ঢাকা, ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাবান ১৪৪৪ হিঃ

প্রথম পাতা

এক্সক্লুসিভ

৪-৫ লাখ লোক মারা যাবে? কী যে বলেন! আমরা আইন হাতে তুলে নেবো না

বিশেষ প্রতিনিধি
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবারmzamin

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অধ্যাপনা থেকে পুরোদস্তুর  রাজনীতিক। বিরোধী বিএনপি’র মহাসচিব। কথা বলেন সোজাসাপ্টা। দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও গায়ে  ময়লা লাগেনি। ৭৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক হাল আমলে ৩৮৩দিন জেল খেটেছেন। ৮৯টি মামলা মোকাবিলা করছেন এখন। বৃহস্পতিবার কথা হলো, তবে সংক্ষিপ্ত। ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে তার দলের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। বললেন, আমরা নির্বাচনে যেতে চাই।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু কোন সে নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না সে নির্বাচনে তো আমরা যেতে পারি না। আমাদের কথা স্পষ্ট, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিএনপি’র পক্ষে অসম্ভব। অতীতের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। আর সংলাপের কথা বলছেন? আমি বলবো, এটা একটা তামাশা। আমরা তো প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সংলাপে যোগ দিয়েছিলাম। কী লাভ হয়েছে? একটা দাবিও তিনি মানেননি।  তাদের নেতাদের বক্তৃতা শুনে মনে হয়, বিরোধীরা সংলাপে অংশ নিলেই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে। খালিস  নিয়তে সংলাপ না হলে তা হবে অর্থহীন। তার মানে কি আপনারা সংলাপে যাচ্ছেন না? অর্থহীন এই সংলাপে যাওয়ার কি প্রয়োজন আছে বলুন। তাই সংলাপের কোনো  প্রশ্নই ওঠে না। বলা হয়ে থাকে কিংবা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন আপনারা ক্ষমতায় গেলে চার থেকে পাঁচ লাখ লোক মারা যাবে। কী যে বলেন! দেশটা কি মগের মুল্লুক হয়ে যাবে? দেশে কি কোনো আইন থাকবে না! আমরা আইন হাতে তুলে নেবো না। আমরা আইনের বাইরে কোথাও যাবো না। তাছাড়া তাদের ভয় কেন। সোজা কথা, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা এসব বলছেন। এতে কোনো লাভ হবে না। জনগণ ভালো করেই জানে,  জনসমর্থন হারিয়ে নেতারা এসব কথা বলছেন। উদ্দেশ্য একটাই- আতঙ্ক তৈরি করা, বিদেশিদের বিভ্রান্ত করা। আপনারা ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে? এটা আমরা পরিষ্কার করেছি আগেও। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। তারা আমাদের বন্ধু। আমাদের সঙ্গে আগেও সুসম্পর্ক ছিল।   আমরা এই সম্পর্ককে আরও উন্নত করবো। আমাদের দাবি- দাওয়া আদায়ের ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকবো। মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, আপনারা ক্ষমতায় গেলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? এই প্রশ্নটা কেন তোলা হচ্ছে জানি না। আমাদের দলের চেয়ারপারসন আছেন। আছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও।  তাদেরই কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাছাড়া এই মুহূর্তে এটা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা তো এটাও বলেছি, বিএনপি’র নেতৃত্বে সরকার হলেও কিছুদিনের জন্য একটা জাতীয় সরকার গঠিত হবে। বিগত বছরগুলোতে দুর্নীতি, অন্যায়, অনিয়মে দেশটা ডুবে গেছে। তা পরিষ্কার করা হবে সরকারের প্রধান কাজ। প্রসঙ্গ টেনে আবার বললেন, মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে  কে হবেন প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করছে।   সরকার বলছে, আপনাদের ১০ই ডিসেম্বরের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ হবে কেন, বরং সরকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। অত্যন্ত উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ৭ই ডিসেম্বর আক্রমণ করে সেটাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে। তারপরও বলবো সেটা নস্যাৎ হয়নি। কারণ আমরা মনে করি যে, ১০ তারিখে গোলাপবাগে যে জনসভা হয়েছে সেটায় মানুষের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এবং বিশাল। আন্দোলন কখনো ওঠে, কখনো নামে। আমরা এখনও ভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছি।  গ্রামে, ইউনিয়নে ছড়িয়ে দিয়েছি আন্দোলন। সুতরাং আমরা মনে করি না যে, আন্দোলন ঝিমিয়ে গেছে বা আমরা পিছু হটেছি। তাহলে কি আপনারা বলছেন,  আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি? আবারও বলবো, ব্যর্থ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিভিন্ন সার্ভে রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপি’র এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে। কেন বিএনপি’র প্রতি মানুষ ঝুঁকছে? সরকারের চরম ব্যর্থতা, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কারণে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সর্বোপরি রয়েছে তাদের লাগামহীন দুর্নীতি। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীর দিনগুলো কি যে হবে আল্লাহ্ মালুম। আমরা জনগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।  আপনারা তো শুধু রাজনীতি নিয়ে আন্দোলন করছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নানা কর্মসূচি দিচ্ছেন। এটা মোটেই সত্য নয়। জনগণের অভাব-অভিযোগ, কষ্ট- এসব নিয়েই মূলত আমরা কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছি। ক্ষমতার পরিবর্তন চাই বলেই, কিছু দাবি হয়তো  সামনে আসছে। দিনের শেষে আমরা বলবো, মানুষের ভাগ্য  পরিবর্তনই হচ্ছে আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সরকারের তরফে একটা প্রস্তাব এলো আপনাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চাইলে রাজনীতি করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে কিছু বলবেন? এটা হাস্যকর এবং দুরভিসন্ধিমূলক। সরকার যদি আন্তরিকই হয়, তাহলে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না কেন। আগে মুক্তি দিক তারপর রাজনীতির প্রসঙ্গ আসে। তারা একটা ফাঁদ পেতেছিল। আমরা সে ফাঁদে পা দেইনি। আবারও বলছি সরকার যেখানে তাকে জামিনই দেয় না সেখানে রাজনীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। ধরুন, সরকার দাবি মানলো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো না। তখন কী করবেন? আন্দোলন, চূড়ান্ত আন্দোলন। সরকারকে বাধ্য করবো দশ দফা দাবি মেনে নিতে। এটাই আমাদের শেষ কথা। ২০১৮ এর মতো নির্বাচনে যাবেন নাতো? প্রশ্নই ওঠে না। যাইহোক, অনেকে বলে থাকেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচন বয়কট করা আপনাদের ভুল সিদ্ধান্ত। মোটেই না। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে তারা যেভাবে হস্তক্ষেপ করছে তাতে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। মানুষ ভোট দিতেও আসে না। সামগ্রিকভাবে ভোট কলঙ্কিত হয়েছে। আস্থা কমেছে। এটার পরিবর্তন করতে হলে গোটা ব্যবস্থাটাকেই ঢেলে সাজাতে হবে। আর এটা সম্ভব দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে। আপনি অতি সম্প্রতি বলেছেন, পাতানো যে কোনো নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। কিন্তু কীভাবে? অতীতের অভিজ্ঞতাতো মোটেই সুখকর নয়। মির্জা  ফখরুল জোর দিয়ে বললেন, জনগণ প্রতিহত করবে। নির্বাচন তারা করতে পারে কিন্তু সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। যেমন হয়নি ২০১৪ এবং ২০১৮-এর  নির্বাচন।  আগাম কোনো নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে কি? এরাতো অনেক কৌশলই নিচ্ছে এবং নিবে। তাতে কোনো কাজে আসবে না।  
এককথায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কী? ভয়াবহ। মানুষ অসহায়। বাঁচার জন্য লড়াই করছে। অর্থনৈতিক সংকট এতটাই তীব্র যে, মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

পাঠকের মতামত

If my comment is going against the rulling party who will be keep me safe from allegation of Data safety laws abuse ? Who can satisfy me about this comment.so I do want to comment in your open invitation.

Hobu Chandra
১৬ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৭:০৬ অপরাহ্ন

ধরে নিলাম আওয়ামী লীগ সরকার কামান,ক্ষমতা আছে, ক্ষমতা য় থাকার চেষ্টা করবে। এ টা-ই স্বাভাবিক। আমার বেলা হলেও তাই করতাম।বিএনপি বা অন্য দল হলেও তাই করতো। এ ক্ষেত্রে বিএনপির কি করা?বিএনপি কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আগে দলীয় প্রধান কে সামনে নিয়ে আসা।এ কান্ডারী এ ই আগামী প্রধানমন্ত্রী। এ মর্মে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ঐ কামানের মুখোমুখি হতে হবে। এক সময় এ কামান স্তব্ধ হয়ে যাবে। রাজনীতি আপন ধারা র গতি পাবে।

এম অহিদুর রহমান
১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ৬:১৮ অপরাহ্ন

এ এইচ ভূইয়ার মতো অশালীন মানুষ দের জন‍্য দেশের আজ এই অবক্ষয়। গুনি মানুষ দের েয জাতি সম্মান দিতে জানেনা সে জাতি সমৃদ্ধ হবে কিভাবে? উনার কাছে নিশ্চয়ই কাদের সাহেব ইনু সাব আইডল মানুষ। আসলে মানুষের মতো দেখতে হলেই মানুষ হয়না প্রকৃত মানুষ হতে হয়।

হামিম
১৪ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:২৯ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগের সমর্থক শতকরা ৮/১০ জনের বেশি হবে না কারণ এরা ইসলাম বিরোধী, দুর্নীতিবাজ,গুম,হত‍্যা,সর্বত্র দলীয় করণ,ক্ষমতার চরম অপব্যবহার তাই ক্ষমতা হারালে দেশের জনগণ এদের চিরস্থায়ী ভাবে বয়কট শেখ মজিবের অবস্থা করবে।

Humayun kabir
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৫:৪০ অপরাহ্ন

আমি কোন রাজনৈতিক দল করিনা।আমার জীবনে একবার ভোট দিয়ছিলাম।কিন্তু ব্যাক্তি হিসেবে মীর্জ ফখরুলকে চমৎকার মনেহয়।খুব এ নম্র,ভদ্র একজন মানুষ।

mobarak
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সকল দলের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওয়াদা করেছিলেন সুষ্ট ও সঠিক নির্বাচন করবেন কিন্তু উনি কথা রাখেননি, রাতের বেলা ভোট কেটে ক্ষমতায় গেছেন। বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ মনে করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ট ভোগ সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্র যাবেন না। আওয়ামী লীগ জিতলো না বিএনপি জিতলো সেটা বড় বিষয় নয়, বড় বিষয় হলো জনগণ সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীনভাবে তার কাছে ভালো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলো কি না? মাননীয় সম্পাদক, মতিউর রহমান চৌধুরী সাহেব এর কাছে একটা অনুরোধ থাকলো নির্বাচন বিষয়ে আওয়ামী লীগ সেক্রেটারীর একটা সাক্ষাতকার নিবেন এবং প্রচার করবেন। মানবজমিনকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা সাক্ষাৎকার প্রচার করার জন্য।

Adv. Md. Abdus Salik
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন

লোকটা চরম মিথ্যাচার করে রাজনীতি করার কারণে।তাকে ভদ্রলোক সনদ পত্র দিলেও সে একজন ইতিহাস বিকৃতি কারি মিথ্যাবাদী। উধারন- জিয়া স্বাধিনতার ঘোষক, খালেদা মুক্তি যোদ্ধা, তারেক শিশু মুক্তি যোদ্ধা এইটাতেই প্রমান করে সে কত বড় ইতিহাস বিকৃতি কারি। দলকানারা এগুলো বিস্বাস করবে, সচেতন পাবলিক না।

এ এইচ.ভূইয়া
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের আশঙ্কা যে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে দেশে ৪/৫ লক্ষ নিহত হবে বা তাদের হত্যা করা হবে বিষয়টি একেবারেই অমূলক নয়। যেভাবে বিভিন্ন পত্রিকার পাতায় বিভিন্ন মন্তব্যে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে বিএনপি ও জামাতের শিবিরের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা আওয়ামী লীগ সমর্থকদের খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে ঘোষণা করছে আমরা প্রতিশোধ নেব এবং অনেক মন্তব্যকারী কেউ বলছে দেশে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেব। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট এর পর হতে দেশে দুই দাঁড়া র রাজনীতি বহমান 1 দ্বারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি অপর দ্বারা পাকিস্তানি বাগধারা মনস্ক স্বাধীনতার বিরোধীপক্ষ সুতরাং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি শত ব্যর্থতার মাঝেও অন্তত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি দেশের ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের প্রতিদান ও ২ লক্ষ মা বোনের প্রতিদান স্বরূপ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানাবিদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে আজ মুক্তিযোদ্ধারা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রের কথা ব্যক্ত করতে পারে অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধী মনোভাব অপারপক্ষ শুধুমাত্র ক্ষমতার পথ পরিবর্তনের লক্ষ্যে তাদের পরাজিত শক্তি হিসেবে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে তাই ক্ষমতার পর পরিবর্তনের দেশের ৪/৫ লক্ষ বা তার চেয়ে অধ িক লোকের প্রাণী করতে পারে তাই সচেতন জাগ্রত বাঙালি এইসব বিবেচনা করেই সামনে এগোবে বলে বিশ্বাস করি।

Hanif Mohd Azam
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৭:২৮ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ ও বি এনপি গুহের এপিট ও ওপিট। একদল সবিধাভোগী অন্যদল সবিধা বঞ্চিত। অতিত বলে তাদের মধ্য কোন তফাত নেই।

দেলোয়ার
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৫:১৫ পূর্বাহ্ন

ক্লিন ইমেজ দেখে লাভ নাই, মানুষ চায় পরিবর্তন। চায় বাচতে। আল্লাহ নিপিড়ীত মানুষের আশাকে নষ্ট করেন না।

A R Sarkar
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৪:৪১ পূর্বাহ্ন

এই সরকারের অধিনে নির্বাচন করা আর বিষ পান করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ধন্যবাদ।

S.M. Rafiqul Islam
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৪:০৬ পূর্বাহ্ন

আওয়ামীলীগ যা বলছে তা তাদের মনেরই কথা , গত পনেরো বছরে আওয়ামীলীগ যত পাপ, যতো দুর্নীতি, লুটপাট, ধর্ষণ, খুন, গুম করে এ দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে তার কর্মফল হিসাবে তারা নিজেরাই আতঙ্কে ভুগছে যে যদি একবার ক্ষমতা চলে যায় তাহলে আমাদের কেও আস্ত রাখবেনা, আমাদের পাবলিক গণ ধোলাই দিবে, আমরা নিজেদের এলাকায় যে পরিমান মানুষের সাথে অথ্যাচার, নিপীড়ন, জুলুম করেছি, যেভাবে আইয়ামে জাহেলিওতের শাসন চালিয়েছি আমাদেরকে তো মানুষ পিষে ফেলবে এই ভয়ে পৃতিবীর অনেক দেশে হাজার হাজার আওয়ামীলীগের নেতারা হাজার কোটি টাকা নিয়ে বাড়ি কিনছে ব্যবসা শুরু করেছে, ওরা জানে একবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে তাদের অপকর্মের সাজা থেকে তাদের কেও বাঁচাতে পারবেনা

হাসাও মাহমুদ
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

শেষ কথা হলো আগামী দশ বছরেও ক্ষমতার নাহাল পাবেন না। ঐ সব ক্লিন ইমেজ না কি ওগুলো কোন কাজে আসবেনা যদি সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে না পারেন। আর আপনাদের নেতা তারেক জিয়া একটা অথর্ব। লন্ডনে বসে এখানে বিপ্লব করবে কল্পনা বিলাস ছাড়া আর কিছু নয়।

মিলন আজাদ
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ২:৩৬ পূর্বাহ্ন

Home ministry টা বিরধী দলকে দিলে election সময় fair election হবে অনেকটা , দেশের ভালো চাইলে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারে সব পস্খ

আশরাফ হোসেন
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ২:০০ পূর্বাহ্ন

এত দুর্বল মানসিকতার লোক দিয়ে আর যাই হোক আন্দোলন হয় না।

আকাশ
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১:২৪ পূর্বাহ্ন

আমার প্রায় ৪৫ বছর বয়সে দেশ বিদেশে অনেক মানুষ দেখেছি কিন্তু মীর্জা ফখরুল সাহেবের মত এত ক্লিন ইমেজের মানুষ দেখিনি। আওয়ামীলিগ প্রায় ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন বাংলার মানুষের অন্তরে প্রবেশ করতে পারে নাই? আওয়ামিলীগের কথা মতই যদি বলি আওয়ামিলীগ দেশে অনেক অনেক উন্নয়ন করেছে তাইলে কেন নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়?

Ahmed
৩ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী, বি এন পি ভাই ভাই। আসুন, সবাই মিলে দেশটা চালাই।

Md Emdadul Haque
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:২৫ অপরাহ্ন

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও কেউ কেউ বলেছেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এতো-এতো লাখ লোক মারা যাবে। এবারো নির্বাচন সামনে রেখে একইধরনের কথা বলা হচ্ছে। এগুলো বিভ্রান্তিকর। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, এসকল কথায় মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেনা এবং এসব কথা বিশ্বাসও করছেনা। মানুষ তো ভালো ভাবেই জানে এবং মানুষ ভালো করেই বিগত চৌদ্দ বছরের আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন দেখেছে। তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকা অসম্ভব। আওয়ামী লীগের এই সময়ের মধ্যে কতো মানুষ নিখোঁজ হয়েছে, কতো মায়ের বুক খালি হয়েছে! 'মায়ের ডাক' নামের সংগঠন কি এমনি এমনিতেই হয়েছে? লক্ষ লক্ষ মামলার হিড়িক, দুর্নীতির হিড়িক, ক্রসফায়ার, গুম খুনের ইতিহাস তৈরি করা হয়েছে। এইতো সেদিন বিএনপির মিছিলে গুলি করে প্রায় ১৭/১৮ জন নিরপরাধ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তাঁরাই বলছেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে হত্যা করবে। মানুষ আগে বর্তমানের হিসেব দেখবে। ভবিষ্যতেরটা পরে। আমরা সাধারণ মানুষ। মানুষের মনের ভাষা দেখি, মনের ক্ষোভ দেখি। মানুষের মন কতোটা বিষিয়ে ওঠেছে- বলার অপেক্ষা রাখেনা। নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এমুহূর্তে মানুষের অগ্রাধিকার চাওয়া। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনের নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জিতে তাতে মানুষের আপত্তি থাকবেনা। কারণ, ভয়ভীতি মুক্ত পরিবেশে মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচনে স্বাধীন ভাবে নিজের ভোট দিতে পারলেই খুশি। অর্থাৎ, মানুষ ভোটের অধিকার চায়। দল নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ এবার হেরে যায় তাহলে পরেরবার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে তাঁদের ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। মানুষও স্বাধীন ভাবে ভোট দিতে পেরে সন্তুষ্ট হবে। দেশে বেঁচে যাবে অনিবার্য একটি হানাহানি থেকে এবং গনতন্ত্র হীনতার ও ভোটের অধিকার হরণ করার কলংক থেকে।

আবুল কাসেম
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:১৫ অপরাহ্ন

গনতন্ত্রের লড়াই বিএনপি একা করবে কেন? অন্যেরা কি বসে বসে তামাশা দেখবে? যেমন হুগলী নদীর তীরে দাড়িয়ে হাজার হাজার বাঙালী সিরাজদৌলা-ইংরেজদের লড়াই য়ে তামাশা দেখেছিল?

Quamrul
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:৪০ অপরাহ্ন

he is a genital man , we proud mirza fakrul .

rafiq islam
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:২৩ অপরাহ্ন

সরকারের কোন ধরনের ফাদে পা দেওয়া যাবেনা।এই সরকারের অধিনে নির্বাচনে যাওয়া যাবেনা। এবারের সংগ্রাম বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম।

নাজমুল হাসান
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:১৮ অপরাহ্ন

For 14 years AL terrors and thier party top leaders are spreading planned rumor against Tareque Zia. They were very much succesfull to spread Rumor in Bangladeshi society. But now People do not believe AL supporters and leaders LIE.

Anis
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৬ অপরাহ্ন

মিঃ ফখরুল সাহেব কি বলবেন মান্নান সাথে যে সংলাপ হয়েছিল তা কতটুক খালিশ নিয়তে হয়েছিল?

samsulislam
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:০৭ অপরাহ্ন

সাপ লুডু খেলার মত বিএনপির আন্দোলন ৯০ উঠে সাপের মুখে পড়ে তা আবার ৩ এ নেমে আসছে। বিএনপি আন্দোলন আন্দোলন খেলা শুরু করে দিয়ে নিজেরা কি চায় সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা।

আনিস উল হক
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:৪৪ অপরাহ্ন

Just one question. Do you have the capability to force Awami League to yield to you ?

mohd. Rahman
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৪:৫৪ অপরাহ্ন

এক কথায়,অসাধারণ সব জবাব দিয়াছেন মাননীয় মহাসচিব স্যার।

Sayed bhuyan
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৩:৪৯ অপরাহ্ন

সুন্দর প্রতিবেদন। ২০১৮ এর নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার সকল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ফলে শেখ হাসিনার অধীনে ২০২৩/২৪ নির্বাচন একটি অসম্ভম প্রস্তাবনা। এই সন্ধিক্ষণ প্রমাণ করবে কারা এ দেশে প্রকৃত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। তাদের চেনার প্রথম উপায় হলো, এরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পাঁচ পূর্বশর্ত: ✴দলীয় সরকারের পরিবর্তে নির্দলীয় সরকার ✴তাবেদার নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ✴প্রশাসন থেকে দলবাজদের অপসারণ ✴দলবাজ বিচারকদের অপসারণ ✴নির্বাচনের সময় মেজিষ্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন। কেউ কেউ জাতি সঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী নিয়োগ করার কথাও বলছে . . .

Mortuza Huq
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

এ সব প্রচারণা বোধ করি গন সহানুভূতি আকর্ষনের শেষ চেষ্টা । নিজেকে সাম্ভাব্য নিষ্ঠুরতার শিকার কল্পনা করে অতীত নিষ্ঠুরতার দায় হালকা করার প্রয়াশ মাত্র। তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যে দল নিরপেক্ষ থাকবে জনগন সে দিকে ঝুঁকে পড়বে।

মোহাম্মদ হারুন আল রশ
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:১৯ অপরাহ্ন

BNP should think outside the box. If they keep the prince Tareq at the helm, there is no chance. The people of BD is not going to sacrifice their time and life to overthrow one autocratic regime for another dictator. I hope AL will come to sense and give a fair election this time to show their popularity.

SAIFUL SARKER
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও গায়ে ময়লা লাগেনি

Abdul wohab
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status