রাজনীতি
যে শর্তে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ মাস আগে) ১৬ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৫২ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোট করতে পারলে এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে বলেও বিশ্বাস করেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে আমরা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ কোনো নির্বাচনে অংশ নেইনি। টাঙ্গাইলের বাসাইলে একটি পৌরসভা নির্বাচন হবে। আমরা কমিশনে জানতে এসেছিলাম যে, তারা এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সরকারি প্রভাবমুক্ত করতে পারবেন কি না। তা যদি তারা পারেন, তাহলে আমরা তাতে অংশ নেব। শুধু তাই নয়, বাসাইলের নির্বাচন যথাসম্ভব সুষ্ঠু করতে পারলে আমরা জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নেব।
নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা বলেছেন তাদের সাধ্যমতো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর পরিবেশে বাসাইলের পৌরসভা নির্বাচন উপহার দেবেন। তিনি বলেন, কোন দল অংশ নিল, কতটি দল অংশ নিল, এটার চাইতে আমি মনে করি কতসংখ্যক ভোটার তার ইচ্ছামতো উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারলেন, এটা সব থেকে বড় কথা। নির্বাচন কমিশন যে কথা দিয়েছে, তার মাধ্যমে ক্ষয়িষ্ণু নির্বাচন পদ্ধতি প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করেন কাদের সিদ্দিকী।
নির্বাচন কমিশন প্রথম প্রথম অনেক এলোমেলো কথা বলেছিল অভিযোগ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তারা বুঝতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন কী? তাদের অনেক এলোমেলো কথা অনেক দিন থেকে কমে গেছে। বলতে গেলে এখন সে রকম কিছু নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন নির্বাচন কমিশন থাকবে ততদিন তাদেরকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ফেল করলে তার আর কোনো জায়গা নেই। তিনি বলেন, একটা নির্বাচনকে যথাযথ সুন্দর করার প্রধান দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তবে তার চেয়ে আমার মনে হয়, যারা রাজনৈতিক দল, ভোটার, জনসাধারণ এবং সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচনি সিডিউল ঘোষণা করার পরে যে জায়গায় নির্বাচন হবে, সেই জায়গায় সরকার হলো নির্বাচন কমিশনার। অনেকে তার সেই ক্ষমতা, নেতৃত্ব দেখাতে পারেন, আবার অনেকে পারেন না। আমার বিশ্বাস এই নির্বাচন কমিশন সেই নেতৃত্ব দেখাতে পারবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সময় দলীয় সরকার বলে কোনো কথা থাকে না। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন হলো সরকার। সরকার তখন আজ্ঞাবহ।
পাঠকের মতামত
ভাবমারা, বয়ান বাজির বিতর্কিত ঠিকাদার লম্বা কলাম লেখক সিদ্দিকী। ওসমানী সাহেবের নামের সাথে আছে বঙ্গবীর, এটা যথা তথা কেন? কয়েক দশকে পাওয়া গেল কই দেশ জাতির জন্য দৃষ্টান্তমূলক কাজে? জেনারেল জ্যাকবের বয়ানে জানা গেছে তার সম্পর্কে। টাংগাইল জুড়ে ভ্রাতৃতত্রয় চরম অহংকারী, অত্যাচারী, চরম কর্তৃত্ববাজ হিসেবে পরিগণিত সাধারণ জনতার কাছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আমিও দুঃখিত। মিডিয়ার উচিত কম গুরুত্ব দেয়া এদেরকে।
খানিকটা আওয়ামী বাতাস গায়ে লাগতেই উনার বিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে।
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সম্মান করি কিন্তু রাজনীতিতে আপনি জনগনের রাজনীতিক হতে পারলেন না এইজন্য দুঃখ হয়। জাতীয় রাজনীতিতে যদি মুক্তিযোদ্ধা দল নিবন্ধিত হত আমার মনেহয় অন্যান্য যেই কোনো দলের চাইতে আপনারা মুক্তিযোদ্ধারা ভাল করতে পারতেন। এখন সময় নাই, এখন করলে ৭১ পরবর্তী প্রজন্ম ধিক্কার দিবে ধাঁন্দাবাজ বাটপার ডাকবে।
নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষমতা এই নির্বাচন কমিশনের নেই। বাসাইল পৌরসভার নির্বাচনও সুষ্ঠু হবেনা। গত চৌদ্দ বছরে ধরে যে সিস্টেম তৈরী করা হয়েছে, তাকে পাশ কাটিয়ে কারো পক্ষেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী চাইলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না। তার সবচেয়ে বড় কারণ সরকারী দলের কেউ হারতে চাইবেনা। একমাত্র দলনিরপেক্ষ তত্ববধায়ক সরকার ছাড়া সাজানো প্রশাসন, সাজানো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট চেইন ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই, সরকার তো নিজের স্বার্থেই ভাংবেনা, কারণ সরকার ভাঙ্গার জন্য করেনি।
Need comparative analysis of how many fighters died and how many people died.
হায়রে বীর মুক্তিযোদ্ধা কি রকম নীতি নৈতিকতা। আর এ জন্যই দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
ঠিকাদারি ব্যাবসা চলছেনা,এটা বুঝা যায়। আপাতত সদস্য হয়ে যদি কিছু পাওয়া যায়। এদের জন্যি এই কথাটি এসেছে-ওইযে গো-মুক্তিযোদ্ধা সব সময়ের জন্য মুক্তিযোদ্ধা নয়।পল্টি খেলেই রাজাকার।
বাসাইল ঘাটাইল আসলে এগুলি কথার কথা। উনি সরকারি দল থেকে অন্তত একটি আসনের নিশ্চয়তা চান।
আসলে আপনি তো নির্বাচনের যোগ্যই হতে পারেননা বিরোধীদলে গেলে ,তাই এখন সরকারের সাথে হাত মিলাইছেন ,কিন্তু গামছার কি হবে ?
এর কথার কোন মূল্য নেই।
এত সব কথা না বলে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন। আউটসাইডে ঘুরে কি কিছু পেয়েছেন পাননি। অতি সুন্দরী নারী না পায় বর না পায় ঘর। বনে বাজারে ঘুরে ইজ্জত তো গেছে এই বয়সে আর কিছু যেন না যায়।
দুঃখিত বঙ্গবীর। আপনাকে অনেকবার পল্টি মারতে দেখছি। আপনার আসনের নিশ্চয়তা ফেলেই আপনি নির্বাচনে যাবেন এটা আমি নিশ্চিত।
মন্তব্য করুন
রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন
রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত
১৫ দিনের লাগাতার কর্মসূচি/ পাঁচ বিভাগে রোডমার্চ, ঢাকায় ১২টি সমাবেশ ও কনভেনশন করার ঘোষণা বিএনপির
নয়াপল্টনে কাঁদলেন ফখরুল/ খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর আল্টিমেটাম

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]