অনলাইন
মডেল মসজিদ নির্মাণে দুর্নীতি, তদন্ত কমিটি
সুজন সরকার, সিরাজগঞ্জ থেকে
(২ মাস আগে) ২৪ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ২:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় নির্মাণাধীন উপজেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ কাজে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, মূল ভবনের পিলারগুলো আঁকা-বাঁকা ও ছাদ ঢালাইয়ের আগেই সকল পিলার হেলে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের কারণে বৃহস্পতিবার বিকালে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রায় ১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের জুন মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এসএস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড কার্যাদেশ পায়। কাজ শুরু হওয়ার ৩ বছরে ভিত্তি ঢালাই দিয়ে মাত্র অর্ধেক পিলার নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসী জানান, নিম্নমানের কাজ গোপন করতে দ্রুত বালুমাটি দিয়ে পিলারগুলো ভরাট করার চেষ্টা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে মসজিদের চারপাশে ভিত্তি ঢালাই ও পিলার করার জন্য গর্ত করে।
স্থানীয় জনগণ মোবাইল ফোনে ছবি তুলে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ওই প্রকল্পে দায়িত্ব প্রাপ্ত সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাহেদুল হাসান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
95% সরকারি দপ্তরের আমলা /কামলা এক কথায় "চোর"। কে দেখবে কার চুরি, বিচার দিয়ে কোন কাজ হয় না। অনেক ফন্দি ফিকিরে সবাই বের হয়ে যায়। চোরদের কাছে মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির,স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়,রাস্তা, কালভাট, ব্রিজ সবই এক রকম। ধন্যবাদ।
আমরা ক্লান্ত এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে করতে । দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে এসব বন্ধ করুন ।
মসজিদ নির্মাণেও যারা দূর্নীতি করে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া হোক।
এই সরকার কোন দৃষ্টিকোন থেকেই ইসলাম বান্ধব নয়। ইসলাম বান্ধব হলে এতগুলো আলেন বছরের পর বছর ধরে কারাগাড়ে বন্ধী জীবন কাটাতে হতো না। সুতরাং ধর্মীয় হোক আর অধর্মীয় এই সরকারের প্রতিটি প্রকল্পেরই উদ্দেশ্য দূর্ণীতি।
দেশটা এক হাতে এমন হয়ে গেছে যে, এদেশ থেকে যদি কেউ বেহেস্তেও প্রবেশ করে সেখানেও তদন্ত কমিটি নিয়োগ করতে হবে যে ওখানে যেতে কোন দুর্নীতি করা হয়েছে কিনা ?