বাংলারজমিন
৫ দিনে ৮৫১ ভোটারের দ্বারে মামুন
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
(২ বছর আগে) ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

মনোনয়ন দাখিলের পর গত ৫ দিনে ৮৫১ জন ভোটারের সাথে সরাসরি স্বাক্ষাত এবং মতবিনিময় করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল মামুন সরকার। তিনি জানান, গত নির্বাচনের সময় দলের প্রার্থী বার্ধক্যজনিত কারণে ভোটারদের সাথে গণসংযোগ করতে পারেননি। একারণে বিদ্রোহী প্রার্থী সুযোগটা নিয়েছেন। এর সতর্কতা হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকেই ভোটারদের কাছে ছুটে যান। তাদের প্রতিশ্রুতিতে ব্যাপক সমর্থনে নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশান্বিত তিনি। আগামী ৫দিনে বাকি ভোটারদের সাথে দেখা-স্বাক্ষাত সম্পন্ন করবেন। জেলা পরিষদের মোট ভোটার ১৩৯৪। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন আল মামুন সরকার। এসময় জয় পেলে যে কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন তারও বিবরণ দেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শফিকুল আলম এমএসসি’র জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালনকালীন কর্মকান্ড বিবেচনা করে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে মামুন বলেন- শফিকুল আলম এর আগেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দলীয় অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলেন মনোনয়ন না পেলে নির্বাচন করবেন না। সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ব্যক্তি প্রার্থী। কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠন এখন পর্যন্ত তার পক্ষ নেয়নি। তার প্রচার অভিযানেও কোন সংগঠনের সম্পৃক্ততা নেই। জেলার ১০০টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা এবং ৯টি উপজেলা পরিষদের অভিভাবক জেলা পরিষদ। কিন্তু বিগত ৫ বছরে কোনদিন একটিবারের জন্যেও এসব পরিদর্শন করেননি তিনি। করোনার দু:সময়েও ছিলেন অনুপস্থিত। এসব কারনে আমি মনে করি তার পক্ষে কারো থাকার যুক্তিসঙ্গত কারন নাই। নামের আগে পরে ডিগ্রি না দেখে দায়িত্ব পালনে সফলতা, জনকল্যাণে ভূমিকার বিষয় বিবেচনা করে ভোট দেয়ার আহবান জানান মামুন। সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক শফিকুল আলম প্রকল্প দিয়ে ভোট নেয়ার কৌশল করেছেন তার কাছে এমন তথ্য থাকার উল্লেখ করে জানান, জেলা পরিষদের এ বছরের বরাদ্দে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের ডেকে এনে ২১২টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তার লোকেরা বলছে শফিককে ভোট না দিলে প্রকল্প বাতিল হয়ে যাবে। প্রকল্প তালিকা প্রশাসক হিসেবে পাঠাতে পারেন কিন্তু প্রশাসকের তালিকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ বা মঞ্জুর কোনটাই হবে না। নির্বাচিত চেয়ারম্যান যে তালিকা পাঠাবেন সেটিই অনুমোদিত হবে। কাজেই এটা গুজব।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনারা আলম এবং তার ভাই শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার শফিকুল আলমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জানিয়ে বলেন, তাদের ব্যাপারে কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। তাদেরকে সতর্ক করে জেলা আওয়ামী লীগ বিবৃতি দিয়েছে। এরপরও নিবৃত্ত না হলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।