রাজনীতি
ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ৮ জানুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আপিল বিভাগের আদেশের পর ফখরুল ও আব্বাসের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অপরদিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা ছিলেন।
গত ৩রা জানুয়ারি তাদেরকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত। পরে ৪ঠা জানুয়ারি সকালে তাদের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে ওইদিন পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া জামিননামা (বেইল বন্ড) দাখিল না করার নির্দেশ দেন চেম্বার আদালত।
পাঠকের মতামত
আবারও প্রমাণিত হল নিম্ন আদালত স্বাধীন নয়।
Alhamdulliah
আলহামদুলিল্লাহ।
এখন পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে যে গোলাপবাগ মাঠে ফকরুল, রিজভী, আব্বাস কোনো বক্তৃতা দিতে চাইনি / তাদের আটক ও জামিন না পাওয়া সরকারের সাথে গোপন বোঝা পড়ার ফলাফল / ফকরুল, রিজভী ও আব্বাস কোনো বক্তিতা দিতে চায় নি / সাজানো গ্রেফতার ///
আলহামদুলিল্লাহ THANKS TO GOVT,
Alhamdulillah, but fake mamlas yet not withdrawn?
উচ্চ আদালতের উচিৎ নিম্ন আদালতকে কৈফিয়ত তব করা, কেন তারা বার বার জামিন নামন্জুর করেছে ।
মুক্তিতে বাধা অবশ্যই আছে। সরকার চাইলে উনাদেরকে জেলগেট থেকে আবারও গ্রেফতার করতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ বন্দি, এই বিষয়টি প্রত্যেক বাংলাদেশির বোধগম্য হওয়া উচিত।
রাষ্ট্র পক্ষের করা আপীল রক্ষা না করে তাদের জামিনের পক্ষে রায় দেয়ায় বুঝা যাচ্ছে বিচার "বিভাগ স্বাধীন" তাইনা?
"আর ঘোষণা করে দাও, 'সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, মিথ্যার তো বিলুপ্ত হবারই কথা।'" সূরা বনী ইসরাঈল:আয়াত:৮১। সত্যের বিজয় দেরিতে হলেও তা সুনিশ্চিত ভাবে হয়েই থাকে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সীমাহীন মিথ্যার চর্চা শুরু হয়েছে গত দেড় দশক থেকে। এই ধারা এখনো চলমান। কিন্তু, আশার কথা হচ্ছে সত্যের ভাস্কর ধীরে ধীরে মিথ্যাচ্ছাদিত মেঘের আড়াল ভেদ করে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা বলেন শক্তির উৎস সূর্য। সূর্য একটি জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড। কিন্তু, মানব জীবনের সবচেয়ে বড়ো শক্তি হচ্ছে সত্য- যা জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড সূর্যের চেয়েও বহুগুণ বেশি শক্তিশালী। ইসলামের জীবন ব্যবস্থা মানব জীবনের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কুরআন মজিদ নাজিল করা হয়। তিনি মানব জাতিকে ইসলামের বিধান মেনে চলার আহ্বান জানান। মক্কার অবিশ্বাসীরা (আরবী শব্দ- কাফের, আধুনিক পরিভাষা- নাস্তিক) রাসূলের স. শুধু বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তিনি ও তাঁর অনুসারীদের ওপর চালানো হয় জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার। নিপীড়ন অসহ্য হয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক মুসলমান (বিশ্বাসী) মক্কা ত্যাগ করে হাবশায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং বাদবাকি মুসলমানরা চরম অসহায় ও মজলুম অবস্থার মধ্যে মক্কা ও আশপাশের এলাকায় জীবন যাপন করছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের অবস্থাও সব সময় বিপদ সংকুল ছিল। সে সময় বাহ্যত বাতিলেরই রাজত্ব চলছিল। হকের বিজয়ের কোন দূরবর্তী সম্ভাবনাও কোথাও দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু এ অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হুকুম দেয়া হলো, তুমি বাতিল পন্থীদের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দাও যে, হক এসে গেছে এবং বাতিল খতম হয়ে গেছে। এ সময় এ ধরনের ঘোষণা লোকদের কাছে নিছক কথার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি। তারা একে ঠাট্টা-মস্করা মনে করে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এরপর মাত্র ৯টি বছর অতিক্রান্ত না হতেই নবী স. বিজয়ীর বেশে মক্কা নগরীতে প্রবেশ করলেন এবং কা’বা ঘরে প্রবেশ করে সেখানে তিনশো ষাটটি মূর্তির আকারে যে বাতিলকে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে খতম করে দিলেন। বুখারীতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বর্ণনা করেছেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবী সা. কা’বার মূর্তিগুলোকে আঘাত করছিলেন এবং তেলাওয়াত করছিলেন সূরা বনী ইসরাঈলের ৮১ নম্বর আয়াত। যার অর্থঃ "আর ঘোষণা করে দাও, 'সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, মিথ্যার তো বিলুপ্ত হবারই কথা।'" বস্তুত মিথ্যা কোনকালেই চিরস্থায়ী হয়নি। আজো নয়। মিথ্যার আস্ফালন সাময়িক। যারা কুরআনের আহ্বানে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁদের ওপর চলছে সীমাহীন জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপরও চলছে স্টিমরোলার। বিএনপি জাতীয়তাবাদী চেতনা ধারণ করলেও চিহ্নিত নাস্তিকদের সঙ্গে তাঁদের সখ্যতা নেই, বরং ইসলামপন্থী এবং আলেম ওলামাদের সঙ্গে তাঁদের সদ্ভাব আছে। জাতীয়তাবাদী ইসলামী চেতনার মানুষ আজ এক কঠিন সময় পার করছে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মহামান্য হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সত্যের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সত্যের বিজয়ে উচ্চ আদালতের অংশ গ্রহণ চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা মাননীয় উচ্চ আদালতের ওপর আস্থা রাখতে চাই, তাঁরা আলেম ওলামাদের এবং সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তির ব্যবস্থা করে সত্যের বিজয় সুনিশ্চিত করবেন ইনশাআল্লাহ।
সরকার যখন চাইবে মুক্তি দেবে আবার যখন প্রয়োজন হবে জেলে পুরে দেবো।সব সৈর শাসকদের ন্যাচার একই।
আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ