ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি শাসকের প্রেতাত্মা: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ২৭ মার্চ ২০২৩, সোমবার, ৯:০৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৩:৩৩ অপরাহ্ন

mzamin

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে পাকিস্তানি শাসকদের প্রেতাত্মা বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকের আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এবং পাকিস্তানি শাসকের প্রেতাত্মা। যেভাবে পাকিস্তানিরা শাসন করেছে, শোষণ করেছে, মানুষের রক্ত চুষে নিয়েছে, একইভাবে আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা বাংলাদেশের মানুষের রক্ত শোষণ করছে। জনগণকে ভয়ঙ্করভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন করছে। এমন বাংলাদেশ আমরা চাইনি।
সোমবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘মুক্তিযোদ্ধা গণসমাবেশে’Ñ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা গণসমাবেশে  সারা দেশের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। গণসমাবেশের মঞ্চে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্যে একটি চেয়ার সংরক্ষিত রাখা হয়। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সাতজন (তারেক রহমান, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ইশরাক হোসেন, নিপুণ রায় চৌধুরী, সোনিয়া সান্তা, জামাল হোসেন টুয়েল) হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন
তারেক রহমানকে দেয়া বাংলাদেশের পতাকা গ্রহন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে যাদের কোনো অবদান নেই সেই আওয়ামী লীগ যুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসার মধ্য দিয়ে তাদের আসল চেহারা দেখিয়েছে। সেসময় তারা লুটপাট, দুর্নীতি করেছে। যারা এর প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। রক্ষীবাহিনী দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তরুণদেরকে হত্যা করেছে। আজকে একইভাবে লুটপাট, দুর্নীতি ও হত্যায় মেতে উঠেছে আওয়ামী লীগ। তারা যত আইন করেছে সবই দেশের মানুষকে অত্যাচার, নিপীড়ন করার জন্য।  
মির্জা ফখরুল বলেন, যাদের অবদানের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আওয়ামী লীগ তাদের নাম শুনতে পারে না। তাদের নামও উচ্চারণ করে না। আওয়ামী লীগ মনে করে তারা একাই এই দেশটাকে স্বাধীন করেছেন। এ কারণে তারা শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীদের নাম স্মরণ করে না। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নাম তো উচ্চারণই করতে চায় না বরং তাকে আরও দোষ দেয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগ যুদ্ধ করে নাই। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এই কথা আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে। এটা নিয়ে কোনো বির্তক নেই। 
বিএনপিকে আলোচনার চিঠি পাঠিয়ে সরকার ও ইসি নাটক করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, চিঠি পাঠিয়ে প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বোঝানোর চক্রান্ত করে লাভ হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে কথা হতে পারে, অন্য কোনো বিষয়ে বিএনপি কথা বলবে না। শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়েই শুধু কথা হবে, অন্য কোনো বিষয়ে কথা হবে না। নতুন ইসি গঠন করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে। 
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন, সিরাজুল হক, শাহ আবু জাফর, মুক্তিযোদ্ধা দলের আবদুল হালিম, কামাল উদ্দিন, নুরুল করিম, এবাদুল হক, আবদুল খালেক মণ্ডল, আবদুল মান্নান, মোকসেদ আলী মঙ্গোলিয়া, আব্বাস উদ্দিন, জহিরুল আলম তালুকদার রুকু, ওয়াহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের নেতা শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ইশরাক হোসেন, নিপুণ রায় চৌধুরী, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে ইন্সটিটিউশনের বাইরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীরোত্তম এবং গণসমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।
 

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

পিটার হাসকে ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন/ যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status