বাংলারজমিন
মুরাদনগরে ত্রিপল মার্ডার: ‘স্বীকারোক্তি দেননি’ বাচ্চু মেম্বার
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবারকুমিল্লার মুরাদনগরে মাসহ দুই সন্তানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া দুপুরে আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমন প্রেক্ষাপটে রোববার সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক সাদেকুর রহমান।
এর আগে দুপুরে গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে বাচ্চু মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হন। তখন তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে তার বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন কুমিল্লার ৫ নম্বর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সিদ্দিক আজাদ।
ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া আলোচিত এ হত্যামামলার ৩ নম্বর আসামি। এ মামলায় তার ছেলে আতিকুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে। এদিন ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক ছয়জনকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আসামিদের মধ্যে পাঁচজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
এর আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হাতে আটক দুই আসামিকেও পুলিশের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মমিনুল হক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ৪ জুলাই সকালে মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজার থানাধীন কড়ইবাড়িতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রোকসানা বেগম ওরফে রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে হত্যা করা হয়। আহত হন রুবির মেয়ে রুমা আক্তার (২৮)। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তবে পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। র্যাবও শনিবার রাজধানী ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, মোবাইল চুরিরর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার দুদিন পর বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম দিয়ে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত এই মামলায় সেনাবাহিনী ও র্যাব আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।