শেষের পাতা
সিলেটে সুলতানার দাবিদার দুই স্বামী
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২০ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবারআইরিন সুলতানার দুই স্বামী। নগরের রাস্তায় তাকে নিয়ে চলছে টানাটানি। কে নেবে সুলতানাকে। ডিভোর্স হয়নি প্রথমজনের সঙ্গে। দ্বিতীয় জনের সঙ্গেও বিয়ে হয়ে গেছে। সংসার করছেন তারা। বিষয়টি সুরাহার জন্য নেয়া হলো এক মহিলা কাউন্সিলরের কাছে। সেখানেও কোনো সুরাহা আসেনি। পরে তাদের পুলিশের সোপর্দ করা হয়। এদিকে- গতকাল পুলিশ তাদের আদালতে প্রেরণ করে।
এক স্ত্রী ও দুই স্বামী নিয়ে টানাটানির ঘটনায় ভিড় জমে এলাকায়। শেষে খোকনের এক সঙ্গী তাদের তিনজনকে সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে নগরীর উপশহরে কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা লাকীর অফিসে নিয়ে যান। গতকাল কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা লাকী মানবজমিনকে জানিয়েছেন- আমি বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আইনি জটিলতা থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান- পরকীয়ায় পড়ে কবিরের সঙ্গে ঘর ছাড়ে সুলতানা। প্রথম তরফের চার সন্তানই রয়েছে খোকনের কাছে। এ কারণে সুলতানা প্রথম স্বামীর সঙ্গে যেতে প্রথমে সম্মত ছিলেন। পরে কী হয়েছে আমি জানি না। এদিকে- সিলেটের শাহ্পরাণ থানা পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনাস্থল কোতোয়ালি থানায় হওয়ায় তাদেরকে কোতোয়ালিতে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়। তবে- ওই সময় থানা থেকে সটকে পড়ে প্রথম স্বামী খোকন। এর ফলে দ্বিতীয় স্বামী কবির সহ সুলতানাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল সকালে সুলতানা ও কবিরকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সারা দিন গড়িয়ে গেলেও খোকনের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি কিংবা তিনি থানায় এ দু’জনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও দায়ের করেননি। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সুলতানা ও কবিরকে আদালতে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানিয়েছেন- কেউ মামলা না করায় তাদের মেট্রো আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বলেন- কেউ মামলা করলে আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নিতাম। কিন্তু দিনভর অপেক্ষার পরও কেউ মামলা দেননি। এদিকে- সিলেটের কোর্ট পুলিশের প্রসিউকিশন কর্মকর্তা এএসআই মাসুদ আহমদ জানিয়েছেন- মেট্রো আইনে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে জরিমানা গ্রহণপূর্বক তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিকালেই তারা জামিন পান বলে জানান তিনি।