ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

অ্যাপসের মাধ্যমে ভোটের সব তথ্য জানাবে নির্বাচন কমিশন

স্টাফ রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার, ৬:৫৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

অ্যাপসের মাধ্যমে নির্বাচনের সব তথ্য ভোটারসহ সবাইকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়েছে। রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ তৈরি করতে চাচ্ছি। এটা আমরা এবং নাগরিকরাও ব্যবহার করতে পারবে। এতে কার ভোট কোন কেন্দ্রে, প্রার্থী কারা, নির্বাচনি এলাকার ম্যাপ, কোথায় কত ভোট পড়ল ও তার গ্রাফ, ফিগার; কোন প্রার্থী কোথায় এগিয়ে থাকলো; সেগুলো থাকবে। আমরা চাচ্ছি সবাই যাতে সাথে সাথে ভোটের তথ্য দেখতে পারে। যাতে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি না হয়।

তিনি বলেন, অ্যাপসে আট ধরণের তথ্য পাওয়া যাবে। কে জিতল সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবে সবাই। এটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত। এজন্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
তারা যাচাই করে মতামত দেবে। এরপর কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। মো. আলমগীর বলেন, অ্যাপসটি তৈরি করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। তাদের প্রসেস ততোটা লম্বা হবে না। অ্যাপসটি তৈরি করতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে। 

সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি। এখনো আমাদের হাতে সময় আছে। জানুয়ারি থেকে সীমানা নির্ধারনের কাজ শুরু করবো। ইতোমধ্যেই জনশুমারির প্রাথমিক তথ্য জোগাড় করছি। প্রাথমিক তথ্য নিয়ে আলোচনাও করেছি। 

ইভিএম নিয়ে ভোটারদের শিক্ষা দিতে ম্যাসিভ প্রচারে যাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এটি সম্পর্কে জেনে কিংবা না জেনে অনেকে ভ্রান্ত তথ্য প্রচার করছে। তিনি বলেন, ইভিএমে ওভাররাইট করার সুযোগ নেই। কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে। তার আগে তার পরিচিতি এনাআইডি নম্বর দিয়ে সনাক্ত করা হবে। অথচ টক-শোতে বলছেন ওভাররাইট করা যায়। অনেকে বলছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এটাকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারেন। কিন্তু আপনারা এসে দেখেন, যে ইভিএম চাইবেন আপনাদের সেটাই পরীক্ষা করতে দেবো, দেশে বিদেশের এক্সপার্ট নিয়ে আসেন, দেখেন। আবার বলা হয়, মামলা হলে কিসের ভিত্তিতে হবে। ভিপি ট্রেইল তো নেই। আমাদের ইভিএমে এর চেয়ে ভাল ব্যবস্থা আছে। সেখানে এক বছর পর্যন্ত সিলগালা অবস্থায় থাকবে। এখানে থেকে কোন মার্কায়, কখন ভোট পড়েছে, কত ভোট পড়েছে সব প্রিন্ট করা যাবে।

ইভিএমের প্রতি  ভোটারদের বিশ্বাস আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোথাও দেখেছেন এটা নিয়ে প্রতিবাদ করতে, মিছিল করতে। যারা লিখছেন তারা তো ইভিএম দেখেনইনি, শুনেনওনি। তারপরও লিখে ফেলছেন। ইভিএমটা আসলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করছি। আমরা পারলে ৩০০ আসনেই করতাম। ওই বললাম টাকা নাই। আবার ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারবো। আমরা যদি আরো দুই বছর আগে আসতাম, তাহলে ৩০০ আসনে করতাম।

তিনি বলেন, একটি বড় দল, তার সঙ্গে আরো চারটি দল সরাসরি চেয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে আরো সবমিলিয়ে ১৭টি দল চাচ্ছে। তবু বলা হচ্ছে ইভিএম নিয়ে মতামত পাল্টে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা লিখলেন তারা কি প্রমাণ করতে পেরেছেন?
ইভিএমে প্রাথমিক ব্যয় বেশি জানিয়ে এই ইসি বলেন, একটা ব্যালট ছাপাতে হয়, ক্যারি করতে হয়, প্রচুর খরচ আছে। ইভিএমে একবার খরচ হয়। এরপর এটা নানা নির্বাচনে ব্যবহার করি। ওই মামলা করার জন্য যে সময় থাকে, ওই সময় পর্যন্ত আমরা ওই ইভিএমটা রেখে দিই। সেই সময় শেষ হলেই কেবল আরেকটা নির্বাচনে ওই ইভিএমটা ব্যবহার করি। ইভিএমে লাইফ টাইম ২০ বছর পর্যন্ত আছে। এটা তো আমাদের তো কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যবহার করছি। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছি। এই কমিশন আসার পর একটা নির্বাচনও ব্যালটে করিনি।

ইভিএমের প্রতি ১২ কোটি ভোটারের পরিপূর্ণ আস্থা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক দলই আগে ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলছে, কিন্তু আমাদের কাছে এসে তারা পক্ষে বলেছেন। একটি দলের একজন মাননীয় সংসদ সদস্য তার এলাকায় ইভিএমে ভোট নেয়ার জন্য আমাদের কাছে এসে লিখিত দরখাস্ত করেছেন।  কাজেই এটা অন্তরে আছে, উনারা ইভিএম বিশ্বাস করেন।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি মনে করে অন্য দলের সঙ্গে নির্বাচন করবে অথবা অন্য একটি দলকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য অংশগ্রহণ করবেন না, এমনটাও তো হতে পারে। আমরা অবশ্যই ভোটের পরিবেশ তৈরি করবো। আমাদের ভেতরে ও বাহিরে এক। আলাদা কিছু নেই। রোডম্যাপে আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলার কথা উল্লেখ করেছি। কোনো কমিশনই কি এর আগে তা করেছে?

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status