ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

বাংলারজমিন

পাকুন্দিয়ায় এসিল্যান্ডসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সদর ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কার্যক্রম স্থগিত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন সরকার। এবার এসিল্যান্ডসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন স্থগিত হওয়া কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান এবং সেক্রেটারি সিদ্দিক হোসেন মাসুদ। গত ৩রা জুলাই পাকুন্দিয়া সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন তারা। 
আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। মামলায় পাকুন্দিয়া পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন সরকারকে প্রধান বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা, পাকুন্দিয়া থানার ওসি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকসহ মোট ২৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে ঈদগাহের অধীনে দু’টি বহুতল ভবন, ৪১টি দোকান, একটি পুকুরসহ প্রায় ২ একর জায়গা রয়েছে। যা থেকে মাসে অন্তত ২ লাখ টাকা ভাড়া আসে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে। ঈদগাহটি দীর্ঘদিন যাবৎ ৭১ সদস্যবিশিষ্ট ইলেক্টোরাল কমিটি দ্বারা মনোনীত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। কিছুদিন পূর্বে ঈদগাহের একজন দাতা সদস্য বজলুর রহমান ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বিষয়টি তদন্তের জন্য পৌর প্রশাসককে দায়িত্ব দেন। গত ২৬শে মে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলমকে আহ্বায়ক করে ২৫ জনকে দিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে স্থগিত কমিটির সেক্রেটারি মো. সিদ্দিক হোসেন মাসুদ বলেন, হঠাৎ চলমান কমিটির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি একটি এডহক কমিটি গঠন সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান জানান, ঈদগাহের জায়গা জমির মালিক সাধারণ জনগণ। তাই এটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখাশোনার দায়িত্ব সাধারণ মুসল্লিদের। উপজেলা প্রশাসন কোনো ভাবেই এটিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন সরকার বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আমি একটি কমিটি করে দিই। গত ১৫ বছরের হিসাব দাখিল করার জন্য সাবেক কমিটিকে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়। তারা নতুন কমিটিকে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে এবং  নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত এবং দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য সাময়িকভাবে একটি আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে। সাবেক কমিটি তদন্তে সহযোগিতা না করে উল্টো মামলা দায়ের করায় তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

দেনমোহর কমাতে অভিনব কৌশল/ তালাকের পর আবার বিয়ে, কিছুই জানে না গৃহবধূ

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status