প্রথম পাতা
মৃত্যুর আগে মেরে ফেলার প্রবণতা কেন?
মুনির হোসেন
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শনিবার
যারে ঘর দিলা, সংসার দিলারে/তারে বৈরাগী মন কেন দিলারে/ যারে জীবন দিলা জীবন গড়িতে/ তারে মরার আগে মারো কেনরে...। জনপ্রিয় এ আধ্যাত্মিক গানে স্রষ্টার কাছে উত্থাপন করা হয়েছে নানা প্রশ্ন। শিল্পী তার কণ্ঠে সুরের মূর্ছনায় মানুষের হৃদয়ে সেই প্রশ্নের ঢেউ জাগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মানুষকে মরার আগে সত্যিই মেরে ফেলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেছে নেয়া হচ্ছে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের। নানা ক্ষেত্রে আলোকিত ব্যক্তিদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনো কখনো মিডিয়ায় মরার আগে মারার প্রবণতা যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কেন? সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, কিছু মানুষ কেবল মজাচ্ছলে এসব খবর ছড়িয়ে দেয়। আবার কেউ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এ পথ বেছে নেয়। কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে সস্তা লাইক, কমেন্ট, ভিউ’র আশায় অন্যের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দেন। এ ক্ষেত্রে সত্যতা যাচাইয়েও আগ্রহী নয় অনেকেই। এসব খবর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনোজগতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। তাদের পরিবারের জন্যও বিষয়টি অসহ্যের, যন্ত্রণার। প্রকাশ্যে ক্ষোভও জানিয়েছেন অনেকে। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এ ধরনের গুজব রোধে তারা বিটিআরসি’র মাধ্যমে কাজ করছে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি তো প্রতিদিনই মরি, মরে যাই। প্রতিদিনই আমাকে অনলাইনে মেরে ফেলা হয়। আমার জন্য কবর খোঁড়া হয়। আমার জানাজা হয়। প্রপাগাণ্ডা কি, এত নোংরা রাজনীতি পৃথিবীতে আছে? এত নষ্ট রাজনীতি! তিনি বলেন, রাত ২টায় সাংবাদিকরা ফোন করে বলে আমি সুস্থ আছি কিনা। আমি তখন বলি কেন? তখন সাংবাদিকরা বলে আমরা শুনেছি আপনি হাসপাতালে, অসুস্থ। প্রতিনিয়ত কাজের খাতিরে ছুটে চলার নেশা ওবায়দুল কাদেরের। অসুস্থ হলে চিকিৎসা নেন। আবার ফিরে আসেন মাঠের রাজনীতিতে। কিন্তু দাপুটে এ রাজনীতিবিদ সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে। তা হচ্ছে- বেঁচে নেই ওবায়দুল কাদের। বিভিন্ন সময় গভীর রাতেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাকে বলতে হয়েছে, আমি মরিনি, বেঁচে আছি। শুধু ওবায়দুল কাদের নয়, এমন ভুক্তভোগী আরও অনেক রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েন তারা। কারা ছড়ায় এসব উড়ো খবর? কী-বা তাদের উদ্দেশ্য? কিংবা এসব খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও কীভাবে নেন? সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের খবর ছড়িয়ে মজা পায়।
অন্য একটি শ্রেণি এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে প্রতিপক্ষকে হেয় ও দুর্বল করতে চায়। সমাজে অস্থিরতা তৈরির লক্ষ্যেই তারা এমন গুজব ছড়ায়। তাই এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকা উচিত। মনোবিদরা বলছেন, এ ধরনের খবরে মানুষের মনোজগতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। যার সম্পর্কে এ গুজব ছড়ায় তিনি তখন খুব অস্থিরতার মধ্যে থাকেন। এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন সংসদের ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত এডভোকেট ফজলে রাব্বিও। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি অসুস্থ। আমেরিকায় তার চিকিৎসা চলছিলো। দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হঠাৎ তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে তার পরিবার। একপর্যায়ে নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফেসবুক লাইভে এসে তাকে বলতে হয়েছে ‘ভালো আছি’। ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে লাইভে কথা বলেন মেয়ে ফারজানা রাব্বী। ফজলে রাব্বী মিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আব্বু আপনার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। আপনি বলেন, ভালো আছেন। অপর প্রান্তে এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আমি ভালো আছি। শিগগিরই দেশে ফিরছি। গত বছরের জানুয়ারিতে অসুস্থ অবস্থায় ছড়িয়ে দেয়া হয় আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদের মৃত্যুর খবর। যে খবরে বিরক্ত ছিল তার পরিবার। গণমাধ্যমকে মাহাথিরের মেয়ে দাতিন পাদুকা মেরিনা মাহাথির বলেন, আমার বাবা আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। আপনাদের অতিমাত্রায় কৌতুহলের ফলে আমরা পারিবারিকভাবে উদ্বিগ্ন।
গুণী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জানকে তো মৃত্যুর আগেই ১০ থেকে ১২ বার মেরে ফেলা হয়েছিল। বার বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিব্রত ছিলেন এ অভিনেতা। দেশের প্রথম সারির একটি টেলিভিশন চ্যানেলও তার মৃত্যুর ভুয়া খবর সম্প্রচার করেছিল। একই অবস্থা হয়েছে কলকাতার শক্তিমান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের ক্ষেত্রেও। বেশ কয়েকবার মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছে তার। এতে বিরক্ত ছিল মল্লিক পরিবার। একবার টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রঞ্জিত মল্লিক বলেন, কারা যে এসব ছড়িয়ে দেয় বুঝি না। অনেকবার হয়েছে। তবে যতবারই এ ধরনের খবর জানতে ফোন এসেছে মেয়ে কোয়েল ধরেছে বা বাড়ির অন্য কেউ। আমি ধরিনি। আর এটা শুনে কিইবা ভাববো, হাসিই পেয়েছে বরং। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) ডা. মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরারও মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছে। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বেঁচে আছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যু নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরটি গুজব। এরপর সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে দপ্তরে যোগ দিয়েছেন ডা. সেব্রিনা।
২০২০ সালের শেষের দিকে প্রয়াত অভিনেতা আব্দুল কাদেরেরও মৃত্যুর খবর ছড়ানো হয়। এমন খবরে বিরক্ত ছিল তার পরিবার। সে সময় ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেনি তার পরিবার। এক ভিডিও বার্তায় তার নাতনি সিমরীন লুবাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আপনারা কেন আমার দাদাকে নিয়ে ভুয়া নিউজ বানাচ্ছেন। তিনি তো আমাদের মাঝে এখনো বেঁচে আছেন। তাকে নিয়ে ভুয়া নিউজ বানালে আমাদের কষ্ট লাগে। একই অবস্থা হয়েছিল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি’র উপস্থাপক হানিফ সংকেতের ক্ষেত্রেও। গেল বছর মে মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয় সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুর গুজব। এরপর স্ট্যাটাস দিয়ে হানিফ সংকেতকে প্রমাণ করতে হয়েছে তিনি বেঁচে আছেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমার ভাবতে কষ্ট হচ্ছে আমাকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রমাণ দিতে হলো, আমি বেঁচে আছি। আমার মৃত্যু নিয়ে এ ধরনের স্ট্যাটাস কখনো দিতে হবে ভাবিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এক শ্রেণির বিকৃত মানসিকতার মানুষ তাদের ভিউ ব্যবসা ও ফলোয়ার বাড়াবার প্রত্যাশায় মানুষের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে অসামাজিক কাজ করছে। ছড়িয়েছে আমার মৃত্যু সংবাদ। একজন সুস্থ মানুষকে মেরে ফেলার পেছনে এদের কী ধরনের মানসিকতা কাজ করে আমার বোধগম্য নয়। তারা কী একবারও চিন্তা করে না- আমাদেরও পরিবার আছে, আত্মীয়স্বজন আছে, শুভাকাঙ্ক্ষী আছে? গেল বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদের সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকেরও মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দেয়া হয়। যেটা নিয়ে বেজায় অখুশি ছিল তার পরিবার। ফারুকের স্ত্রী ফারজানা বাধ্য হয়ে সিঙ্গাপুর থেকে লাইভে আসেন।
তিনি দুই হাত জোড় করে সকলকে তার স্বামীর মৃত্যুর গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. জিনাত হুদা মানবজমিনকে বলেন, স্যোশাল মিডিয়ার কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এর ব্যবহারকারীরা যেকোনো ধরনের শব্দচয়ন, ভাষার ব্যবহার করছেন। অন্যের চরিত্র হনন করছেন। এটা জনপ্রিয় হওয়ারও মাধ্যম কারও কারও কাছে। নিজেকে জাহির করার জন্য, অন্যের মনোস্তত্ত্বে উত্তেজনা তৈরি করতে এমনটি করে থাকে। এ ধরনের খবর ছড়িয়ে তারা হিরো হতে চায়। নতুন একটি খবর দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে চায়। অন্যের মৃত্যুর খবর দিয়ে উত্তেজনা তৈরি করতে চায়। কারণ এসব খবরে মানুষও হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এ ছাড়া সমাজকে অস্থির করাও কারও কারও উদ্দেশ্য থাকে। কারণ এসব নেগেটিভ খবরের একটা ইমপ্যাক্ট আছে। সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, এসব গুজব একেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একেক কারণে হয়ে থাকে। কারও মৃত্যু খবর প্রচার করে একটি গ্রুপ মজা পায়। যদিও যেসব মানুষ এসব গুজবের শিকার তারা এর প্রভাব বোঝেন। তিনি বলেন, এর সঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থও জড়িত। বিপরীত মতাদর্শের লোকেরা গুজব ছড়িয়ে ওই ব্যক্তিকে হেয় করার চেষ্টা করেন। হয়তো এতে ওই ব্যক্তির কিছুই হয় না। কিন্তু যারা করেন তারা এর মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভকে প্রশমিত করার চেষ্টা করেন। তার মতে সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
বহির্বিশ্বে রাষ্ট্রপ্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিয়ে বিভিন্ন কার্টুন ও রসালো আলোচনা হয়। তখন তারা এসব বিষয় যত সহজভাবে নেন আমরা কিন্তু সেভাবে নিতে পারি না। তাই আমাদের দেশে স্ট্যাটাস দিয়ে এ ধরনের ব্যঙ্গ বা হেয় করার পথ বেছে নেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এ শিক্ষক বলেন, এ বিষয়টি সাইবার ডিপার্টমেন্টকে ভালোভাবে তদারকি করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব তথ্য ছড়ানো হয় সেগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হয়তো সবার আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কিন্তু তারা চাইলে যেসব আইডি থেকে এসব অপপ্রচার হয় সেগুলো বের করতে পারে। তিনি বলেন, সামাজিক ও ধর্মীয় সম্পর্কগুলো বজায় রাখার স্বার্থে আইনের ব্যবহার জরুরি। নতুবা এসব মজা স্থায়ী রূপ নেবে। এক সময় দেখা যাবে বড় ধরনের একটা খবর ছড়িয়ে দিয়েছে। যে গুজব উগ্র-মারমুখী পরিস্থিতি তৈরি করে সামাজিক ও ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরি করতে পারে। তখন সমাজে একটি অস্থিরতা তৈরি হবে। তাই এর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জরুরি। এ ছাড়াও একজন মানুষ সম্পর্কে এ ধরনের কুৎসা রটনা করা হলে তিনি খুব অস্থিরতার মধ্যে থাকেন।
যা সমাজে ভালো কোনো উদাহরণ তৈরি করে না। একটা সময় দেখা যাবে মানুষ গুজবকেই ভালোভাবে গ্রহণ করবে। তাই অস্থিরতা রোধে ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইনের সঠিক ব্যবহার জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, এমন খবর মানুষের মনে বিশাল আঘাত করে। ওই ব্যক্তির সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। যাদের মানসিক কাঠামো দুর্বল তারা অনেক ভেঙে পড়েন। আবার যারা মানসিকভাবে শক্ত থাকেন তারাও অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েন। এর জন্য ওই ব্যক্তির জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। অস্থিরতা বিরাজ করে তাদের মধ্যে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসাইন মানবজমিনকে বলেন, সাইবার ক্রাইম এটা নিয়মিত মনিটরিং করছে। এ ধরনের মিথ্যা গুজব বা আপত্তিকর বিষয়গুলো আমরা রিপোর্ট করে দেই বিটিআরসি’র মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। আইনগত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বলতে হয় সব বিষয়ই আবার মামলা নেয়ার মতো না। সেক্ষেত্রে বিটিআরসিকে বলে দেই যেন তারা সংশ্লিষ্ট লিঙ্ক বা পোস্টগুলো বন্ধ করে দেয়। আর যদি কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মানহানি হয়েছে বলে মামলা বা জিডি করে তখন আমরা তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসি।