রকমারি
মাত্র ৪ বছর বয়সে বই প্রকাশ করে আমিরাতি শিশুর বিশ্ব রেকর্ড
মানবজমিন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ১:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

মাত্র চার বছর বয়সে বই প্রকাশ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখালো সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক শিশু। সাঈদ রাশেদ আইমহেইরি নামের ওই শিশুটি প্রকাশ করেছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট সাঈদ এন্ড দ্য বিয়ার’ নামের একটি বই। শিশু পাঠকদের কথা মাথায় রেখে এই বইটি লিখেছে রাশেদ। গিনেস রেকর্ড কর্তৃপক্ষ তার বইটি পড়ে এবং তার লেখা পরীক্ষা করে তাকে ওই স্বীকৃতি দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে খালিজ টাইমস।
খবরে বলা হয়, বইটিতে ঘৃণা ও ক্রোধের বিপরীতে দয়ার বা মানবিকতার জয়ের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া তার লেখায় দুইটি প্রাণীর অপ্রত্যাশিত এক বন্ধুত্বের গল্পও উঠে এসেছে। সাঈদ রাসেলের মা মৌজা আল দারমাকি বলেছেন, যখন সে আমাদের গল্পটা বলল, আমরা অবিভূত হয়ে গেলাম। তার এই গল্প সম্পর্কে প্রথম থেকেই একটা স্পষ্ট ধারণা ছিল এবং সে ভালো করেই জানতো যে, সে আসলে কী বার্তা দিতে চায়। মৌজার মতে, রাসেল সহজ ও সোজা ভাষায় তার গল্পটা লিখেছে। গিনেস রেকর্ড কর্তৃপক্ষ তার লেখা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও দেখেছে।
খালিজ টাইমসের সঙ্গে কথা বলার সময় সাইদ রাসেল জানায়, সে বইটি লেখার পাশাপাশি এর ছবিগুলোও এঁকেছে। তার ভাষায়, আমি বই লিখেছি এবং এটা ছিল খুবই সহজ। আমার বোন আমাকে সাহায্য করেছে। তার বোন আল-ধাবির বয়স মাত্র আট বছর। সে নিজেও সবথেকে কম বয়সে দ্বিভাষিক বইয়ের সিরিজ লিখে রেকর্ড করেছেন। আল-ধাবি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবথেকে কম বয়স্ক উদ্যোক্তাদের একজন। ‘রেইনবো চিমনি এডুকেশনাল এইডস’ নামের একটি প্রকাশনা ঘর রয়েছে তার।
রাসেলের বইটি এরইমধ্যে এক হাজার কপি বিক্রি হয়ে গেছে। এতে সহায়তা করেছে শিশুদের স্কুল ‘আল-দ্বার এডুকেশন’। সেখানে শিশুরা একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল যেখানে তাদের বন্ধু এবং সহপাঠীরা বইটি কিনতে পারে। আল-ধাবি জানান, একদিন আমরা সেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত বসেছিলাম যতক্ষণ না সব বই বিক্রি হয়। পরে আমরা স্কুলে এটা নিয়ে উদযাপন করেছি। এটা আমার কাছে বিষয়টি খুব স্পেশাল ছিল।
আল-ধাবির বেশ কয়েকজন সহপাঠী বইটি কিনেছে। তারাও এখন নিজেরা বই লেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আল-ধাবি বলেছে, এটাই তার জন্য সবথেকে বড় অর্জন। তার ভাষায়, আমি এই বার্তাই ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি শিশুই লিখতে পারে। এ জন্য শুধুমাত্র সামান্য একটু অনুশীলন প্রয়োজন। সবাই লিখতে পারে এবং বিশ্ব রেকর্ডও করতে পারে। আমি আরও শিশুদের অনুপ্রাণিত করতে চাই যাতে আমরা এমন একটি নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পারি যারা বইয়ের প্রতি অনুরাগী।