বিশ্বজমিন
ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পরই ইউক্রেনে ভয়াবহ ড্রোন হামলা রাশিয়ার
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ ঘন্টা আগে) ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৫৬ অপরাহ্ন

ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে বৃহৎ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে এটিই এ যাবতকালীন সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপ হওয়ার পরই এ হামলা চালিয়েছে মস্কো। অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান বলছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে অন্তত ৫৫০টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। সিএনএন বলছে, শুক্রবার ধোঁয়া আর বিস্ফোরকের গন্ধে ভরে ওঠে কিয়েভের বাতাস। রাশিয়ার এই হামলায় আশ্রয়শিবিরগুলোও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয় আর আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন সাধারণ মানুষ। এই হামলার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, পুতিনের সঙ্গে তার আলাপে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে কিয়েভ। ইউক্রেন জানিয়েছে, যুদ্ধের তিন বছরের মধ্যে কোনো জনবহুল এলাকায় প্রথম এমন বৃহৎ হামলা চালানো হয়েছে। এতে একাধিক স্থাপনা পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিশাল আগুনের কুণ্ডলী দেখা গেছে। রাতভর ওই হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। আর শেষ ১৩ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন মানুষ। রাশিয়ার ছোড়া ৫৫০টি ড্রোনের ৪৭৬টি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন। এসব ড্রোনের পাশাপাশি ১১টি ক্রুস ও ক্ষেপণাস্ত্র মিসাইল ছোড়ে রাশিয়া। কিয়েভের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিকট শব্দে কিয়েভ কেঁপে ওঠার পর ঘরবাড়ি ছেড়ে সাধারণ মানুষ পাতাল রেল স্টেশনে আশ্রয় নেয়। তারা সেখানেই রাত কাটিয়েছেন। এই হামলাকে বৃহৎ হামলাগুলোর একটি হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেছেন, এটি দেশের দেখা বৃহৎ আকাশ হামলাগুলোর একটি। এদিকে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জেলেনস্কির ফোনালাপের কথা রয়েছে। সেখানে তিনি মার্কিন অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন। ট্রাম্প এর আগে জানান, তিনি ইউক্রেনকে একেবারে অস্ত্র দেয়া বন্ধ করেনি। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে মাত্রায় অস্ত্র দিতেন সেটারও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কিয়েভকে অস্ত্র দেয়ার মাত্রা কমিয়ে দিয়েছেন।