বাংলারজমিন
দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও সেই নিরাপত্তাকর্মী তুলছেন বেতন-ভাতা
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
৬ জুলাই ২০২৫, রবিবারময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মাজরাকুড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তাকর্মী নবী হোসেন। বিদ্যালয়ে চাকরি করার পাশাপাশি অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী। চাকরি করাকালীন সময়েই এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওই নারীর ঘরে স্বামী ও সন্তান রয়েছে। স্বামী আর দুই সন্তানকে রেখে চলতি বছরের ১৭ই জানুয়ারি ঘর ছাড়েন রোকসানা আক্তার (২৭) নামে সেই গৃহবধূ। রোকসানা উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের শাজাহানের স্ত্রী। এ ঘটনায় নবীকে চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শাজাহানের পরিবার ও তার স্বজনরা। গত ১৭ই জানুয়ারি থেকে ছুটিবিহীন নিখোঁজ নবী। প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতাতেও নেই তার স্বাক্ষর।
ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত না থাকলেও তার নামে উঠছে বেতন-ভাতা। ব্যাংক থেকে বেতন বাবদ প্রতি মাসেই টাকা উত্তোলন করছেন নবী। এ বিষয়ে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লাভলী আক্তার বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান মো. এখলাস উদ্দিনের সঙ্গে যোগসাজশ করেই নবী তার বেতন তুলছেন। এ বিষয়ে মাজরাকুড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষকও টাকা উত্তোলনের জন্য প্রধান শিক্ষককেই দায়ী করেন। সূত্রে জানা যায়, নবীকে নিয়ে ঘরছাড়া ওই নারী তার সাবেক স্বামী শাজাহানকে নিয়ে গাজীপুরে একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। একপর্যায়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে আসলে নবীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই নারী। অতঃপর নবীর সঙ্গে ঘর ছাড়েন। মাজরাকুড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এখলাস উদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, ই.এফ.টিতে বেতন আসায় নবী বেতন তুলে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত এবং ছুটিবিহীন সেটা তিনি স্বীকার করেন। সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তা অস্বীকার করেন। এ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।