সিদ্ধিরগঞ্জে রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে গৃহবধূর মৃত্যু

সিদ্ধিরগঞ্জে রান্না ঘরে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম আফরোজা আক্তার (৩৮)। দগ্ধ হয়েছেন নিহতের স্বামী মো. জসিম (৪৫), মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) ও ছেলে জুনায়েদ (৭)। সোমবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা  জাতীয় বার্ন ও প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আফরোজা আক্তার। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেলে জুনায়েদকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। আর বাবা-মেয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। আগুনে জসীম উদ্দিনের শরীরের ৬৫ শতাংশ, মেয়ে জয়ার ২৫ শতাংশ ও শিশু জুনায়াদের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল উত্তর ধনকুন্ডা এলাকায় জনৈক নাজমুল মিয়ার বাড়িতে। নিহত আফরোজার বাবা আব্দুর রব জানান, নাজমুল মিয়ার তিন তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে আফরোজা, তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। আফরোজার স্বামী জসিম হানিফ পরিবহনের বাস চালক।

মেয়ে জয়া আক্তার স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।  

আফরোজার বড় ভাই মফিজ প্রধান জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্বামীর জন্য রান্নার করতে ওঠেন আফরোজা। রান্না ঘরে গিয়ে দিয়াশলাই দিয়ে চুলা জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্না ঘরের দরজা জানালা ভেঙে ঘরের ভেতর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এবং আফরোজার পুরো শরীর এবং ঘুমিয়ে থাকা দুই সন্তান ও স্বামীর শরীরে আগুন ধরে যায়। দগ্ধদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের ৪ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।  সেখান থেকে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতে সবাই ঘুমানোর আগে রান্না ঘরের চুলার চাবি দেয়া ছিল না। এতে সারা রাত গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরের ভেতর গ্যাস জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে চুলা জ্বালানোর জন্য আগুন ধরালে সেখান থেকেই ঘরের ভেতর বিস্ফোরণ হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো বাচ্চু মিয়া আফরোজার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।