ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

চিকিৎসায় ব্যয়ে মানুষ দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

দেশে চিকিৎসার পেছনে রোগীদের খরচ বেড়েছে উল্লেখ করে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে নজর দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চিকিৎসায় ব্যয়ে মানুষ দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ারের আওতায় চলে আসলে সেটা অনেকাংশেই কমে যাবে। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ওষুধ লিখেন। এটি আমাদের বন্ধ করতে হবে। গতকাল রাজধানীর হোটেল রেনেসাঁয় আয়োজিত ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) খসড়া স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে মেডিসিনে। যদিও আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় মেডিসিনের দাম কম। তারপরও কেন ওষুধে এত খরচ, এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসে, রোগীর প্রয়োজন নেই, এ রকম অসংখ্য ওষুধ লিখে দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন
এটা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, চিকিৎসায় ব্যয়ে মানুষ দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ারের আওতায় চলে আসলে সেটা অনেকাংশেই কমে যাবে। জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করছি ১০ বছর চলছে, যে কারণে কোথায় কী সমস্যা সব বিষয়ে আমি অবহিত। আমি চেষ্টা করেছি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। আমি যেই কাজ শুরু করেছি, সেটা শেষ করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে যে কাজগুলো করা দরকার, সেগুলো চলমান রয়েছে। নতুন কিছু কাজও হাতে নিয়েছি। মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবার কাজ জাতির জনক শুরু করেছিলেন, তখন স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা ছিল। তখন মাতৃ-শিশু মৃত্যু অনেক ছিল, কলেরা হলে গ্রামের পর গ্রাম ছড়িয়ে যেত, অসংখ্য মানুষ মারা যেত। সেখান থেকে দুই-তিন বছরে বঙ্গবন্ধু একটা স্ট্রাকচার তৈরি করে গিয়েছেন। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার অধীনে আমাদের অনেক অর্জন, যদিও অনেক সমালোচনা আছে। স্বাস্থ্য সেবায় সফলতা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন আর পুরস্কার আছে, বেশির ভাগই স্বাস্থ্যসেবার জন্য এসেছে। সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। আগের তুলনায় প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে ভালো সেবা দেয়া হচ্ছে। যে কারণে মাতৃ-শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে শয্যা দুই-তিন গুণ বেড়েছে। ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে তৈরি হচ্ছে। ভ্যাকসিন তৈরি করছি। এগুলো বাইরের মানুষ বুঝতে পারে না।  তিনি বলেন, কীভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়, করোনা আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছে। আমাদের চিকিৎসকরা বড় একটা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। করোনায় ১০ হাজার ডাক্তার, ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ হয়েছে। তারপরও উন্নতির কোনো শেষ নেই। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, মেডিকেলে সিট বেড়েছে, নার্সিংয়ে সিট বেড়েছে। আমাদের ১৭ কোটি জনসংখ্যা। যতই শয্যা বাড়াই, কম পড়ে যাচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, মেন্টাল হাসপাতালে শয্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, তারপরও আমরা জায়গা দিতে পারছি না। কারণ স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের আস্থা বাড়ছে, তারা হাসপাতালে আসছে।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status