রাজনীতি
জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা ইনসাফ কায়েম কমিটির
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ দিন আগে) ১৬ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক নৈশভোজে এই প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহবায়ক কবি ও কলামনিস্ট ফরহাদ মজহার, সদস্য সচিব ও সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ অতিথিদের স্বাগত জানান। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শওকত মাহমুদ। আমন্ত্রিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনসাফ কায়েম কমিটির ডা. ফরহাত হোসেন। তিনি বলেন, এই কমিটি অনেক পুরনো একটি সংগঠন। ইনসাফ এবং অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করবে এই সংগঠন।
সংগঠনের লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, যথাসম্ভব বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে যৌথ কিংবা যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আন্দোলন-সংগ্রাম তখনই পরিণতি লাভ করবে যদি তা জনগণের বিজয়ী গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা উৎখাত করে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল ছোট বড় সকল দলকে নিয়ে একটি অন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়।
প্রস্তবনায় বলা হয়, জনগণের বিজয়ী গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তবর্তী সরকারের কাজ হবে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী একটি নতুন ‘গঠনতন্ত্র’ প্রণয়ণের জন্য কাজে হাত দেয়া। শান্তি-শৃঙ্খলা ও জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ হিসাবে শক্তিশালী গণপ্রতিরক্ষার ব্যবস্থা কায়েমের মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, এরপর অন্তবর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সভা আহবান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করা। নতুন গঠনতন্ত্রে স্বাধীন, নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করবার জন্য নির্বাচনের সময় সকল নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
এতে বলা হয়, নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তবর্তী জাতীয় সরকার পদত্যাগ করবে এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। প্রস্তাবনায় বলা হয়, জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ।
পাঠকের মতামত
ইনসাফ ন্যায় বিচার মানবিক অধিকার কল্যাণ এসব নাম আওয়ামী সংবিধানে দেড় দশক আগেই তামাদি হয়ে গেছে। এখন জোড় যার মুল্লুক তার। মিথ্যা অন্যায় অবিচার অসততা হলো ক্ষমতা লাভের প্রধান হাতিয়ার। এটা যার হাতে আছে ক্ষমতা তার কাছেই যাবে। ইনসাফ এখন কবরে। ইনসাফের কথা বলে সেমিনার সিম্পোজিয়ামের কোন মূল্য বর্তমান আওয়ামী মুল্লুকে নাই। এসবের মূল্য কিংবা বাস্তবায়ণ দেখতে চাইলে যেকোন মূল্যে অপশাসক আওয়ামী শক্তিকে বাংলার মাটি থেকে মূলোৎপাটন করতে হবে, কোমল আর নমনীয় মিষ্টি কথার উপদেশ আওয়ামী দানবীয় শক্তিকে বিনাশ করে দিবে এমন ধারণা বোকা আর বেকুবরা করতে পারে। মানুষকে প্রস্তুতি নিতে হবে আওয়ামীলীগকে প্রতিহত করতে সমূলে বিনাশ করতে তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগীতা থেকে বিরত থাকা। এমন কি বিবাহ বন্ধন দোয়া দরূদ মিলাদ গ্রাম্য শালিসি সহ সমস্ত সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তাদের যোগদানকে নিষিদ্ধ করা। সরকারের বিধি বিধান অমান্য করা সহ খাজনা কর বিদ্যুৎ গ্যাস পানির বিল পরিশোধে বিরত থাকার কর্মসূচি ঘোষনা করে সর্বস্তরের জনগণকে রাজপথে নেমে আসার ব্যবস্থা করা ব্যতিত আন্দোলন সফলের আর কোন বিকল্প নাই।
@আলমগীর, অসাধারণ
গঠনতন্ত্র তো বিভিন্ন সংগঠনের হয়।গনঅভ্যুত্থানে কোন সরকারের পতন হলে সংবিধান স্থগিত হয়ে যায়।জনগনের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুন সংবিধান রচিত হয়ে থাকে এটাই গনঅভ্যুত্থানের সঙ্গা।কিন্তু গঠনতন্ত্র বলতে কি বুঝাতে চেয়ে তা বুঝলাম না।এটা কি সংবাদ পরিবেশনের ভুল না তাদের ভুল?
শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারাবে যে সরকার ব্যবস্থার কারণে এমন সরকার ব্যবস্থা কিংবা নির্বাচন ব্যবস্থার পক্ষে যদি বিশ্বের চারশত কোটি লোকও উত্তম কিংবা সর্বোত্তম ব্যবস্থা বলে প্রশ্নাতীত মতামতও ব্যক্ত করে কিন্ত একমাত্র শেখ হাসিনা কিংবা তার দল আওয়ামীলীগ কস্মিনকালেও তা মেনে নিবেনা। কারন এরা ভাল করেই জানে ক্ষেত্র বিশেষে ঘরের বউও আওয়ামীলীগকে ভোট দিবেনা। একচ্ছত্র জবর দখলদার ভোটার ঘৃন্য দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। সুতরাং জাতীয় সরকার তত্বাবধায়ক সরকার আপদকালীন জরুরী সরকার কেয়ারটেকার সরকার বা তদারকি সরকার বা নির্বাচনকালীন বিপদ মুক্তি সরকার কোনটাই আওয়ামী সংবিধান সম্মত হবে না। তাই ভিন্ন নাম ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের যত তন্ত্র মন্ত্র জারি জুড়ি ফু ফা তাবিজ কবজ ওঝা বৈদ্য কবিরাজের আমদানী করা হোক --- শেখ হাসিনা মানবেনা মানবেনা মানবেনা---এতদবস্থা থেকে পরিত্রাণে ভিন্ন কি উপায় আছে যা শেখ হাসিনা মানতে একান্তভাবে বাধ্য হবে এমন নতুন কোন উপায় কিংবা পদ্ধতি উদ্ভাবনে সুশীল বুদ্ধিজীবি বিবেকবানদের এখন সক্রিয় হতে হবে।
যেই লাউ সেই কদু,ইনসাফ কায়েম আওয়ামী লীগের দ্বারা হবেনা।