বাংলারজমিন
জাফলংয়ে সাজাপ্রাপ্ত বাবলু-শাহাজ জেলে
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবারজাফলংয়ে জাল দলিলে ভুমি আত্মসাতের ঘটনায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বাবলু ও শাহাজকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। গত ১৯শে জুন মামলার রায় হওয়ার দিন থেকে তারা পলাতক ছিলেন। সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু বিচরক তা নামঞ্জুর তরে কারাগারে প্রেরন করেন। মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হাসান আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায় ঘোষনার পর থেকে দুই আসামি পলাতক ছিলেন। সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগরে পাঠানো হয়েছে।
জাফলং মামার দোকানের বাসিন্দা মৃত গনি বখতের ছেলে বাবলু বখত ও জাফলং আলী নগর গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে শাহাজ উদ্দিন। তাদেরকে গত ১৯ শে জুন ভুমি জালিয়াত মামলায় ৫ বছরের দণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। বিশ্বনাথের মৃত অবনি কান্ত দাশের নামে বানানো একটি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ২০১২ সালের ৮ই অক্টোবর সোনাটিলার হাজী সোনা মিয়ার ১৬৫ শতক জমি ক্রয়ের আরেকটি দলিল বানান বাবলু বখত ও শাহাজ উদ্দিন। পরবর্তীতে রেকর্ড থেকে হাজী সোনা মিয়ার মৌরসী সম্পত্তির মুছে দিতে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের বালাম বইয়েরও পাতা পরিবর্তন করা হয়। এরপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার সম্পত্তি দখলে নেয় বাবলু ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় গত ২০১৩ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি সোনা মিয়ার পুত্র খায়রুল মিয়া বাদি হয়ে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল চতুর্থ আদালতে তাদেরকে আসামি করে মামলা করেন। গোয়াইনঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমান ২০১৪ সালের ২৯ শে জানুয়ারি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রমান পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। একই সঙ্গে সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বালাম বই জব্দ করা হয়। প্রায় ১১ বছর দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে ভুমি জালিয়াতির বিষয়টি প্রমানিত হলে দুই আসামিকে সাজা দেয়া হয়েছিল।