বিশ্বজমিন
মস্কো সফরে যাচ্ছেন শি জিনপিং
মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫১ অপরাহ্ন

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্রেমলিন এবং চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী সোমবার তার তিন দিনের মস্কো সফর শুরু হবে। সোম, মঙ্গল ও বুধবার তিনি রাশিয়ায় থাকবেন। ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন চীনা প্রেসিডেন্টের মস্কো সফরকে এক ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। পশ্চিমারা যুদ্ধের প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিল যে চীনের ভরসাতেই ইউক্রেনসহ গোটা পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল রাশিয়া। সম্প্রতি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মস্কো সফরের পর সেই অভিযোগ আরও দৃঢ় হয়। এবার স্বয়ং শি জিনপিং তার পরম বন্ধু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো যাচ্ছেন। এই দুই নেতার অধীনে রাশিয়া-চীন সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে।
ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই দেশের বিস্তৃত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে আরও এগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন শি জিনপিং। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এজেন্ডা এবং বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও সরাসরি কথা বলবেন এই দুই নেতা। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলেও উভয় দেশের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শি জিনপিং-কে আমন্ত্রণ জানান পুতিন। তবে ঠিক কবে এই সফর আয়োজিত হবে তার দিন নির্ধারিত হয়নি আগে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে শি জিনপিং-এর সঙ্গে ঘনঘন ফোনালাপ করেছেন পুতিন। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সরাসরি দেখাও করেছেন তারা।
এর আগে গত মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনা শুরু করতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে চীন। রাশিয়া বলেছে, তারা এই প্রস্তাবের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে। তবে কিয়েভ এখনও তাদের নতুন সীমানার বাস্তবতা মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এটি শান্তির পক্ষে সবথেকে বড় বাঁধা। অপরদিকে ইউক্রেনও চীনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে যান বলেও আগ্রহ জানিয়েছেন। তবে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না এমন নিশ্চয়তা চায় ইউক্রেন। জেলেনস্কি বলেন, আমি আসলেই বিশ্বাস করতে চাই যে, রাশিয়াকে চীন অস্ত্র সরবরাহ করবে না। যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই বলে আসছে, বেইজিং মস্কোকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে। যদিও চীন এমন দাবি অস্বীকার করে আসছে।