বাংলারজমিন
শ্রেণিকক্ষ ভেঙে ইট বিক্রির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবারনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শ্রেণিকক্ষ ভেঙে গোপনে বিদ্যালয়ের ইট, এঙ্গেল ও টিন বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে কক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় অভিভাবকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উপজেলার বাহাগিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ায় চেষ্টা করায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে জানা যায়, বিদ্যালয় নতুন ভবনে ১টি অফিস কক্ষ ও ১টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। এছাড়া ওই ভবন সংলগ্ন টিনশেড বিল্ডিংয়ের ২টি কক্ষে ক্লাস হতো। ৩টি শ্রেণি কক্ষে ২১৭ জন শিক্ষার্থী দুই শিফটে ক্লাস করত। প্রধান শিক্ষকসহ ৭ জন শিক্ষক পাঠদান করাতেন। বিদ্যায়টির জন্য ওয়াস ব্লক বরাদ্দ হয়। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ২রা জুন প্রধান শিক্ষক টিনশেড শ্রেণি কক্ষ দুটি ভেঙে ফেলায়। নিলাম দরপত্র ছাড়াই ২০শে জুন গোপনে শ্রেণি কক্ষের ইট, এঙ্গেল ও টিন বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের ইটবোঝাই ২টি ট্রলি আটক করে থানায় খবর দেয়। বৈধ কাজগপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ আটক মালামালগুলো জব্দ করে নিজ জিম্মায় নেয়। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে অর্ধশতাধিক স্থানীয় ব্যক্তি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অভিযোগ করা হলো ক্লাস রুম ভেঙে ইট ও টিন বিক্রির, আর সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তের জন্য পত্র দেয় ইট চুরির। এটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা মাত্র। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহজুবা উম্মে লাবনী জানান, একটি কক্ষে একই সঙ্গে ৩টি ক্লাস চলে। পরে তিনি স্বীকার করেন ভেঙে ফেলা দুটি কক্ষেও আগে ক্লাস হতো। নিলাম দরপত্র ছাড়া শ্রেণি কক্ষ ভেঙে মালামাল বিক্রি করা যায় কিনা তিনি এর কোন সদুত্তর দেননি। ওই বিদ্যালয়ের এডহক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে ওয়াস ব্লক নির্মাণের জন্য রেজুলেশন করে পুরাতন দুটি শ্রেণিকক্ষ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বর্তমান বিদ্যালয়টিতে শ্রেণি কক্ষের অভাবে অফিস রুমের মেঝেতে বসে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। নিলাম প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ তাই শ্রেণিকক্ষ ভাঙার রেজুলেশন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।