দেশ বিদেশ
রুমায় আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে ৫২ পরিবার
বান্দরবান প্রতিনিধি
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার
পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আতঙ্কে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মারমা সম্প্রদায়ের ৫২টি পরিবার গ্রাম ছেড়েছে। এ ছাড়া হ্যাপিহিল পাড়া থেকে ৫৮ জন বম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ রুমা সদরে আশ্রয় নিয়েছে। রুমা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনে অবস্থান নিয়েছেন ৫২ পরিবারের ১৪৬ জন সদস্য। এ ছাড়া হ্যাপিহিল পাড়া থেকে ৫৮ জন বম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ রুমাু সদরে আশ্রয় নিয়ে বম এসোসিয়েশনে এবং পাইন্দু ইউনিয়নের আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গেল কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে অভিযান এবং সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের আতঙ্কের কারণে পাইন্দু ইউনিয়নের হ্যাপিহিল পাড়া, বাসত্লাং পাড়া, আর্থাপাড়া, মুননুয়াম পাড়া ও মুয়ালপি পাড়ার বাসিন্দারা অন্যত্র যাচ্ছেন। রুমা উপজেলা পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ গ্রামের জনসাধারণ রুমা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ভবন ও বম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ বম এসোসিয়েশনে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খাবার, কম্বল ও থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা রুমা সদরে অবস্থান করবেন। আতঙ্কিত লোকজন জানায়, কেএনএফ সন্ত্রাসীরা এলাকার লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চালসহ টাকা আদায় করে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে মুলপি মারমা পাড়ার ১৪৬ জন রুমা বাজারে আশ্রয় নিয়েছে। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন শিবলী বলেন, আশ্রয় নেয়া লোকজনের খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বান্দরবানের পাহাড়ে নতুন সৃষ্টি হওয়া সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এর সৃষ্টির পর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। তাদের নির্মূলে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।