দেশ বিদেশ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ক্ষমা প্রার্থনা
কারাগারে থাকা মানুষদেরও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার আছে
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার
দেশের কারাগারগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন না করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। গতকাল বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এর আগে গত ১৭ই জানুয়ারি দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তার ব্যাখ্যা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৪শে জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ সময় হাইকোর্ট স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে, দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে না পারলে দেশ টিকবে না বলে মন্তব্য করেন। কারাগারে থাকা মানুষদেরও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার আছে। হাইকোর্ট বলেন, সরকার তো কোনো খাতেই টাকা কম দেয় না। ফরিদপুর মেডিকেলে দুর্নীতির বিষয়টি উল্লেখ করে আদালত বলেন, একটি জিনিসের দাম বাজারের তুলনায় ৪০০ গুণ হতে পারে না।
বিদেশিরা দেশ চালায় না। আমরা নিজেরা দেশ চালাচ্ছি। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, সব জায়গায় ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ডায়াসের সামনে ডেকে বলেন, এ দেশের মানুষ কিন্তু গরিব। মানুষ বিপদে পড়লেই ডাক্তারের কাছে যায়। এটা একটা মহান পেশা। ডাক্তাররাও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা দেয়। তাদের ব্যক্তি জীবন আছে বলে মনে হয় না। তারপরও মানুষ সেবা পায় না। আপনি বিষয়টি দেখবেন। গরিব দেশ হিসেবে যথেষ্ট টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয় সরকার। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে কোনো কিছু গেলে আপনারা গুরুত্ব দেবেন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আদালতে বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়েছে। এ রকম ভুল আর হবে না। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। পরে আদালত এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২রা মে দিন ধার্য করেন।