বাংলারজমিন
টঙ্গীতে বিএনপি’র নামে চাঁদাবাজি, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী থেকে
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবারটঙ্গীতে চাঁদাবাজি মামলায় বিএনপি’র নামধারী জিয়াউল হাসান স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, স্বপন সাবেক বিএনপি নেতা এবং আইনজীবী পরিচয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় আসামি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন। ঢাকার বাড্ডা থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়ের করা হত্যার চেষ্টা মামলায় আসামি হিসেবে তার নাম রয়েছে। টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে সোমবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন স্বপন। বর্তমানে তিনি বিএনপি’র দলীয় পদ না থাকলেও সাবেক নেতা পরিচয় দিয়েই প্রকাশ্যে চালিয়ে যান চাঁদাবাজি। এলাকার ব্যবসায়ী শ্রেণী, শিক্ষক, বাড়িওয়ালাদের টার্গেট করে ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করেন। চাহিদা মাফিক চাঁদা না পেলেই টার্গেট ব্যক্তিকে করেন মামলার আসামি। তার মামলা বাণিজ্য এখন টঙ্গী-গাজীপুরের মানুষের কাছে অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। বিএনপি নেতারাও স্বপনের ওপর বিরক্ত। স্থানীয়রা জানান, জিয়াউল হাসান স্বপন এককালে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন। এখনো নিজের নামের সঙ্গে জিএস শব্দ ব্যবহার করছেন। এতে তার চাঁদাবাজির সুবিধাটা বেশি হয়। বর্তমানে বিএনপিতে তার কোনো দলীয় পদে নেই।
ভূক্তভোগীরা জানান, দেশের পট পরিবর্তনের পর বিএনপি নামধারী স্বপন এলাকার লোকজনের নামে মামলাকে টার্গেট করে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। মোটা অংকের চাঁদা, দামি মোবাইল ফোন, ব্যবসায় অংশীদার করে নেয়ার দাবি করে হুমকি দিচ্ছেন। টার্গেট ব্যক্তি চাঁদা না দিলে হুমকি, ধমকি এমনকি অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করছেন। স্বপনের এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতাকমীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ।