বাংলারজমিন
কমলগঞ্জে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন আছে, সংযোগ নেই
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকে
১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার
কমলগঞ্জ উপজেলার দেওড়াছড়া চা বাগানের শ্রমিক বস্তিতে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন টানার পর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে ৩ বছর। এখনো মেলেনি এ বাগানের ১৭৫ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ। কমলগঞ্জ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এলেও চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও পল্লী বিদ্যুতের ঠেলাঠেলিতে বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত এ বাগানের ১৭৫ শ্রমিক পরিবার। বিদ্যুতের জন্য টাকা জমার পরও দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছে ওই পরিবারগুলো। বিদ্যুৎ সংযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনকারী চা শ্রমিক পরিবার। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি স্মারকলিপি প্রদান করার পর ১ মাস কেটে গেলেও বিদুৎ সংযোগের বিষয়ে মেলেনি কোনো সুরাহা। জানা যায়, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের দেওরাছড়া চা বাগানের ৬ ও ৭নং লাইন, শালবাড়ী ও চণ্ডিপুর এলাকায় বিদ্যুতায়ন করার জন্য বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন টানা হয়। বাগানের ১৭৫টি পরিবারের মিটার সংযোগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ লাইন টানা হলেও অদৃশ্য কারণে ও নানা টালবাহানায় তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। এমতাবস্থায় ২০২০ সালে কমলগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হলেও বিগত প্রায় সাড়ে ৩ বছরেও তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। চা শ্রমিক পরিবারগুলোর বক্তব্য, বিদ্যুতের জন্য আমরা বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিয়েছি। আমাদের আশপাশের পাহাড়ি এলাকার বিদ্যুতায়িত করা হলেও আমরা আজও অন্ধকারে পড়ে আছি। দেওড়াছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি পাতিরাং উরাং বলেন, আমরা বিদ্যুতের মিটারের জন্য বাগান ম্যানেজারকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তিনি কি কারণে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তা জানি না। তিনি বাগানের ১৭৫ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ব্যবস্থা নিতে ম্যানেজারের প্রতি দাবি জানান। দেওড়াছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জামান সাংবাদিকদের বলেন, পল্লী বিদ্যুৎকে মিটার, ওয়্যারিংয়ের টাকা জমা দেয়া হয়েছে। তাদের টাকা দেয়ার রশিদ আমাদের কাছে আছে। তবে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বলছে ভিন্ন কথা। টাকা জমা হয়নি বলেও জানান তারা। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের (ডিজিএম) মীর গোলাম ফারুক বলেন, বাগান থেকে ওয়্যারিংয়ের টাকা পরিশোধ করলে আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে কোনো সমস্যা নেই। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ ও বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। আশা রাখছি খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সমাধান আসবে।