রাজনীতি
চলমান লড়াইয়ে শীঘ্রই জয় আসবে: মির্জা ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) ১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৬:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনে জয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা মানুষের অধিকার পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছি। এই লড়াইয়ে আমরা অনেক দূরে এগিয়েছি। প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অতি শীগ্রই এই লড়াইয়ে জয়ী হবো।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) ‘অর্পণ বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই প্রত্যাশার কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আন্দোলনে নিহত হওয়া নেতাদের স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, লড়াই শুরু করেছি, অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। একটা আধুনিক, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করছি। মানুষের অধিকার পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছে, ন্যায় বিচারের জন্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আন্দোলন তো করার কথা না। আমরা আন্দোলন করেছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। যারা আমাদের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছিল, গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছিল। একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করছিল না। যে কারণে একটা যুদ্ধ হয়েছে। সেই যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছি। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য আবারো লড়াই করতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে।
দেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ যে এই পরিস্থিতিতে পড়বে, তা আমরা কখনো ভাবিনি। মাঝে মাঝে মনে হয় এ কেমন দেশ আমরা তৈরি করলাম? যে দেশে মানুষের সম্মান থাকবে না, যে দেশের মানুষের প্রাণের কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না, বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না। আমি আমার ভোট দিতে পারবো না, সেখানে আমি আমার কথা বলতে পারবো না, আমার প্রতি অন্যায় হবে সে কথা বলতে পারবো না, আইনজীবীরা কোর্টে পুলিশের হাতে পিটুনি খাবেন। সেই দেশটা আমরা চিন্তা করিনি, কোনোদিন ভাবিওনি।
‘অর্পণ বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান বিথীকা বিনতে হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা সালেহ মো. আদনান, সরোয়ার হোসেন, শরীফ হাওলাদার, শামীম আকন, আরিফ এমদাদ, বিল্লাল হোসেন, ইমাম হোসেন, তানভীর মাতাব্বর প্রমুখ।