দেশ বিদেশ
মোহাম্মদপুরে ৯ বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিএনজি অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবারবড় বোনের সঙ্গে ছোট বোনের কথা কাটাকাটির জেরে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে একজন সিএনজিচালক এবং তার সহযোগী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিএনজিচালক সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে আদাবর থানা পুলিশ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর বাড্ডা থানার খালপাড় হাজীপাড়া রোড এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেলিমের সহযোগী পলাতক রয়েছে। ডিসি আজিমুল হক বলেন, গত ১৪ই মার্চ সন্ধ্যায় বড় বোনের সঙ্গে ঘুরতে বের হয় ভুক্তভোগী শিশু। একপর্যায়ে বোনের সঙ্গে রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদপুরের টাউনহল এলাকায় যায়। কিন্তু সেখানে তার বড় বোনের সঙ্গে হয় কথা কাটাকাটি। বড় বোন রাগ করে শিশুটিকে একা ফেলে বান্ধবীদের সঙ্গে বাসায় চলে যান। এ সময় শিশুটি একা একা হেঁটে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের দিকে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিএনজি অটোরিকশাচালক সেলিম ও তার সহযোগী শিশুটিকে ফুসলিয়ে সিএনজিতে তোলে। এরপর তাকে জোর করে ঢাকা উদ্যানের একটি লেগুনাস্ট্যান্ডে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে প্রথমে সেলিমের সহযোগী ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণ করেন সেলিম। এরপর সেই সহযোগী পুনরায় শিশুকে ধর্ষণ করেন। উপর্যুপরি ধর্ষণের ফলে গুরুতর অসুস্থ হয় শিশুটি। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ধর্ষণের পর শিশুটিকে ছেড়ে দিলে সে হেঁটে শিয়া মসজিদ এলাকায় গেলে বড় বোনের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় বোন তাকে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেন। মামলার পর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি সন্দেহজনক সিএনজি চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, ইকবাল রোড এলাকার ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করা হয় সিএনজির নম্বর। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয় সিএনজিচালকের অবস্থান। এরপর অভিযান চালিয়ে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেলিমের পলাতক সহযোগীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।