন্দ যাচাই করার পার্থিব মানদণ্ড প্রথমত এক রকম নয়। এছাড়াও তা সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয়। দুনিয়ার নৈতিক দর্শনে কোন বিশ্বজনীন ও স্থায়ী মানদণ্ড বর্তমানেও নেই অতীতেও ছিল না। পার্থিব ক্ষতির আশঙ্কাও নৈতিকতার কোন স্বতন্ত্র মানদণ্ড নয়। দুনিয়ার জীবনে নিজের কোন ক্ষতি হতে পারে শুধু এ ভয়ে যে ব্যক্তি খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে, ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই, এমন অবস্থায় সে ঐ কাজ থেকে বিরত থাকতে সক্ষম হবে না। একইভাবে কোন পার্থিব শক্তির কাছে জবাবদিহির আশঙ্কাও এমন কিছু নয় যা একজন মানুষের ভদ্র ও সৎ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। সবাই জানে, পার্থিব কোন শক্তিই দেখা ও না দেখা বিষয়সমূহ সম্পর্কে জ্ঞানের অধিকারী নয়। তার দৃষ্টির বাইরে অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত হতে পারে। যেকোন পার্থিব শক্তির পাকড়াও থেকে বাঁচার জন্য অসংখ্য কৌশল ও ফন্দি-ফিকির অবলম্বন সম্ভব। এছাড়াও পার্থিব শক্তির রচিত আইন ব্যবস্থা সব রকমের অপরাধকে তার আওতাধীন করতে পারে না। বেশীর ভাগ অপরাধই এমন পর্যায়ের, পার্থিব আইন-কানুন যার ওপর আদৌ কোন হস্তক্ষেপ করে না। অথচ পার্থিব আইন ব্যবস্থা যেসব অপরাধের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে সেগুলোর চেয়ে তা জঘন্য। তাই ইসলামী জীবন বিধান নৈতিকতার প্রাসাদ এমন একটি বুনিয়াদের ওপর নির্মাণ করেছে যার ভিত্তিতে অদৃশ্য আল্লাহর ভয়ে সব খারাপ কাজ বর্জন করতে হয়। যে আল্লাহ সর্বাবস্থায় মানুষকে দেখছেন, যার হস্তক্ষেপ ও পাকড়াও থেকে নিজেকে রক্ষা করে মানুষ কোথাও যেতে সক্ষম নয়। যিনি মানুষকে ভাল ও মন্দ যাচাইয়ের জন্য একটি সার্বিক, বিশ্বজনীন এবং পূর্ণাঙ্গ মানদণ্ড দিয়েছেন, শুধু তাঁর ভয়ে মন্দ ও অকল্যাণকে বর্জন করা এবং ভাল ও কল্যাণকে গ্রহণ করা এমন একটি কল্যাণকর নীতি যা ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত মূল্যবান। এ কারণটি ছাড়া যদি অন্য কোন কারণে কোন মানুষ অন্যায় না করে কিংবা বাহ্যিকভাবে যেসব কাজে নেকীর কাজ বলে গণ্য হয় তা করে তাহলে তার এ নৈতিকতা আখেরাতে কোন মূল্য ও মর্যাদালাভের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে না। কারণ তা হবে বালির স্তুপের ওপর নির্মিত প্রাসাদের মতো। আবার, না দেখে আল্লাহকে ভয় করার দু’টি অনিবার্য ফল আছে। এক, মানবিক দুর্বলতার কারণে মানুষের যে অপরাধ ও ত্রুটি-বিচ্যুতি হয় তা আল্লাহ তা'য়ালা মাফ করে দেন। তবে তা এ শর্তে যে, তার গভীরে ও উৎসমূলে আল্লাহভীতির অনুপস্থিতি যেন কার্যকর না থাকে। দুই, এ আকীদা-বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানুষ যেসব নেক আমল করবে তার বিনিময়ে সে বিরাট পুরস্কার পাবে। আসলে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং তা নিছক একটি ধোঁকা মাত্র। তাই দুনিয়ার সাফল্য ও ব্যর্থতা আসল সাফল্য ও ব্যর্থতা নয়, বরং যে ব্যক্তি পরকালে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাত লাভে সক্ষম হবে সে ব্যক্তিই কেবল সফল হয়েছে বলতে হবে। -"অবশেষে প্রত্যেক ব্যক্তিকে মরতে হবে এবং তোমরা সবাই কিয়ামতের দিন নিজেদের পূর্ণ প্রতিদান লাভ করবে। একমাত্র সেই ব্যক্তিই সফলকাম হবে, যে সেখানে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে এবং যাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। আর এ দুনিয়াটা তো নিছক একটা বাহ্যিক প্রতারণার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।" সূরা আলে-ইমরান, আয়াত:১৮৫। এখানে বলা হয়েছে, দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন কাজের যে ফলাফল দেখা যায় তাকেই যদি কোন ব্যক্তি আসল ও চূড়ান্ত ফলাফল মনে করে এবং তারই ভিত্তিতে সত্য-মিথ্যা ও কল্যাণ-অকল্যাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে, তাহলে সে আসলে মারাত্মক প্রতারণার শিকার হবে। এখানে কারো ওপর অনুগ্রহ ও নিয়ামত বর্ষিত হতে থাকলে তা থেকে একথা প্রমাণ হয় না যে, সে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছে এবং আল্লাহর দরবারে তার কার্যকলাপ গৃহীত হয়েছে। অনুরূপভাবে এখানে কোনো ব্যক্তির ওপর বিপদ নেমে এলে এবং সে মহা সংকটের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হলে তা থেকে অনিবার্যভাবে ধারণা করা যাবে না যে, সে মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ প্রাথমিক পর্যায়ের ফলাফলগুলো চিরন্তন জীবনের পর্যায়ের চূড়ান্ত ফলাফল থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নতর হয়। আর আসলে এ শেষ ফলাফলই নির্ভরযোগ্য। -"তিনিই আল্লাহ্ যিনি পৃথিবী ও আকাশের যাবতীয় বস্তুর মালিক। আর কঠিন ধ্বংসকর শাস্তি রয়েছে তাদের জন্য যারা সত্য গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। যারা দুনিয়ার জীবনকে আখেরাতের ওপর প্রাধান্য দেয়। যারা লোকদেরকে আল্লাহর পথ থেকে রুখে দিচ্ছে এবং চাচ্ছে এ পথটি (তাদের আকাংখা অনুযায়ী) বাঁকা হয়ে যাক। ভ্রষ্টতায় এরা অনেক দূর এগিয়ে গেছে।" সূরা ইবরাহীম, আয়াত:২-৩। এখানে বলা হয়েছে যারা শুধুমাত্র দুনিয়ার স্বার্থ ও লাভের কথাই চিন্তা করে, আখেরাতের কোন পরোয়া করে না। যারা বৈষয়িক লাভ, স্বাদ ও আরাম-আয়েশের বিনিময়ে আখেরাতের ক্ষতি কিনে নিতে পারে কিন্তু আখেরাতের সাফল্য ও সমৃদ্ধির বিনিময়ে দুনিয়ার কোন ক্ষতি, কষ্ট ও বিপদ এমনকি কোন স্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়াও বরদাশত করতে পারে না। যারা দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ের পর্যালোচনা করে ধীরে ও সুস্থ মস্তিষ্কে দুনিয়াকে বেছে নিয়েছে এবং আখেরাতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তার স্বার্থ যেসব ক্ষেত্রে দুনিয়ার স্বার্থের সাথে সংঘর্ষশীল হবে সেসব ক্ষেত্রে তাকে ত্যাগ করে যেতে থাকবে। এ জাতীয় মানুষ আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত হয়ে থাকতে চায় না। বরং আল্লাহর দ্বীনকে নিজেদের ইচ্ছার অনুগত করে রাখতে চায়। নিজেদের প্রত্যেকটি ভাবনা-চিন্তা, মতবাদ ও ধারণা-অনুমানকে তারা নিজেদের আকীদা-বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত করে এবং এমন কোন আকীদাকে নিজেদের চিন্তারাজ্যে অবস্থান করতে দেয় না যা তাদের ভাবনার সাথে খাপ খায় না। তারা চায় আল্লাহর দ্বীন তাদের অনুসৃত প্রত্যেকটি রীতি-নীতি, আচার-আচরণ ও অভ্যাসকে বৈধতার ছাড়পত্র দিক এবং তাদের কাছে এমন কোন পদ্ধতির অনুসরণের দাবী না জানাক যা তারা পছন্দ করে না। এরা নিজেদের প্রবৃত্তি ও শয়তানের অনুসরণে যেদিকে মুখ ফিরায়, আল্লাহর দ্বীনও যেন এদের গোলাম হয়ে ঠিক সেদিকেই মুখ ফিরায়। সে যেন কোথাও এদেরকে বাধা না দেয় বা সমালোচনা না করে এবং কোথাও এদেরকে নিজের পথের দিকে ফিরিয়ে নেবার চেষ্টা না করে। আল্লাহ তাদের কাছে এ ধরনের দ্বীন পাঠালেই তারা তা মানতে প্রস্তুত। এজন্যই দেখা যায় এধরণের শাসকেরা মসজিদের ঈমামকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী খোতবা দিতে বাধ্য করে। তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে দুনিয়া পূজারি শাসকরা তাদের বিরুদ্ধে যায় এমন তাফসীরের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আখেরাতের চিরন্তন জীবনের কথা ভুলে গিয়ে যারা দুনিয়ার জীবনের ভোগবিলাসে জীবন কাটায় পরিণামে তারা ব্যর্থ। তাদের অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় স্বৈরশাসক, লুটপাটকারী, চোর-ডাকাত এবং জনগণের ওপর জুলুম, নির্যাতন ও নিপীড়ক হিসেবে। তাদের মৃত্যুর পরে মানুষ নিন্দা জানায়। পক্ষান্তরে, আখেরাতের চিরন্তন জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে যারা জীবন যাপন করে তাদের মৃত্যুকালে মানুষ কাঁদে। উপরিউক্ত দুই ধরনের শাসক এবং মানুষ বর্তমানে যেমন রয়েছে, তেমনি অতীতেও ছিলো। নগদ প্রাপ্তির চাকচিক্যের মোহে পরিণতি বরবাদ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
US also imposed visa restriction on Nigeria last week on May 15, 2023. "Taking Steps to Impose Visa Restrictions on Individuals Involved in Undermining the Democratic Process During Nigeria’s 2023 Elections Cycle" PRESS STATEMENT MAY 15, 2023 https://www.state.gov/taking-steps-to-impose-visa-restrictions-on-individuals-involved-in-undermining-the-democratic-process-during-nigerias-2023-elections-cycle/
আওয়ামীলীগ যদি বিষয়টা এভাবে ব্যাখ্যা করে - এখানের অবাধ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, সুতরাং নির্বাচন অবাধ হবে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থেকে, তাতে বিরোধীরা অংশগ্রহন করুক বা না করুক । ২০১৮ সনের চেয়ে অনেক ভালো নির্বাচন হবে শুধুমাত্র দু একটি বিরোধী দল (বিন এন পি) ছাড়া । মজার ব্যাপার হচ্ছে, বি এন পি ইচ্ছে করলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাও করতে পারে কিন্তু নির্বাচনে বাঁধা প্রধান করতে পারবে না ।
Good Decision. Thank you America.
সমস্যা নেই, আওয়ামিলীগ অবশ্যই 2014 বা 2018 এর মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করবে!
যারা নির্বাচন করতে চায় না তাদের জন্য কি নীতি গ্রহণ করেছে ,?
স্বাধীনতহীনতায় একটা জাতি মর্যাদাহীন হয়ে পড়ে । যে কারনে বিদেশী শক্তি এমন পদক্ষেপ নিয়ে বিড়ম্বিত অস্থিত্বকে আরো জটিল করে তোলে। জনগনকে এখন দু'মুখি সংগ্রামের মুখামুখি করে দিলো।
বিষয়টি যথাযথ পর্যবেক্ষণ করার পরেই মতামত দেওয়া হবে। তাই আপাতত চুপ।
It's a plausible measure on the part of the United States to protect the democratic voting rights of Bangladeshis. However, it is unbelievably unlikely that the authoritarian Hasina regime would allow a transparent election in the country. All Bangladeshis and civil society figures explained that fair and transparent elections are possible only under a caretaker government. The Hasina regime will do all it can to return to power by defrauding the people of their votes. If it happens, what will the US do?
এগুলোর সহজ কোন ব্যাক্ষা সহজ নয় বরং জটিল।
অন্যের ব্যাপারে মাতব্বরি করার বদ খাসিলত সাদা চামড়ার মানুষ দের কোন কালেই যাবে না। যেসব দেশ আমেরিকা, ইউরোপ কে পাত্তা দেয় না, তাদের ধারে কাছে এরা যায় না। আমাদের মত দেশে যারা তাদেরকে মাথায় তুলে কাঠাল ভাংতে
আওয়ামী লীগ বার বার বলছে আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ গ্রহন যোগ্য হবে। ২০১৪, ২০১৮ এর জাতীয় নির্বাচন সহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিত্র গুলো বলছে, আগত জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নতুন ভাওতাবাজিতে নেমেছে, জনগন আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করেনা। পক্ষান্তরে সরকার বিরোধীদের একমাত্র দাবী সুষ্ঠ অবাধ সর্বজন গ্রহনযোগ্য নির্বাচন তবে আওয়ামী লীগে অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক বা দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। এখন আমিরিকা কোন্ পক্ষকে মূল্যায়ন করবে? আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতিতে আমিরিকা আস্বস্ত হবে কি? নাকি জনগনের পাশে দাঁড়াবে। সরকার বিরোধীরা সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে, এই আন্দোলনকে আমিরিকা কিভাবে দেখছে?? এটি কি সুষ্ঠ নির্বাচনে বাঁধা??
তবে কি এমন হবে এ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে, যদি তাই হয় এটা হলো নাপিত ছাড়া নিজে চুল কাটা।
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋন।
This decision of the USA is in favor of All democratic-minded citizens of this world. We urge the US government to take all necessary steps to establish Democracy in this country which is also aligned with their foreign policy.
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের পররাষ্ট্র বিষয়ে যে নূন্যতম জ্ঞান নাই তা তিনি আবাবও প্রমান দিলেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্র যে নাই এবং দেশে কতৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা চলছে তা দেশের জনগণ, আমেরিকা সহ সারা বিশ্ব বুঝলেও শুধু আওয়ামী লীগ বুঝতে চাইছে না। তাদের ক্ষমতার দম্ভ অচিরেই নিভে যাবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবেই।
AlHamdulillah, ai Bar Matha Mota, Gowaar raa thela Samlaa
বাহ্ বাহ্ বাহ্।।।
এটা এক ধরণের প্রতারণা বিএনপির উচিত হবে না আমেরিকার এইসব ভাঁওতাবাজির ফাঁদে পড়া আমি দেখেছি ২০০৬ সালে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক হয়ে বিএনপিকে সরাসরি হুমকি দিয়েছে গার্মেন্টসের পণ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞা এবং সেনাবাহিনীর শান্তি রক্ষার মিশনের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার অন্যান্য বিষয় ব্যাপারে আর এখন আওয়ামীলীগের বেলায় ছেলে খেলার নাটক সাজিয়েছে আমেরিকার ভিসা না দিলে কি এমন ক্ষতি হবে যারা অপকর্ম করবে তারা যাবে না আমেরিকা পৃথিবীতে দেশের অভাব রয়েছে নাকি? বিএনপির উচিত হবে হাসিনা যে কায়দায় ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায় সেই কায়দায় হাসিনাকে প্রতিহত করা
ভারতের গোয়েন্দা সস্থা র, বিদ্যানন্দ ও ইস্কনের মত সংগঠন থাকতে আওয়ামী পন্ডিতদের মাথায় হাত দেবার দরকার নেই যদিও ভদ্র লোকেরা উল্লাস করছে ! শুধুমাত্র বাংলাদেশ কেন, ভারতে কি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে ? ভারত নিয়নাধীন কাশ্মীরে তো ভোট বন্দ। ভোটের দিন মুসলিমদের ভোটকেন্দ্রে যেতেই দেয়া হয় না। জনসংখ্যার ১৪% মুসলিমদের একজন মুসলিম পার্লামেন্ট সদস্য নেই। মিশরের সিসি সরকার নির্বাচনের সময় হাজার হাজার ব্রাদারহুড কর্মীকে হত্যা, গুম ও জেলবন্দি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কি তখন অন্ধ ছিল ? আশা করি বাংলাদেশে বাধামুক্ত নির্বাচনের পথ সুগমের জন্য আমেরিকার পদক্ষেপগুলো ভারত, পাকিস্তান ও মিসরের মত দেশে প্রয়োগ করা হবে।
নতুন ভিসা নীতিটি সেই প্রচেষ্টা এবং বাংলাদেশী জনগণকে সমর্থন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে তারা তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচন করতে পারে. Thanks a lot for helping Bangladeshi people.
এতক্ষণে অরিন্দম------ এ কি খেলা চলছে হরদম!
এ জন্য দায়ী যেকোনো ব্যক্তিকে জবাবদিহিতায় নেয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে. We believe USA. Please do it who involved 2018 election as well.
We want democratic Bangladesh. Thanks a lot to help us.
What about Indian government and RAW?
Did someone say the US Department of State is a clubhouse full of hypocrites? This will open his eyes and let him see what the US can do. This is the first action by the US; others will come in stages.
এখন ঘোষনা দেওয়া হলো নির্বাচনের পর কি করা হবে, যদি কেউ নির্বাচনের ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। নির্বাচন হয়ে গেল। আওয়ামী লীগ জিতে গেল। তাতে লাভ কি হলো এই ঘোষণার ? আমেরিকায় যাবার ভিসা পাবেনা। আমার তো মনে হয় বিএনপির বিরুদ্ধে এই ঘোষণা।
মিঃ শাহরিয়ার আলম -এখন থেকে দাদা বাবুদের পরামর্শে কিভাবে বিরোধি দলের লোকজনকে উসকানির মাধ্যমে আগুনে ঝাঁপ দেওয়াতে হয় তার মহড়া শুরু করবেন বলে তাৎক্ষনিক পরযোবেক্ষনে মনে হচ্ছে , কারন আপনাদের কিছুতেই কিছু যায় আসে না এটা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করে যত অপপ্রচার চালানো যায় ততই পায়ের তলার নরম মাটি শক্ত হবে।দেখেন ধর্মপ্রান দের ব্যাবহার করে আরেকটা হেফাজত ইস্যু তৈরি করে আরো পাঁচ দশ বৎসর পার করতে পারেন কিনা ?আপনাদেরতো আবার পেইড হাটহাজারিরা আছেন ইশারা করলে লালবাগের নাবালক অসহায় এতিমদের নিয়ে উনারা ঝাপিয়ে পড়বেন তখন গনতন্ত্র রক্ষার নামে ভালো একটা ইস্যু পাবেন।আপনাকে বাইরে খুব রিল্যাকস মনে হলেও এখন বুঝা গেল ৩রা মে এর পর নাগা মরিচ এর এত ঝাল কেন ছিলো (এসকর্ট, ফল্যাগ সট্যনড , আনসার পুলিশ etc)তাই এখন মশা মারার শব্দ শুনলেই কামান দাগতে শুরু করছেন রাজশাহীর চান মিয়ার কথায় আপনাদের আসমানের চান নাই হয়ে গেছে ।এমন ভাব যেন এক এমপিকে পত্রিকায় দেখলাম পিস্তল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরতেছে ভাবখানা যেন “তোরো পাইলেই গুলি কইরা মাইরা ফালামু “ দেশটাকেতো মধ্যযুগের হালাকু খান চেংগিস খানদের আমলে নিয়ে গেছেন।কোন সভ্য দেশে জনগনের নিরবাচিত আইন প্রণেতার পক্ষে এই কাজ করা কি সম্ভব ? যেহুতু ভোটের মাধ্যমে নিরবাচিত হয় নাই সেহেতু এসব এমপিদের দেশের প্রতি কোন দায়বদ্যতাও নেই কাজেই এটা যে কত বড় বর্বরতার পরিচয় সে দিয়ে খবর হয়েছে তা তার উপলব্ধিতে নেই । হয়তো তার নেত্রির নজর কাড়ার আপ্রান চেষ্টা সফল হওয়ায় সে তা উপভোগ করছে।
বাংলাদেশের ভোট 2014 এবং 2018 এর কাছাকাছি হবে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নাই,যুক্তরাষ্ট্রকে আমরা সালাম (We salute) জানাই,যে সমস্ত অপরাধী আছে তাড়াতাড়ি তাদের ভিসা বাতিল করুন যেমন চোর নাসিম-পুত্র।
A holistic approach of dynamic and dynastic <SMART> move ! BindaS >!