খেলা
বিজয়ের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর বড় জয়, হারে শুরু মোহামেডানের
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার
আগের মৌসুমে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে হাজার রান করেছেন এনামুল হক বিজয়। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএল)। জার্সি বদলে খেলছেন আবাহনীতে। ব্যাট হাতে জাতীয় দলে মলিন হলেও ঢাকা লীগে ধরে রেখেছেন ধারাবাহিকতা। নিজের প্রথম ম্যাচেই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। একই দিনে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেনরাও। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে আবাহনী লিমিটেড। ৬ উইকেটে ৩৭২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। জবাব দিতে নেমে মিজানুর রহমানের সেঞ্চুরির পরও ১২৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় ব্রাদার্স। অন্যদিকে লীগের শুরুটা ভালো হয়নি ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। প্রথম রাউন্ডে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ১২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে তারকাবহুল দলটি। আবাহনীর হয়ে বিজয় ১২৩, নাঈম ৮৫, আফিফ ৬৫, মোসাদ্দেক ৪৬ রান করেন। শেষদিকে ১১ বলে অপরাজিত ২৬ রানের ক্যামিও জাকের আলী অনিকের। লক্ষ্য তাড়ায় নামা ব্রাদার্সের হয়ে ১০২ রান করেন মিজানুর, ৭৩ রান মাইশুকুর রহমান রিয়েলের। ৬ উইকেটে ২৪৮ রানে শেষ হয় ব্রাদার্সের ইনিংস। উদ্বোধনী জুটিতে বিজয়-নাঈম শেখ ২৫.৩ ওভারেই তুলে ফেলেন ১৫৭ রান। ৪৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করে সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন নাঈম। কিন্তু ৭৪ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় ৮৫ রান করে এই বাঁহাতি ওপেনার আউট হলে ভাঙে জুটি। বিজয় ফিফটি পূর্ণ করেন ৬৮ বলে। মাঝে তিন নম্বরে নামা জয় ফেরেন ৪ রান করে। ১০৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিজয়। শেষ পর্যন্ত ১১৮ বলে সমান ৬ টি করে চার, ছক্কায় ১২৩ রান করে আউট হন তিনি। ৪৭ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৬৫ রান করেন আফিফ। শেষ দিকে ২৭ বলে মোসাদ্দেক হোসেনের ৪৬ রান। জাকের আলি অনিক খেলেন ১১ বলে অপরাজিত ২৬ রানের ক্যামিও। আর তাতেই আবাহনীর স্কোরবোর্ডে ওঠে ৬ উইকেটে ৩৭২ রানের পুঁজি । ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়ার পথে ৯ ওভারে ৭৫ রান খরচ সাব্বির হোসেনের। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ব্রাদার্সের ওপেনার মিজানুর রহমান ও ৪ নম্বরে নামা মাইশুকুর রহমান রিয়েল লড়াই করেন। বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে দুজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১২২ রান। ৪৫ বলে ফিফটি তোলা মিজানুর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১৪ বলে। শেষ পর্যন্ত ১১৬ বলে ১১ চার ২ ছক্কায় ১০২ রানে থামে তার ইনিংসটি। আর ৯৯ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ধীরগতির ৭৩ রান করেন মাইশুকুর। গতকাল অপর ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৭ উইকেটে ৩৪৯ রান করে। জবাবে ২২১ রানে অলআউট হয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মোহামেডান। এদিকে দুই দলের পাঁচ ব্যাটসম্যান ফিফটি করেন। কিন্তু কেউই সেঞ্চুরি পাননি। ফতুল্লায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ভারতীয় ক্রিকেটার রবি তেজা। এছাড়া আকবর আলী ও মেহরব হাসান ফিফটির দেখা পান । মেহরব ৪৩ বলে ৬২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ৮ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। অধিনায়ক আকবর ৫৯ রান করেন ৬ চার ও ১ ছক্কায়। মোহামেডানের বোলাররা বেহিসাবি রান খরচ করেন। ১০ ওভারে ৭৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পেসার খালেদ আহমেদ ছিলেন দলের সেরা। এছাড়া ৬৪ রানে ২ উইকেট নেন আরেক পেসার আবু জায়েদ রাহী। লক্ষ্য তাড়ায় রনি তালুকদারের ফিফটিতে মোহামেডান জবাব দিলেও টপ ও মিডল অর্ডারে তাকে কেউ সাহায্য করতে পারেননি। সৌম্য ১৬ রানে আউট হন। ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। ১ রান করেন অনুশতুপ মজুমদার। পাঁচে নেমে মাহমুদুল্লাহ ৫৭ বলে ৫৮ রান করলেও তা দলের কাজে আসেনি। অন্যদিকে, রনি তালুকদার ওপেনিংয়ে নেমে ৬১ বলে ৮০ রান করলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারের দেখা পাননি। ১২ চার ও ১ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। এছাড়া বাকিরা ছিলেন নিষ্প্রভ। প্রত্যেকেই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। আরেক ম্যাচে ফরহাদ রেজার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রুপগঞ্জ টাইগার্সকে হারায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।