ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

বউ হারালেন, টাকাও হারালেন মানিত

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ২৩ নভেম্বর ২০২২, বুধবার, ৫:০৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

mzamin

বউ হারালেন। আবার দুই লাখ ৩০ হাজার ডলার বা ৬০ লাখ বাথও হারালেন থাইল্যান্ডের ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ। না পেলেন একটি ইভেন্টে প্রথম পুরস্কারের ওই অর্থ। না পেলেন স্ত্রীর ভালবাসা। স্ত্রী তাকে তিন দিনের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার শর্ত দিয়েছে। তাই মেনে নিয়েছেন ৪৯ বছর বয়সী মানিত নামের ওই পুরুষ। তার স্বপ্ন ছিল লটারি জিতবেন। তিনি জিতলেনও। সেই লটারি জেতাই যেন তার জীবনের কাল হয়েছে। থাইল্যান্ডের সংবাদভিত্তিক প্লাটফরম থাইগার বলেছে, মানিতের স্ত্রীর নাম অঙ্কনারাত (৪৫)।

বিজ্ঞাপন
১লা নভেম্বর অনুষ্ঠিত লটারিতে ৬ মিলিয়ন বাথের প্রথম পুরস্কার জেতেন মানিত। পুরো অর্থই স্থানান্তর করেন স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে। অর্থ জমা হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী মিলে এই আনন্দ সেলিব্রেট করার পরিবর্তে অঙ্কনারাত পুরো অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান। শুধু কি তাই! মানিত যে প্রেম-ভালবাসা পেতেন, তা থেকেও তাকে বঞ্চিত করলেন। কারণ, তিনি ওই অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছেন নতুন এক প্রেমিকের সঙ্গে। এ বিষয়ে পুলিশে রিপোর্ট দিয়েছেন মানিত। পুলিশ তাকে বলেছে, তারা ওই অর্থ উদ্ধারে সক্ষম নন। কারণ, অর্থ জমা হয়েছে অঙ্কনারাতের ব্যাংক একাউন্টে।  

এর চেয়েও খারাপ খবর হলো এই যুগল আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নন। তারা কখনো বিয়ের সনদে স্বাক্ষর করেননি। তবে তারা ২৬ বছর ধরে একসঙ্গে সংসার করছিলেন। তাদের আছে তিনটি সন্তান। মানিত বলেছেন, অন্য কারো হাত ধরে তার স্ত্রী পালিয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে তাদের এক সন্তান পরে বলেছে, অন্য পুরুষের সঙ্গে তার মায়ের সম্পর্ক থাকার বিষয়ে সে জানতো। তার মা পালিয়ে গেছে নং কাইয়ে। এ পরিবারটির বর্তমান বাসস্থান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রোট এট অঞ্চলে। এখান থেকে নং কাইয়ের দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার। 

পরে থাই মিডিয়াকে অঙ্করারাত বলেছেন, তিনি কোনো প্রেমিকের হাত ধরে পালাননি। সংসার ছেড়ে গিয়েছেন শুধু। কারণ, তার স্বামীকে নিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন ছেলের অভিযোগে। তিনি একজন নান বা সন্ন্যাসীনি হতে চেয়েছিলেন। এরই মধ্যে ওই অর্থের সবটাই বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় দান করে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দিয়েছেন মানিত, এ কথা জানতে পেরে রোববার ২০ নভেম্বর বাড়ি ফিরেছেন। পুলিশি অভিযোগ থেকে নিজের নাম পরিষ্কার করাতে চান তিনি। 

পুলিশ স্টেশনে হাজির হয়ে অঙ্কনারাত বলেছেন, তার কাছে এখন মাত্র ৩১ লাখ বাথ আছে। এই অর্থ তিনটি ভাগ করতে চান। এর মধ্যে ১০ লাখ বাথ দেবেন সবচেয়ে ছোট মেয়েকে। ৫ লাখ দেবেন মেজ ছেলেকে। ১৬ লাখ দেবেন মানিতকে। তবে একটি শর্তে এই অর্থ পেতে পারেন মানিত। তা হলো, তাকে তিনদিনের মধ্যে পরিবারটির বাসা ছেড়ে চলে যেতে হবে। পরিবার থেকে আলাদা থাকার শর্তের বিষয়ে থাই মিডিয়াকে মানিত বলেছেন, এই শর্তে তিনি খুশি। ব্যাংকক থেকে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন। যদি তার স্ত্রী তাকে ক্ষমা করে দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে বাড়ি ফিরবেন।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

‌‌‘‌আমাদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা নয়’‌/ আমেরিকাকে সতর্ক করলো উপসাগরীয় দেশগুলো

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status