অনলাইন
রুটি বিক্রি করে আইফোন-১৪ কেনার স্বপ্নপূরণ
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ৪:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

বিয়াঙ্কা জেমি ওয়ারিয়াভার বয়স মাত্র ১২ বছর। স্বপ্ন ছিলো আইফোন -১৪ কেনার। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না। অবশেষে ছয় সপ্তাহের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই স্বপ্নপূরণ করেছেন দুবাইয়ের এই কন্যা। কিন্তু কিভাবে? উত্তর- ঘরে তৈরি রুটি বিক্রি করে। বিয়াঙ্কা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার ইচ্ছা ছিলো একটি নতুন আইফোন কেনার। কিন্তু তার বাবা-মা বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে সেই ফোন কিনে দিতে রাজি হননি । বিয়াঙ্কাও দমবার পাত্রী নন। অবশেষে তার মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে।
তার এক বন্ধু বিয়াঙ্কাকে বিনামূল্যে রুটি বিতরণ করার পরিবর্তে সেই রুটি বিক্রি করার ধারণা দিয়েছিল। তখনই বিয়াঙ্কার মাথায় আসে রুটি বিক্রির টাকা জমিয়ে সে নতুন একটি ফোন কিনতে পারে। বিয়াঙ্কার বাবা-মা দুবাইয়ের পাঁচ তারা হোটেলে কাজ করেন। বেক করে কোনো খাবার বানাতে তারা বিশেষ দক্ষ। তখন তারা জানতে পারলেন যে, তাদের মেয়ে রুটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে, তারা মেয়েকে সমর্থন করেছিলেন । বিয়াঙ্কার বাবা তাকে ১০০দিরহাম দিয়েছিলেন এবং তার মা তাকে বেকিংয়ের দক্ষতা শিখিয়েছিলেন ।
বিয়াঙ্কার মা বলছেন, পাঁচ বছর বয়সে পিজা পার্লারে বেক করতে সাহায্য করেছিলো আমাদের মেয়ে। তখন থেকেই বেকিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ ছিলো। ''প্রথম দিনে, বিয়াঙ্কা রুটির মাত্র চারটি পিস বিক্রি করেছিল কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে সে প্রতিদিন গড়ে ৬০ পিস রুটি বিক্রি করে। বিয়াঙ্কা শুধুমাত্র সাধারণ ফ্লেভারের বেকড রুটিই নয় , পাশাপাশি প্লেইন সফট রোল, ওরিও, উবে, পনির, পনিরের সাথে টার্কি সালামি এবং চিকেন ফ্রাঙ্কও বানাতো । ছোট্ট মেয়েটি স্কুলে এসব বিক্রি করতো। অনেকেই বিয়াঙ্কাকে রুটি বিক্রি করতে দেখে তাদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু মেয়েটি সেসবে কান না দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলো। অবশেষে তার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এখন বিয়াঙ্কার পরবর্তী লক্ষ্য তার নিজের বেকারি এবং কফি শপ খোলা।
সূত্র : জিও টিভি