প্রথম পাতা
জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল, আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে শোকজ ইসি’র
গাজীপুরে নাটকীয়তা
ইকবাল আহমদ সরকার, গাজীপুর থেকে
১ মে ২০২৩, সোমবার
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নানা শঙ্কার কথা তুলে ধরেছিলেন মিডিয়ার সামনে। ব্যক্ত করেছিলেন গুম হওয়ার আশঙ্কাও। বলেছিলেন, নিজের প্রতি অবিচারের কথাও। এসব নানা শঙ্কার মধ্যেই গতকাল বাছাইয়ে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ওদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আজমত উল্লাহ খানকে শোকজ করা হয়েছে। সশরীরে প্রার্থীকে ইসিতে এসে ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে নানা নাটকীয়তায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন এখন আলোচনার তুঙ্গে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দাখিল করা মনোনয়ন বাছাইয়ে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও আরও দুজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। দাখিল করা ১২ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ও জাহাঙ্গীর আলমের মাসহ ৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল করা হয়েছে। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঋণের জিম্মাদার হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠান খেলাফি হয়। ওই ঋণের জিম্মাদার হিসেবে তাকেও খেলাফি ঘোষণা দিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ সময় অবশ্য ওই ঋণের টাকা পরিশোধের একটি প্রমাণপত্র জাহাঙ্গীর আলম এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাখিল করে বাছাই কমিটির কাছে। তার আইনজীবীও নানা যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের পর জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আদালতে আপিল করার কথা জানান।
বাছাইয়ে বাতিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এতে নিরপেক্ষতার প্রমাণ হয় না। আপনারা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে সরে গেছেন। যেহেতু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পাওনাদারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছে। তারপরও আপনারা যে কাজটি করলেন তাতে আপনারা পক্ষপাতিত্ব করলেন। আপনারা নির্বাচনে নিরপেক্ষতার মধ্যে ছিলেন না বা এখনো নেই। আপনারা নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেছেন। আমি অনুরোধ করবো আপনারা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনটা নিরপেক্ষভাবে করুন। জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করুন। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকার একটি কোরিয়ান মালিকানাধীন কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করতো। যেই কোম্পানিতে আমার কোনো শেয়ার নেই, আমার কোনো লাভ নেই, আমার কোনো অংশগ্রহণ নেই। সেই কোম্পানির হাজার হাজার শ্রমিককে বাঁচাতে শুধুমাত্র মানবিক কারণে আমার নিজের সম্পদও দিয়েছি। আমার সম্পদ দিয়ে কোরিয়ান মালিকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। কোরিয়ান মালিকরা করোনা পরিস্থিতি এবং পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সময় মতো ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। কিন্তু গত ১২ই এপ্রিল ও ১৭ই এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করেছে। সেই সকল ডকুমেন্টস ব্যাংকের প্রতিনিধির মাধ্যমে এবং আইনজীবীর মাধ্যমে এখানে জমা দেয়া হয়েছে। এরপরও আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাই আমি মনে করছি, এখানকার নির্বাচন কর্মকর্তারা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে সরে গেছেন। কোন অদৃশ্য কারণে সরে গেছেন তা আমি জানি না। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করবো। এর ন্যায়বিচার চাই। আমি গাজীপুরের মানুষকে যেমন রক্ষা করতে চাই তেমনি সারা দেশবাসীর কাছে জানতে চাই আমি ন্যায়বিচারটা পেতে পারি কিনা? এজন্য আমি সকলের সহযোগিতা চাই। আমি চাই নির্বাচন কমিশনার স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে তাদের কাজটা যেন করেন। আমি অবশ্যই আপিলে যাবো। আমি এর সর্বশেষ দেখবো। আমি দেখবো মিথ্যার জয় হয়- নাকি সত্যের জয় হয়। আমি রাষ্ট্র, সরকার, বিচার বিভাগ, ও নির্বাচন কমিশন সবার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করছি। আমি নগরবাসীর মৌলিক অধিকার বাঁচানোর চেষ্টা করছি। সকলের সহযোগিতা চাই।
তবে বাছাই শেষে জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন এর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা সরকার শাহনুর ইসলাম রনি, আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হারুন অর রশিদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, জাকের পার্টির রাজু আহমেদ এর মনোনয়নপত্রসহ ৯ জনের মেয়র পদে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে তারা এ বাছাই প্রক্রিয়ায় কেন কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে মনে করছেন না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান বলেন, এটা আমাদের বিষয় নয়, নির্বাচন কমিশনের বিষয়। নির্বাচন কমিশনের আইন, বিধি-বিধান, নিয়ম কানুন আছে। আমার মনে হয় সেই বিধি-বিধান পালন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের আইন-কানুন অনুযায়ী মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে নিরপেক্ষভাবেই এখানে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে।
গতকাল সকালে নগরের রথখোলা এলাকার মমতাজ অডিটোরিয়ামে মনোনয়নপত্র বাছাই করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করে বলেন, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা অন্যান্য সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলেও তিনি একজন ঋণখেলাপি হিসেবে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। উনি একজন জামিনদাতা হিসেবে ঋণখেলাপি। সে কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০০ জন সমর্থনকারীর জায়গায় ২৩৯ জনের স্বাক্ষর দিয়ে মনোনয়নয়পত্র জমা দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অলিউর রহমান এবং যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে তারা আপিল করার সুযোগ পাবেন। আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ১২ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৮৯ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ই মে। নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৯ই মে এবং ভোট গ্রহণ হবে ২৫শে মে। সব ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। গাজীপুর জেলা নির্বাচন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৮১। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭২১, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪২ এবং হিজড়া ভোটার ১৮ জন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাকে শোকজ করলো ইসি
স্টাফ রিপোর্টার জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসিতে সশরীরে এসে এই প্রার্থীকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হকের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী এডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রাক্কালে সভা, মিছিল, শোভাযাত্রা ও শোডাউন করার ফলে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না অথবা তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৭ই মে বিকাল ৩ ঘটিকায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে যাতে দলীয় কার্যক্রম গ্রহণকালে অথবা অন্য কোনো কার্যক্রম গ্রহণে আচরণবিধি মেনে চলেন তার জন্য পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে পত্র মারফত অবহিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উল্লিখিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যাতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণকালে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমণসূচি জারি করেন। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার জ্ঞাত হয়ে মন্ত্রীদ্বয়ের একান্ত সচিবগণকে নির্বাচনী আচরণ বিধির বিষয়টি অবগত করেন। একই সঙ্গে তিনি পত্র মারফত সংশ্লিষ্ট মাননীয় মন্ত্রীদ্বয়ের একান্ত সচিবগণকে অবহিত করেন। এতদসত্ত্বেও মাননীয় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার জন্য সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২ বিধিতে বিধান রয়েছে। তাছাড়া আচরণ বিধিমালার বিধি ৭, বিধি ১৩, বিধি ২০, বিধি ২৫ অনুযায়ী সভা সমিতি অনুষ্ঠান, যানবাহনসহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচার, প্রকল্প অনুমোদন, ফলক উন্মোচন ইত্যাদি না করার বিষয়ে বিধান রয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছিলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করায় আজমত উল্লা সাহেবকে ইসির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উনি কেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। কমিশনে এসে উনাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। মো. আলমগীর বলেন, সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। মেনে চলতে তারা বাধ্য। আমরা কমিশন থেকে যেটা অনুরোধ করেছি, সবাই যেন বিধিমালা মেনে চলেন। তারপরও কারও কারও মধ্যে কিছুটা হলেও কৌশল করে না মানার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্লিপস, গণমাধ্যমের সূত্র আমাদের কাছে এসেছে, যেখানে কোনো কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর শুভাকাক্সক্ষীদের মধ্যে আচরণবিধি না মানার প্রবণতা দেখছি। তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যারা সরকারি দলে থাকেন, তারা আচরণ বিধিমালা বেশি ভঙ্গ করে থাকেন। সরকারে যারা থাকেন তাদের নিকট থেকে আমরা আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারি দলের দায়িত্বও অনেক বেশি। গাজীপুর সিটির ভোট সংসদ নির্বাচনের প্রারম্ভে হচ্ছে, এই নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের দায়িত্ব আরেকটু বেশি।