দেশ বিদেশ
প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া
মোহাম্মদপুরের সেই টুন্ডা বাবু গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবাররাজধানীর মোহম্মদপুরের ‘কব্জিকাটা গ্রুপের’ অন্যতম প্রধান সহযোগী ও কিশোর গ্যাং লিডার মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২ ও র্যাব-৬। আটক টুন্ডা বাবুর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের শ্যামলী হাউজিং ২নং প্রজেক্টে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে দুই হাতে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়া টুন্ডা বাবুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-২-এর পরিচালক মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামলী হাউজিংয়ের ২নম্বর প্রজেক্টে এই টুন্ডা বাবুকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দুই হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। ২৪শে ফেব্রুয়ারি বাবুকে গ্রেপ্তার করেছিল র?্যাব। কিন্তু ৫ই মে সে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়। বাইরে বের হয়ে সে আবারো সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে তাকে বুধবার আবারো আমরা গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ারের প্রধান সহযোগী সে। কব্জিকাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ারের নির্দেশে সে মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি- ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছিল। সাধারণত দিনের বেলায় তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকার কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে। এভাবে গ্রুপটি টাকা, মুঠোফোন, ল্যাপটপ, ভ্যানিটিব্যাগসহ বিভিন্ন মাল ছিনতাই করে। রাত গভীর হলে বাসাবাড়ি ও ফ্ল্যাটে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করে তারা। এ ছাড়া গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সবকিছু লুট করে নেয়। এই টুন্ডা বাবু ও তার গ্যাংয়ের লোকেরা বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারে জড়িত বলে জানায় র্যাব। র্যাব-২ এর এই পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার বাবুর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। টুন্ডা বাবু ছাড়াও সমপ্রতি মোহাম্মদপুর এলাকায় র?্যাব-২-এর অভিযানে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল, চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মো. সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম ওরফে চোরা সেলিম, কব্জিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ারকে তাদের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত এসব আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই-বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।